রাজ হাঁসের মাংসের মজাদার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। অনেকদিন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করা হয় না, আসলে দেব ভাবি কিন্তু ছবিগুলো আর সাজাতে ইচ্ছা হয় না এই গরমে। এই রেসিপিটা আসলে করেছিলাম সপ্তাহ দুই আগে, কিন্তু এই তারিখ দেব, ওই তারিখ দেব করে করে আর সাজানো হয় না। তাই আজকে ভাবলাম রাতের দিকে সাজাই। এই রেসিপিটা করেছিলাম রাজ হাঁসের। তবে হাঁসটি রানার ছিল। আমার এইবার কপাল খারাপ, যে কয়বার রাজ হাঁস কিনতে গিয়েছি এই রানারই কপালে পড়েছে হা হা। যদিও সকালে যেতে পারলে ভালো হয়, কিন্তু আমার সন্ধ্যার দিকে ছাড়া সকালে হয় না, কারণ উঠতেই পারিনা সকালে। যাইহোক, রাজ হাঁস কিন্তু খেতে অসাধারণ লাগে, এই হাঁসগুলো বা যে প্রকারের হাঁসই হোক না কেন, শীতের সময়ে বা বর্ষার সময়ে খেতে কিন্তু দারুন লাগে। আর হাঁসের মাংস একটু পাতলা ঝোলেই কিন্তু বরাবর ভালো লাগে।
তবে এই রেসিপিটাতে আমি একটু কম ঝোলেই রান্না করেছিলাম। হাঁসের মাংস এক দিক থেকে কষা মাংস হিসেবে দারুন লাগে, আর একটু স্পাইসি হলে তো আরো দারুন লাগে। প্রেসার কুকারে সিটি মারার পরে যে সেদ্ধ হয় ওটাই দারুন লাগে। অনেকের আবার ভালো মতো রান্না না হলে ভালো লাগে না এক্ষেত্রে। আমার বাড়িতেও তাই, কিন্তু আমি একটু ভিন্ন ধরণের। আসলে মাংসের ক্ষেত্রে আমি একদমই বাচক করিনা, সেদ্ধ হলেই শুরু হয়ে যায় খাওয়া হা হা। আর হাঁসের মাংস মেইন হলো একটু জটিল টাইপের, আর এই মাংসগুলো আমার একদম সফ্ট এর থেকে টেনে টেনে ছিড়ে খেতে যেন বেশি ভালো লাগে। সে যাইহোক, রেসিপিটা খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল, আর লঙ্কায় যা লাল হয়েছিল, দেখতেও দারুন লাগছিলো। যাইহোক, এখন রেসিপিটা তৈরির ধাপসমূহের দিকে চলে যাবো।
☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬
❦এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
❖পেঁয়াজ এর খোসাগুলো প্রথমে ভালো করে ছালিয়ে নিয়ে কেটে রেখেছিলাম। এরপর রসুনগুলোর কোয়াগুলো থেকে খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম। একই সাথে আদার খোসা ছালিয়ে কেটে রেখেছিলাম।
❖আগে থেকে কেটে রাখা আলুগুলো কড়াইতে তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖মিক্সারের বাটিতে কেটে রাখা পেঁয়াজ, আদা, রসুন সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
❖একইভাবে গোটা জিরা, লবঙ্গ, এলাচ, শুকনো লঙ্কা সব কড়াইতে করে গরম করে নেওয়ার পরে মিক্সারের বাটিতে করে পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
❖এইবার মাংসগুলো ধুয়ে যে পাত্রে রেখেছিলাম তাতে পেস্ট করে রাখা সব মশলা এবং স্বাদ মতো লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖এরপর সব ভালো করে মেরিনেট করে নেওয়ার পরে প্রেসার কুকারে চাপিয়ে দিয়েছিলাম এবং দুটি সিটি মেরে নিয়েছিলাম।
❖এরই মাঝে কড়াইতে তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা আর তেজ পাতা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖মাংসগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে সেগুলো কড়াইতে ঢেলে নিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে ভেজে রাখা আলু দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে ভালোভাবে উল্টিয়েপাল্টিয়ে মাংসের সাথে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে ১ চামচ জিরা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম তরকারিটা আরো ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য।
❖মাংসের ঝোলটা ঘন হয়ে আসলে আর তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




