প্রায় এক সপ্তাহ বাদে সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলো!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। বর্তমানে আসলে আমাদের ভারতে মনিপুর নামের একটি অঞ্চলে খুবই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আসলে মানুষে মানুষে যদি এতো হিংসা করা হয় তাহলে পরিস্থিতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের থেকেও যেন মাঝে মাঝে ভয়াবহ হয়ে পড়ে। আর এইসবের সুযোগ কিন্তু নিয়ে থাকে একদল সন্ত্রাসী, তারা আসলে সুযোগ পেতে থাকে যে, কখন একটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে আর সেটাকে নিয়ে তারা একটা বড়ো ইস্যু তৈরি করবে। বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছিলাম বিভিন্ন খবরে যে, মনিপুরের বেশ কিছু জায়গায় বিভিন্ন ভাবে হামলা করা হচ্ছে, আর এইসবের পিছনে রয়েছে একদল সন্ত্রাসী। একপ্রকার ধীরে ধীরে একটা অশান্ত পরিবেশ তৈরি করে ফেলে।
এদের আসলে এক্সাক্টলি কোনো কারণ লাগে না, ইচ্ছা হলেই হামলা চালায়। যেন এইসব করেই তাদের শান্তি। কিন্তু এইসবের কারণে আসল সমস্যাগুলো হয়ে যায় সাধারণ মানুষের। তাছাড়া নানাবিধ সমস্যাও ক্রিয়েট হয়, যেমন এখানে শিক্ষাক্ষেত্রেও একটা বড়ো সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। আসলে এই ঘটনা যে এই প্রথম তা কিন্তু না, এ একপ্ৰকার জম্বু কাশ্মীরের দিকেও যেমন হামলাগুলো প্রায় হয়ে থাকে এখানেও এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাঝে তো জম্বু কাশ্মীরের দিকে রেড এলার্ট জারি করে দিয়েছিলো। এইগুলো আবার শিথিল হতেও বেশি সময় লাগে না। পরিস্থিতি খারাপ হলে সাথে সাথে সেটাকে আবার সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে বিভিন্ন ধরণের ধারা চালু করে।
এখন তো হামলা আকাশপথেও চলছে, মানে ড্রোন এর মাধ্যমেও হামলা চালায়। এদের যেন আসলে বলতে গেলে পুলিশদেরও ভয় করে না, তাদের অস্ত্রাগারও লুঠ করতে প্রস্তুত হয়ে যায়। আর সেটাও করেছে বলতে গেলে ওখানে। আর্মি নামিয়েও কাজ হয় না এদের আসলে, নাজেহাল করে দেয় সবদিকে। পরিস্থিতি তবে নিয়ন্ত্রণ করতে কার্ফু পর্যন্ত জারি করা লেগেছিলো, তবে সেটা একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য। আসলে এই দীর্ঘ সময়টা ইন্টারনেটের যুগে ১ সপ্তাহ হলেও যেন একটা ১ মাসের সমান মনে হবে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে আসলে সব থেকে বাজে অবস্থা হয়, কারণ এক তো প্রায় ঘরবন্দি থাকতে হবে আর তার উপর যদি সবকিছু বন্ধ করে দেয়, তাহলে তো সমস্যা।
আজকাল মানুষের জনজীবন এমন যে, সারাদিন যদি ভাত না খেয়ে থাকে তাহলে সমস্যা নেই, কিন্তু ইন্টারনেট অফ থাকলে সেটা আর বললাম না...। একপ্রকার সবকিছুই এই হিংসার জেরে বন্ধ করে দিয়েছিলো তারা। কারণ সব থেকে বড়ো অস্ত্র হলো এই ইন্টারনেট তাদের, এর মাধ্যমেই আরো পরিস্থিতি খারাপ হয়, আসলে কিছুই করার থাকে না, অনেক সময় বাধ্য হয়েও এইগুলো করতে হয় নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য। এখন সত্যি বলতে গেলে কিছু কিছু জায়গায় যেন একটা হিংসার দাবানল জেগে উঠেছে। আসলে ছোট ছোট বিষয় থেকেই বড়ো কোনো পরিস্থিতির তৈরি হয়। এখানেও কিন্তু এইধরণের বিভিন্ন ছোট খাটো সমস্যা থেকেই এতো বড়ো একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর এইগুলো একজনের প্রতি আরেকজনের একটা হিংসাত্মক মনোভাব এর কারণে হয়ে থাকে, রাজনৈতিক পরিবেশে এটা একটা জঘন্য সমস্যা।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




আসলেই দাদা সারাদিন ভাত না খেয়ে থাকা যায়, তবে ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্তও থাকা যায় না। ইন্টারনেট ছাড়া একেবারে বোরিং সময় কাটে। সেটা আমরা কিছুদিন আগে খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। যাইহোক ভারতের মনিপুরের মানুষজন তো তাহলে বেশ ঝামেলার মধ্যে ছিলো। ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকাল ইন্টারনেট ছাড়া চলা বড় মুশকিল।এ ধরনের সমস্যা আমরা ও ফেস করেছিলাম।তখন খুবই বোরিং সময় আমাদের কেটেছিল।মনিপুরের মানুষ গুলো তবে বেশ ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছে বুঝতে পারলাম।তবে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।