রেসিপি: চিংড়ি দিয়ে লাউয়ের ঘন্ট ।। বাঙালি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে রাতে আমি লাউয়ের ঘন্ট মতো তৈরি করেছি। আর এটি অল্প কিছু চিংড়ি দিয়ে তৈরি করেছি। এটি খুবই সহজভাবে এবং অল্প কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছি। অল্প কিছু উপকরণ দিয়েও এটি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। তাছাড়া লাউ দারুন একটা সবজি, আমাদের শরীর কে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তবে এই লাউয়ের কিন্তু অন্য একটা দারুন মজার নাম আছে যেটা অনেকে আঞ্চলিক ভাষায় ব্যবহার করে থাকে, সেটি হলো "কদু"। এই লাউয়ের অনেক উপকারিতা আছে যা আমাদের শরীরের বহু চাহিদা মিটিয়ে থাকে। যাইহোক এখন আমি এই সহজ এবং অল্প কয়েকটি উপকরণ দিয়ে তৈরি রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।

✿প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:✿
✔এখন রেসিপিটি যেভাবে করলাম--
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆
❖চিংড়ি মাছগুলোকে প্রথমে ভালো করে কেটে কুটে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি লাউ ভালো করে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖কেটে রাখা চিংড়ি মাছের গায়ে ১চামচ লবন ও হলুদ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖চিংড়িগুলো ভালো করে ভেজে নেওয়ার পরে ঝটপট অল্প কয়েকটা লঙ্কা কেটে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে কেটে রাখা লাউ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা চিংড়ি, লঙ্কা আর লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখেছিলাম কিছুক্ষন যাতে ভালো করে তাড়াতাড়ি সেদ্ধ মতো হয়ে আসে। ঘন্ট মতো তরকারিটা হয়ে আসার জন্য কিছুক্ষন অপেক্ষা করেছিলাম।
❖অপেক্ষার পরে জলগুলো সব মরে গেলে তৈরি হয়ে যায় দারুন স্বাদের লাউয়ের ঘন্ট রেসিপি। এরপর তাতে আমি অল্প করে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। আর এখন এই উপকারী লাউয়ের ঘন্টটি পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমার শীতের সকালে গরম গরম ভাতের সাথে চিংড়ি লাউ খেতে খুব ভালো লাগে ।😋
মনে হচ্ছে চিংড়ি লাউ ঘন্ট এর উপরে একদিন এক্সপেরিমেন্ট চালাতে হবে । কারণ রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসছে ।😋
সকাল হোক আর দুপুর হোক, লাউ চিংড়ির ঘন্ট অসাধারণ লাগে। বাঙালিদের একটা দারুন খাবার। হ্যা একদিন এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে খেয়েও দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে ।
লাউ একটি ঠান্ডা জাতীয় সবজী।চিংড়ি দিয়ে লাউ দারুণ স্বাদের হয় ।আমাদের বাড়িতে লাউ থাকায় প্রায় চিংড়ি না হলে কাঁকড়া দিয়ে খাওয়া হয়।যাইহোক রেসিপিটা দারুণ ছিল।ধন্যবাদ দাদা।
ছোট কাঁকড়া দিয়েও লাউ অনেক ভালো লাগে। এমনি চিংড়ি দিয়ে তরিতরকারি অনেক স্বাদ লাগে। হ্যা লাউ এর তরকারি শরীরকে ঠান্ডা করে। ধন্যবাদ।
লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি সত্যিই অসাধারণ ভাইয়া। লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে অনেক খেয়েছি। আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। তবে লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছের খন্ড কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছি অবশ্যই বাসায় দিন তৈরি করে দেখব। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আসলেই লাউ দিয়ে চিংড়ি দারুন লাগে। আমি চিংড়ি মাছ প্রায় খাই, অনেক ভালো লাগে খেতে। আর লাউ দিয়ে চিংড়ির ঘন্টও অসাধারণ লাগে। আপনিও এইভাবে বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া, খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি লাউ চিংড়ি। কয়েকদিন আগে আমিও পোস্ট করেছিলাম লাউ চিংড়ি। আপনারটা দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। আসলে চিংড়ি মাছ টাই আমার কাছে অনেক প্রিয়
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া 🙂
