তালের বড়া রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা অনেকদিন আগের যখন তালের বড়া তৈরি করা হয়েছিল। আসলে তখন একটা ক্ষীরের রেসিপি শেয়ার করেছিলাম আর এইটা পরে শেয়ার করবো বলেছিলাম, কিন্তু খেয়াল ছিল না আর। আজকে চোখে পড়লো তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলি। আর এমনিতেও আজকে সারাদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে আর তালের বড়া খাওয়ার কথা মনে পড়ছে। তালের বড়া আসলে খেতে দারুন লাগে। তাল দিয়ে অন্যান্য কিছু রেসিপি ভালো লাগলেও, এটাই সব থেকে প্রিয়। আর এটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রে তা কিন্তু না, আমাদের বাঙালিদের কাছে তালের সিজনে তালের বড়া অনেক প্রিয় হয়ে থাকে।
তালের বড়ার ক্ষেত্রে আমাদের বাড়িতে কখনো চালের গুঁড়ো দিয়ে করা হয় না, তবে শুধু ময়দা দিয়েও করা যায়। তবে এইবার চালের গুঁড়ো আর কলা দেওয়া হয়েছিল। এইগুলোর সব একসাথে মিশ্রনে খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। এই চালের গুঁড়োর কথা বলতে গিয়ে একটা কথা মনে পড়লো, আসলে চাল ভাজলে খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে খেতে আর তার সাথে একটা লোকমুখে প্রচলিত প্রবাদ মনে পড়লো যে, যদি কেউ চুরি করে তাহলে তাকে চাল ভাজা বা চাল পোড়া খাওয়ালে গলায় আটকে যাবে। এইটা আসলে আগে গ্রামে বেশ প্রচলিত ছিল, যদিও এইসবে আমি বিশ্বাস করিনি কখনো। যাইহোক, বলতে গিয়ে মনে পড়লো কথাটা। তাহলে এখন চলুন কিভাবে তালের বড়া তৈরি করা হলো সেটা দেখে নেওয়া যাক।
☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫
✦এখন তৈরির ধাপগুলো নিচে তুলে ধরা হলো---
☀প্রস্তুত প্রণালী:☀
➤প্রথমে তালের খোসা ছালিয়ে নিতে হবে এবং পরে তালের আটিগুলো ছাড়িয়ে আলাদা করে নিতে হবে।
➤এরপর তালের আটিগুলো থেকে রস বের করে নিতে হবে এবং পরে জ্বালানোর জন্য একটি কড়াইতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
➤এরপর তাতে চিনি দিয়ে ভালো করে জ্বালিয়ে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
➤এরপর নারিকেলটি কুরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং পরে চাউল ভালো করে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর চিনি গুঁড়ো করে নিয়েছিলাম মিক্সারে করে।
➤কড়াইতে চাউলগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম ভাজার জন্য। ভালো করে ভাজা হয়ে এলে তুলে নিয়েছিলাম।
➤এরপর ভাজা চাউলগুলো মিক্সারের বাটিতে দিয়ে ভালো করে গুঁড়ো করে নিয়েছিলাম।
➤এরপর তালের জ্বালিয়ে রাখা শাঁস অন্য আরেকটি পাত্রে দিয়ে তাতে কুরিয়ে রাখা নারিকেল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে চাউলের গুঁড়ো এবং চিনির গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর তাতে কলা এবং ময়দা দিয়ে ভালো করে ম্যাশ করে নিয়েছিলাম।
➤সব শেষে কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে নেওয়ার পরে তালের বড়া বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলাম এবং একইভাবে সবগুলো বড়া ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তালের বড়া তৈরি করার খুবই সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই ধরনের রেসিপি আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আমাদের এলাকাতে অনেক বেশি তালগাছ রয়েছে তাই সকলেই এইভাবে তালের বড়া তৈরি করে।
দাদা আপনি আজ আমাদের মাঝে তালের বড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন। অনেকগুলো উপকরণ দিয়েছেন এবং তাদের বড়া অনেক সুন্দর কালার এসেছে দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে খুব। বোঝাই যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল তালের বড়া গুলো। শুভকামনা রইল দাদা এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার স্বরূপ দেওয়ার জন্য।
এই কথাটা ছোটবেলায় অনেক শুনতাম। তবে এই কথার সত্যতা আমি কখনো দেখিনি। যাইহোক বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। তালের বড়া আমার খুব পছন্দ। বিশেষ করে বিকেলের নাস্তায় তালের বড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
তাল পাকার সিজন এলেই বিভিন্ন রকমের পিঠা কিংবা অন্যান্য মজার মজার খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়। এর আগে তালের রসের ক্ষীরের রেসিপি দেখেছিলাম। আর তালের বড়া রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা।তালের বড়া রেসিপিটি দেখে অনেক লোভ লেগে গেল। অনেকগুলো উপকরণ দিয়েছেন এবং খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল। তালের বড়ার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ দাদা লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।