আলু দিয়ে বড়ো কাঁকড়ার মজাদার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। রেসিপি পোস্ট অনেকদিন করা হয় না, তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেওয়া যাক। এই রেসিপিটা করেছিলাম কিছুদিন আগে। কাঁকড়া আর আলু দিয়ে একটু ঝাল ঝাল মতো করেছিলাম। কাঁকড়া কিন্তু একপ্রকার এই ঝাল ঝাল বা ভুনা মতো করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে কাঁকড়া সব থেকে বেশি ভালো লাগে ভর্তা করে খেতে। আমার এখনই লেখার সময় জিভে জল আসছে হা হা। আজকে যদিও কাঁকড়া ভর্তা খেয়েছি, তাও এই খাবারটা বারবার খেতে ইচ্ছা হয়। কাঁকড়া সেটা বড়ো হোক বা ছোট, যেকোনোটাই খেতে অনেক ভালো লাগে।
তবে যদি কাঁকড়ায় ভালো শাঁস আর ঘিলু হয়, তাহলে বেশি ভালো লাগে। এই ধরণের কাঁকড়া যদিও বাজারে পাওয়া খুব দুর্লভ এখন, বেশিরভাগই কাঁকড়ার ভিতরে জল থাকে। এই বড়ো কাঁকড়াগুলো সাইজে একটু ছোট থাকলেও বেশ ভালো ঘিলু আর শাঁস হয়েছিল। এইরকম কাঁকড়া পেলে তরকারীতেও খেতে দারুন লাগে। এই রেসিপিটাও খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। যাইহোক, এখন রেসিপিটার প্রস্তুত প্রণালীর দিকে চলে যাবো।
❄প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❄
✦উপকরণ | পরিমাণ✦ |
---|---|
বড়ো কাঁকড়া | ৪ টি |
গোল আলু | ৮ টি |
পেঁয়াজ | ২টি |
রসুন | ২ টি |
কাঁচা লঙ্কা | ১০ টি |
গোটা জিরা | ২ চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণমতো |
লবন | ৫ চামচ |
হলুদ | ৪ চামচ |
জিরা গুঁড়ো | ২ চামচ |
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম--
❁প্রস্তুত প্রণালী:❁
➤কাঁকড়াগুলো প্রথমে কাটিয়ে ধুয়ে রাখা ছিল। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে কুচিয়ে রেখেছিলাম। একই সাথে রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছালিয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤কাঁকড়াগুলোতে লবন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কড়াইতে একটু তেল দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤তেল দেওয়ার পরে তাতে একটু হলুদ দিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে কাঁকড়াগুলো ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপর কাঁকড়াগুলো ভালো করে ভাজা মতো হয়ে এলে তুলে রেখেছিলাম।
➤অন্য কড়াইতে তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলু ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤এরপর পেঁয়াজ একইভাবে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলু দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে ভেজে রাখা পেঁয়াজ।
➤এরপর তাতে স্বাদ মতো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর একইভাবে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤এরপর তাতে ভেজে রাখা কাঁকড়া দিয়ে মিক্স করার পরে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤তরকারিটা কিছুক্ষন ধরে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর সেদ্ধ কিছু আলুর পিস তুলে নিয়ে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
➤গোলানো আলু তরকারিতে দিয়ে ভালো করে মিক্স করে দিয়েছিলাম এবং সামান্য জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন ধরে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম ভালোমতো হয়ে আসা পর্যন্ত।
➤তরকারি ভালোভাবে হয়ে এলে নামিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে একটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ব্লগের মধ্যে কিছু আনকমন রেসিপি দেখতে পায়। যেটা অন্য কোথাও তেমন দেখি না। যেমন আজকে আলু দিয়ে বড়ো কাঁকড়ার মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাঁকড়া রেসিপি তেমন দেখি না। আমি কাঁকড়া ভাজি করে খেতে বেশি পছন্দ করি। আপনার রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
মজার বিষয় হচ্ছে দাদা,আজ আমরাও বড় কাঁকড়া খাবো।যাইহোক তবে আপনার কাঁকড়াতে তো ভালোই শাস হয়েছে দেখছি।কাঁকড়া ভর্তা আসলেই টেস্টি, আপনার রেসিপিটি দারুণ হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনি আজকে খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। আপনি সবসময় অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করেন। অনেক লোভনীয় লাগছে আপনার তৈরি করা রেসিপিটা। দেখেই বুঝতে পারছি কতটা মজা করে খেয়েছিলেন। এই রেসিপিটা কখনো খাওয়া হয়নি, কিন্তু দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।