ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ ( সিজন ১: পর্ব ৭)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ডিগিং ডিপার"। গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, মুকুল এবং তার কিছু বন্ধু জুভেনাইল জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলো। এই পর্বে ঘটনা কি হয়, সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
তো মুকুল আর তার কিছু বন্ধু মিলে যখন জেলের ভিতরে প্ল্যান করছিলো যে, লন্ড্রির গাড়ি এলেই তাতে করে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যাবে। তারা সেই হিসেবে সবাই গাড়িতে উঠেও পড়েছিল আর দেখা গিয়েছিলো যে, গাড়ি সেই সাথে সাথে ছেড়েও দিয়েছিলো। কিন্তু এখানে মুকুল কেন জানি পরে সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করে নেমে পড়ে। কিন্তু তার বাকি দুই বন্ধু সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। এমনকি কোর্টেও উকিলদের কাছে খবর চলে যায় যে, মুকুল পালিয়েছে। তার মাও সেই ধারণা করে অর্থাৎ কোর্টে শুনে হতবাক হয়ে পড়ে। কারণ কেস যখন সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে এমন মূর্খের মতো কাজ করলে সবদিকে যাবে। আর পালানোর অর্থই প্রমান করে দেবে যে, মুকুল নিঃসন্দেহে এই মার্ডার করেছিল।
এখন পাবলিক প্রসিকিউটর তো বেজায় খুশি যে, বিনা লড়েই কোর্টে এটা প্রমান করতে পারলেই কেস জিতে যাবে। আর সেটা বলতেও যাচ্ছিলো, যখন সময় মতো মুকুল কোর্টে হাজির হয়নি। তো পাবলিক প্রসিকিউটর যখন এই কথাটা বলতে যাবে, তখনই জুভেনাইল জেল থেকে একজন তাকে নিয়ে হাজির হয়ে যায়। আর এরপর মুকুলের কেস নিয়ে কথোপকথন চলতে থাকে। মূলত যে ক্রাইম স্পটে একটা পাত্র পেয়েছিলো প্লাস্টিকের, সেটা নিয়েই কেসটা চলতে থাকে, কারণ তাতে মুকুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছিল। তবে সেটা অধুরা, কারণ এই কেসে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট এর যে লোকটা এই রিপোর্ট তৈরি করেছিল, তাকে সব জিজ্ঞাসা করলে ব্যাপারটা বেরিয়ে আসে। কারণ প্লাস্টিকের পাত্রে যদি অ্যাসিড রাখা হয়, তাহলে সেটা হয় দুমড়ে যাবে না হলে গলে যাবে। আর নিচে একটা ছাপও তৈরি হবে। এখন এটা হতে কমপক্ষে ১০ দিনের মতো সময় লেগে যায়।
কিন্তু যে রাতে মার্ডার হয়েছে, তার পরেরদিন এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়া বিজ্ঞানের মতে কোনোদিন সম্ভব না। তো ওইদিনের কেসে মোটামুটি এটাই প্রমান হয় যে, এই কেসের সাথে আরো কিছু ইনভল্ব আছে। এখন মাধব উকিল আবারো সেই হোটেলে যায় এবং মুকুলের বাবা যার কাছে থেকে বাড়ি কেনার বিষয়ে কথা বলেছিলো, তার সাথে কথা বলে এবং তাদের সমস্ত কর্মচারীদের লিস্ট দিতে বলে। কারণ সন্দেহ যে, তাদের মধ্যেই কেউ ইনভল্ব থাকতে পারে। ওখানে মাহিন্দ্রা বলে একজন লোকও কাজ করতো, তার বাড়িতেও যায় সাধারণ কথাবার্তা বলার নাম করে। এরপরে মাধব ঘরে ঢুকে কিছু কিছু বিষয়ে ছবি ক্যাপচার করে বেরিয়ে আসে প্রমান এর জন্য।
এখন মাহিন্দ্রার ড্রয়ে একটা প্রেসক্রিপশন পায়, সেটা নিয়ে ডক্টরের কাছে গেলে, সে বলে তার যে রোগের কারণে মেডিসিন দেওয়া হয়, সেটা হলো যদি কেউ দীর্ঘ সময় ধরে কোনো অ্যাসিড বা কোনো ধরণের কেমিক্যাল এর সাথে কাজ করে, তখন তার ক্ষেত্রে এইধরণের অসুখ হতে পারে। আর তার একটা মেয়েও ছিল, সেও এই জারার মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অভিনয় নকল করে অভিনয় করার চেষ্টা করতো বিট্টু রোলে। এখন মেয়েটিও নাকি জারার মতো হতে চেয়েছিলো। এইসব খবর তাদের বাড়ি গিয়ে জানতে পারে আর কি।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
এই কেসে পুনরায় আবারো তদন্ত করে একটা সঠিক দিশার দিকে এগিয়ে যেতে চলেছে। মাহিন্দ্রার উপরে তো ১০০% সন্দেহ চলে গিয়েছে মাধব উকিলের। কারণ এই ব্যক্তি অ্যাসিড এর সাথে কানেক্টেড আবার তার মেয়েও জারার এই কেসের সাথে যুক্ত ছিল। এখন বিষয় হচ্ছে মাহিন্দ্রার মেয়ে বয়েসে অনেক ছোট ছিল আর কোনো কারণে সে নাকি অ্যাসিড খেয়ে মারা যায়। সম্ভবত এই জারার বিষয়ের সাথে কানেক্টেড ছিল। যদিও এই বিষয়টা পরের পর্বে জানা যাবে। কারণ এই ঘটনায় এখন মাহিন্দ্রা আর তার ওয়াইফ দুইজনকেই কোর্টে ডাক পড়েছে। পরের পর্বে দেখা যাক, সব সত্যি ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৯.২/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ক্রিমিনাল জাস্টিস অধুরা সাচ সিজন ১ পর্ব ৭ শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি সিরিজটি সরাসরি দেখতেছি। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো ওয়েব সিরিজটার সপ্তম পর্বের রিভিউটা পড়ে। প্রতিটা পর্বের মতো এই পর্বটাও অনেক সুন্দর ছিল। তবে এখন একটা সঠিক দিশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেখছি এই কেসটা। সঠিকভাবে তদন্ত করার পরেই এসব কিছু হয়েছে। এখন পরবর্তীতে আশা করি সত্য সবগুলো ঘটনা সবার সামনে আসবে। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা পরবর্তী পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য।
এই পর্ব টা কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল দাদা এই ওয়েব সিরিজের। আস্তে আস্তে দেখছি ওয়েব সিরিজের কাহিনী ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। আর কেসটা বেশ ভালো দিকেই ঘুরে গিয়েছে। পুনরায় আবারো তদন্ত করার কারণেই ঠিক হয়েছে। আর এখন সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসার সময়। আরো বেশি ক্লিয়ার হব আশা করি আমরা আগামী পর্ব গুলোতে। এখন পরবর্তী পর্বগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
মুকুল না পালিয়ে বেশ ভালো করেছে। কারণ পালিয়ে গেলে সে অবশ্যই অপরাধী প্রমাণিত হতো। যাইহোক মাধব উকিলের ধারণা মনে হচ্ছে ঠিকই হবে। কারণ মাহিন্দ্রা মনে হচ্ছে জারার খুনের সাথে জড়িত রয়েছে। আশা করি পরবর্তী পর্বে আরও অনেক কিছু জানা যাবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।