চিংড়ি আমারও অনেক ভালো লাগে। এইজন্য যেকোনো কিছুতে চিংড়ি দিলে আগে সেইটা খেয়ে নেই। লাউ এর সাথে চিংড়ি দারুন জমে, খেতে টেস্টি খুব। ধন্যবাদ।
আমি এখনো চিংড়ি খায় নাই কিন্তু চিংড়ির চপ খেয়েছি। আসলেই আপনারা দেখি চিংড়ি দিয়ে অনেক রেসিপি তৈরি করেন আসলে এটি খাওয়ার দরকার। এত দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে আপনার পোস্টের মাধ্যমে। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলেই অনেক ভালো ছিল দাদা চিংড়ি দিয়ে লাউয়ের ঘন্ট
চিংড়ির চপ খেয়েছি কিন্তু কম। চিংড়ি আমার কাছে তরকারি বা ভাজায় অনেক ভালো লাগে। চিংড়ি আর লাউয়ের এই রেসিপিটা বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, বেশ ভালো লাগবে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ ঘন্টের রেসিপি আমাদের এলাকায় কমন একটি রেসিপি। বিশেষ করে শীতের সময় এই রেসিপি বেশি খাওয়া হয়।লাউ ঘন্টের সাথে চিংড়ি মাছ দিলে লাউ ঘন্টের স্বাদ দ্বিগুণ পরিমাণ বেড়ে যায়। মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি দিয়ে লাউয়ের ঘন্ট এতো সুন্দর স্বাদের লাগে তা সে বলার উপেক্ষা রাখে না। আর এখন এইগুলো বেশি খাওয়া হয়, আমাদের বাড়িতেও লাউ খাওয়া হয় প্রায় বলতে গেলে। খেতে দারুন মজাদার। ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি দিয়ে লাউয়ের ঘন্ট সে তো আনার খুবই পছন্দের। বিশেষ করে শীতের দিনে খেতে বেশি মজা লাগে।
আপনার রেসিপি তৈরি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।
হ্যা এটি শীতের দিনে খেতে বেশি মজাদার লাগে। এই সময়টায় আমি এইসব সবজি বেশি খাই, খেতে ভালো টেস্টি লাগে। আর এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ।
❤️❤️❤️
লাউ ঘন্ট আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। কিন্তু চিংড়ি দিয়ে লাউ ঘন্ট কেন জানি আমার বেশি একটা ভালো লাগেনা।
চিংড়ি আলাদা ভুনা করলে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার চিংড়িগুলো আস্তো রয়েছে দেখতেছি। আমাদের এদিকে চিংড়ি দিয়ে লাউ ঘন্ট করলে চিংড়ি অনেকটা ঘন্টর সাথে মিশে যায়। ঘন্ট করার আগেই চিংড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হয় তো এজন্য।
শুধু ঘন্ট করলে তেমন ভালো লাগে না, তবে চিংড়ি দিলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
আর ভুনার কথা বললেন, আসলে সেটা আলু দিয়ে চিংড়ি ভুনা মতো করলে যে কি মজাদার লাগে খেতে সে আর বলার উপেক্ষা রাখে না। আমার অনেক অনেক ভালো লাগে, চিংড়িগুলোই তখন বেছে বেছে খেতে লাগি আগে হা হা। চিংড়ি নরম তো এইজন্য আগে দিলে আর বেশি একটা আস্ত থাকে না, মিশে যায়।
আমার কাছে তো রেসিপি টা দেখে খুব ভালো লেগেছে। চিংড়ি দিয়ে লাউ ঘন্ট দেখলেই তো খিদে পেয়ে যায়। সেটা যদি শীতকালে রান্না হয় তাহলে তো আরো ভালো হয়। শীতের সময় লাউ চিংড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। আমারতো চিংড়ি অনেক মাছ পছন্দের। যদি খালি চিংড়ি মাছ ভুনা হয় তাহলে তো আরো সুস্বাদু হয়। লাউ দিয়ে রান্না করলেও অনেক ভালো লাগে খেতে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপনার রেসিপি টা।অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সবাইকে উপহার দেওয়ার জন্য।
যা বলেছেন, আসলেই খিদে লেগে যায় চিংড়ি দিয়ে লাউ ঘন্ট মতো করলে। শীতকালে আমিও বেশি খাই এই লাউ চিংড়ির তরকারিগুলো। খালি চিংড়ি ভুনা ভালো লাগে, তবে আমার কাছে আলু দিয়ে ভুনা করলে যেন বেশি মজাদার লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
লাউ চিংরিটা অত্যান্ত জনপ্রিয় একটি রেসিপি এবং রান্না।আমি আমার মায়ের হাতে অনেক খেয়েছি এবং এখনো খাই এর মধ্যে একটী ছোট ঘটনা আছে কাউ চিংরি ঘাটলে আমি পুরও করাই খুজতাম চিংরি গুলো কথায় কিন্তু পেতাম না হাহাহা।
অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা।শুভ কামনা।
হ্যা লাউ আর চিংড়ি অনেক সুস্বাদু লাগে খেতে। টাটকা বাড়ির গাছের থেকে নামিয়ে রান্না করে খেতে পারলে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। আমিও আগে চিংড়ি কয়েকটা খেয়ে নেই, চিংড়ি আমার কাছে খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ।