এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ৪৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি আলোকচিত্র থাকছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্র দুটি তুলেছিলাম ইকো পার্ক থেকে। এর প্রথমটিতে দেখতে পাচ্ছেন যে, একটি মেয়ে তার পোষ্য প্রাণীকে নিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আসলে এখানে থিমটাই সেইভাবে তুলে ধরা মূর্তির মাধ্যমে। আসলে এইসব ভাস্কর্যগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে পার্কের ভিতরে। প্রতিটা কারুকার্য অত্যন্ত সুন্দর করে গড়ে তোলা। এরপর আরো একটি দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন যে, এখানে একটি মেয়ে বেঞ্চে বসে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে। এখানে বেঞ্চটা অরিজিনাল , তবে মেয়েটিকে ল্যাপটপ হাতে নিয়ে এমনভাবে সেখানে বসিয়ে দৃশ্যটা তুলে ধরেছে যে, একদম বাস্তবের মতো বিষয়টা দেখতে লাগছে। যেন সত্যিকারের কেউ ওখানে বসে কাজ করছে, একদম নিখুঁত কারুকার্জ।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১০ মে ২০২৪
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্র দুটিও ইকো পার্ক থেকে ক্যাপচার করা। এখানে একটি গাছের মতো গুঁড়িতে আপেলের মতো ডিজাইনে দেখতে দুটি জিনিস ঝুলানো আছে। এইগুলো কিন্তু বাস্তবে ডাস্টবিন। তবে এখানে এই ডিজাইনে দেখে মনে হবে না যে, এটা কোনো ডাস্টবিন হতে পারে। আসলে শুধু এই ডিজাইনে না কিন্তু, এইরকম আরো বিভিন্ন ফলের আকারে ডিজাইনে তৈরি করা এই ডাস্টবিনগুলো আর ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে প্রত্যেক পদে পদে। তবে একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন যে, যেটাতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সেটাতে ডিজাইন মানুষের মুখের মতো দিয়েছে। এই ধরণের বিষয়গুলো দেখতে আসলে অনেক সুন্দর লাগে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১০ মে ২০২৪
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম ঢাকুরিয়া লেক থেকে। এখানে লেকের সৌন্দর্যটা এক কোথায় অসাধারণ লাগছিলো আমার কাছে। তবে এখানে এই সৌন্দর্যটা দুপুরের সময়ে আরো বেশি ভালো লাগবে, কারণ সূর্যের আরশিটা যখন জলের উপরে পরে ঝিক ঝিক করতে লাগে, সেটার দৃশ্যটা আসলে অপূর্ব লাগে। আমি এটা সন্ধ্যার মুহূর্তে তুলেছিলাম, তারপরেও দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। যাইহোক দৃশ্যটা অনেক দৃষ্টিনন্দন লাগছিলো, তাই ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২৩ জুলাই ২০২৪
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম একটি ঘেরের সাইট থেকে। বর্তমানে এখন নৌকা ভ্রমনের দৃশ্য দেখলে নৌকায় উঠতে খুব মন চায়। বিশেষ করে যদি বর্ষাকালে হয়, তাহলে আরো ইচ্ছা করে। কারণ আগে যেমন নৌকায় ওঠা যেত, এখন কিন্তু তেমন সেই দৃশ্যটা আর দেখা যায় না। একমাত্র গ্রামের সাইটে এইসব ঘের এলাকাগুলোতে গেলে একটু দেখা যায়। এখানে দেখছিলাম, কিছু ছেলেরা নৌকায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এখানে সন্ধ্যার সময়ে সব প্রায় ঘেরের মধ্যে জাল পাতার উদ্দেশ্যে যায়। এখানে কয়েকজিন সেই কাজই করছিলো আর কি। নৌকা দেখলে সেই শৈশবে নৌকায় চড়ার দৃশ্যটা মনে পড়ে যায়।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: খামার নওয়াবাদ
তারিখ: ২৩ জুলাই ২০২৪
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম গ্রামে একটি মাঠের ভিতর থেকে। এখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করছিলো আর সেটাই দেখতে দেখতে ছবি তুলছিলাম। এখানে এই মাঠটাতে বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দেয় মূলত, ক্রিকেট এবং ফুটবল। তবে ফুটবল টা প্রতিনিয়ত না হলেও ক্রিকেটটা প্রতিদিন দিয়ে থাকে। মাঠে এখন খেলাধুলা দেখলে ক্রিকেট খেলতে মন চায়, কিন্তু আসলে সেই সুযোগটা আর আগের মতো হয়ে ওঠে না। তবে দেখলে অনেক ভালো লাগে এখন। আগে বিকেলে মাঠে গিয়ে ক্রিকেট খেলা হতো খুব, কিন্তু এখন দেখা ছাড়া আর খেলাই হয় না প্রায় ৭-৮ বছর।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: জয়তারা
তারিখ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। যেখানে ভাসমান নৌকার সুন্দর চিত্র ফুটে উঠেছে। এদিকে মাঠে খেলা করা অবস্থায় অনেক মানুষের সুন্দর চিত্র। সব মিলে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপনার রেনডম ফটোগ্রাফির পোস্ট।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেশ চমৎকার এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার সুন্দর সুন্দর ফটো গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। যেখানে খেলাধুলা করার মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন। মাঠে এমন খেলাধুলা করতে দেখলে ভালো লাগে। এছাড়াও নৌকার ছবিটা অনেক সুন্দর ছিল।
দাদা ইকোপার্ক থেকে তোলা ভাস্কর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম এগুলো হয়তো বাস্তবের মেয়ে। পরে বুঝতে পেরেছি এগুলো আসলে ভাস্কর্য। দাদা আপনি সবসময় অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন, যেগুলো দেখলেই মুগ্ধ হয়ে যাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনি এলোমেলো এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। সবগুলো ফটোগ্রাফি হয়েছে অনেক বেশি দারুণ এবং মনোমুগ্ধকর।
দাদা আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো একেবারে মুগ্ধ হলাম। কারণ আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আজকেও। আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো যাতে দেখে আমার কাছে ততই ভালো লাগে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করে অনেক সুন্দর করে বর্ণনা সহকারে শেয়ার করেছেন। ইকোপার্ক থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। অন্য ফটোগ্রাফি গুলো ও অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। নৌকার ফটোগ্রাফিটা অনেক সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার মতো আমারও মাঠে ক্রিকেট খেলা দেখলে, ক্রিকেট খেলতে ইচ্ছে করে। একসময় প্রতিদিন ক্রিকেট খেলতাম। সেই দিনগুলো বড্ড মিস করি। যাইহোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে দাদা। বিশেষ করে ইকো পার্ক থেকে তোলা ভাস্কর্যগুলোর ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকুরিয়া লেকের ছবি গুলো বেশি ভালো লাগছে দাদা। তাছাড়া ইকোপার্কের ছবি গুলোও সুন্দর তুলেছেন দাদা।
আপনার শেয়ার করা আলোকচিত্র গুলো চমৎকার হয়েছে দাদা।আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন।আপনার আলোকচিত্র গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে প্রথম আলোকচিত্র দুটো, লেকের আলোকচিত্র গুলো ও অসাধারণ লেগেছে।সুন্দর বর্ননায় আরো বেশী সুন্দর হয়ে ধরা দিয়েছে।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা চমৎকার কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করার জন্য।