শান্তিনিকেতন ভ্রমণ ( পর্ব ৩ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। তো ওইদিন পৌষ মেলা থেকে আমি আর সৈকত প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র আর পিঠা এইসব কিনে নিয়ে হোটেলে চলে এসেছিলাম। আর আমাদের একদিনের ট্রিপ ছিল, তাই পরেরদিন আমাদের সকালে ১১ টার মধ্যে আবার চেক আউট এর সময়ও ছিল। আমরা যদিও উঠেছিলাম ১০ টার দিকে আর সবকিছু রেডি হয়ে আমরা চাবিটা দিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। যেহেতু আমরা অনেক আগে বেরিয়েছিলাম, তাই ভেবেছিলাম মোটামুটি আশেপাশে আর যত ঘোরার জায়গা আছে, সব জায়গায় ঘুরে তারপর বাড়ি যাবো। তো আমরা প্রথমে যাওয়ার চিন্তা করেছিলাম আদিবাসী গ্রামে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
তবে আমরা আদিবাসী গ্রামে যাওয়ার যে রাস্তাটা সহজ ভাবে দেখাচ্ছিল ম্যাপে, সেটা দিয়ে যেতেই দিলো না। যদিও এই সমস্যাটা সাধারণ সময়ে হয় না, এই মেলার কারণে এই সমস্যাটা তৈরি করেছে। আমরা পরে সোনাঝুরি হাটের ওই সাইড দিয়ে ছোট রাস্তা ধরে আস্তে আস্তে আদিবাসী গ্রামে ঢুকে পড়েছিলাম। তবে ওখানে গিয়ে আমার কাছে আদিবাসী গ্রাম যেন মনেই হচ্ছিলো না। কারণ আমার মনে একটা ধারণা ছিল যে, আদিবাসীরা যেমন হয়, সেইরকমই তাদের পোশাক থাকবে হা হা। তবে যাইহোক, ওখানে আদিবাসী গ্রামের ভিতরে আসলে তেমন কিছু দেখার মতো ছিল না , শুধু বৌদ্ধ মূর্তি ছাড়া। সবাই মোটামুটি ওই একটা বিষয়ের জন্যই যায় দেখতে। আমরা রাস্তার একটি সাইডে গাড়ি পার্ক করে ভিতরে চলে গিয়েছিলাম বৌদ্ধ দেবের সেই বিশাল মূর্তিটি।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এখানে বোধি বৃক্ষটাও দেখতে পাবেন, যেখানে এই বৃক্ষেরই নিচে বসে ৬ বছর কঠোর সাধনা করে বৌদ্ধতা লাভ করেছিলেন। এছাড়া আরো অনেক কিছুই এখানে বৌদ্ধ দেবের অনেক কিছুই এখানে দেখতে পাবেন। তার পুরোনো বাড়িটাও এখানে আছে। যদিও এইগুলো বহু বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখলেও ওখানে দেখাশুনা করা লোকেরা ব্যবহার করে। থাকে জায়গাটা একটা বিভিন্ন বৃক্ষের বাগানে পরিণত হয়েছে, দেখতেও বেশ ভালো সৌন্দর্যমন্ডিত লাগছিলো বিষয়গুলো। এছাড়া এখানে ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্মরক হিসেবে একটি শহীদ মিনারও তৈরি করা আছে। এইগুলোর প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের। এখানে লিখিতও আছে বিষয়গুলো।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এছাড়া এখানে আরো অনেক প্রতিষ্ঠিত বিষয়গুলো আছে। এরপর উপরে তৈরি করা সেই বিশাল বৌদ্ধ দেবের মূর্তিটিকে দেখছিলাম, অনেক বড়ো আর সৌন্দর্যপূর্ণ। তারপর এখানে পাশে আরো বেশ কিছু মূর্তি তৈরি করা ছিল, যেমন- রানী মহামায়া দেবী, রাজা শুদ্ধদ্দনা। এছাড়া আরো কিছু মূর্তি আছে, যাদের নাম মনে নেই। পাশে প্লেটে যদিও লেখা ছিল, কিন্তু রৌদ্রের আলোর তেজে তেমন ছবিতে দেখা যাচ্ছিলো না। এইরকম আরো বেশ কিছু বিষয় এখানে আছে যেগুলো দেখছিলাম। বিভিন্ন নীতি কথা, যা অনেক জ্ঞানসম্পন্ন। এখানে আসলে এইসব আকর্ষণীয় বিষয়গুলো পর্যটকদের মনকে দারুন ভাবে আকৃষ্ট করেছে। এখানে গেলে আসলে ভিতরে শুধু যে বৌদ্ধ মূর্তি আছে, তা নয়, আরো অনেক কিছু বৌদ্ধ দেবকে কেন্দ্র করে আছে, যেগুলো সত্যি অনেক সুন্দর আর সৌন্দর্যপূর্ণ। যাইহোক, এরপর আমরা ওখানে কিছুক্ষন থেকে সবকিছু ভালোমতো দেখে বেরিয়ে এসেছিলাম।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শান্তিনিকেতন ভ্রমণের আজকের পর্বটাও কিন্তু খুব সুন্দর ছিল দাদা। আর আমার কাছে এই পর্বটাও অনেক ভালো লেগেছে পড়তে। এই পর্বে আপনি আরো অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত এবং আরো অনেক সুন্দর সুন্দর দেখতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এগুলো দেখার সুযোগ হলো আপনার আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে। আশা করি প্রতিটা পর্ব সুন্দর ভাবে শেয়ার করবেন দাদা। অপেক্ষায় থাকলাম এখন পরবর্তী পর্বটার জন্য।
আমার কাছে শান্তিনিকেতন ভ্রমণের আগের পর্ব গুলো যেমন ভালো লেগেছে, তেমনি আজকের পর্ব টাও খুব ভালো লাগলো দাদা। এই পর্বে আলাদা কিছু সৌন্দর্য আমাদের মাঝে আপনি তুলে ধরেছেন। প্রতিটা দৃশ্যকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে ক্যামেরা বন্দি করেছেন। বিভিন্ন মূর্তিগুলোর সৌন্দর্য বেশি ভালো লাগলো দেখে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে এই পর্বটাও শেয়ার করার জন্য। আশা করি পরবর্তী পর্বগুলো শীঘ্রই শেয়ার করবেন। এ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম।
হোটেল থেকে বের হয়ে আদিবাসী গ্রামে গিয়েছিলেন তাহলে। আদিবাসী গ্রামে তো দেখছি অনেক গুলো বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। তাছাড়া শহীদ মিনারও তো রয়েছে দেখছি। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।