রাজ হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। যদিও বেশি কিছু দিন আগে খেয়েছিলাম। দাদা আপনি ঠিক বলেছেন শীতকালে এবং বর্ষার শুরুতে যে কোন হাঁসের মাংস খেতে মজা লাগে। আপনারে রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক বেশি মজা হয়েছিলো। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রাজ হাঁসের মাংস পারফেক্টলি রান্না করতে পারলে খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে পারফেক্টলি রান্না করাটাই মেইন। রেসিপিটা খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। কালার টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক স্পাইসি হয়েছে রেসিপিটা। তবে হাঁসের মাংস রান্না করার ক্ষেত্রে শুকনো লঙ্কা কখনো ব্যবহার করা হয়নি। শুকনো লঙ্কা দিয়ে তৈরি করা পেস্ট টার কারণে ফ্লেবার নিশ্চয়ই অনেক ভাল এসেছে। ধন্যবাদ দাদা সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রাজহাঁস মাংসের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। অনেকদিন আগে রাজহাঁসের মাংস খেয়েছিলাম, বন্ধুরা মিলে পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম তখন। তারপরে আর খাওয়া হয়নি। প্রায় এক বছর হয়ে গেল। আজকে আপনার এই রাজ হাঁস মাংসের সুস্বাদু রেসিপি দেখেই যেন সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আপনার রেসিপি পরিবেশন এবং রেসিপিটা দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার মত আমারও রাজহাঁসের মাংস খুবই প্রিয়। রাজহাঁসের মাংস পেলে ও দিন এত পরিমান খাবার খেতে পারি পেট নিয়ে আর চলাফেরা করতে পারি না। সারারাত জেগে কাজ করলে সকাল সকাল ওঠাটা খুবই কঠিন। চেষ্টা করতে থাকেন একদিন দেখবেন সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন। যাইহোক আপনার রাজহাঁসের রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে পরিবেশন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যা যে কেউ রাজহাঁসের মাংস রান্না করতে পারবে। রাজহাঁসের মাংস একটু ঝাল বেশি দিলে আরো বেশি স্বাদ হয়। এবং কালারটা হয় খুব সুন্দর। আপনার সুন্দর রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
রেসিপি টা খেতে যে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল সেটা তো দেখেই বুঝা যাচেছ। দারুন একটি রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। রাজহাঁসের মাংস কিন্তু এমন করে রান্না কররে ভাত বা রুটি দিযে খেতে বেশ ভালোই লাগবে। সুন্দর করে রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
এই জন্যই তো বলি বিয়েটা করা খুবই দরকার, আর কিছু হোক বা না হোক সকালে উঠাটা নিশ্চিত হয়ে যাবে হি হি হি । আসলেই ভাই রাজ হাঁসের মাংসের স্বাদটা বেশ দারুণ, আপনার রান্নাটাও দারুণ হইছে।
😆😆, তাহলে তো আরো বিপদ। তখন তো আর টোটালি ঘুমোতে দেবে না।
হাঁসের মাংস আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। আজকে আপনি আমাদের মাঝে হাঁসের মাংস খুব সুন্দর করে রান্না করে দেখিয়েছেন দাদা। আপনার এই চমৎকার মাংস রান্না দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। পাশাপাশি খুব সুন্দর একটি রেসিপি ব্লগ তৈরি করা শিখলাম। সুন্দর এর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই দাদা সকালে ঘুম থেকে উঠতে খুবই কষ্ট লাগে। সেজন্য খুব দরকার ছাড়া আমি সকালে ঘুম থেকে উঠি না সহজে। যাইহোক শীতকালে এবং বৃষ্টির দিন রাজহাঁস কিংবা যেকোনো হাঁসের মাংস খেতে দারুণ লাগে। বিশেষ করে ঝাল ঝাল করে রান্না করে, চিতই পিঠা দিয়ে খেতে খুবই ইয়াম্মি লাগে। যাইহোক রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে স্পাইসি এবং সুস্বাদু হয়েছে। হাঁসের মাংস স্পাইসি না হলে খেতে তেমন ভালো লাগে না। এবার শীতকালে বেশ কয়েকটি হাঁস খাওয়া হয়েছিল। যাইহোক রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যেহেতু সকালেই উঠতে পারেন না সকালে ঘুম থেকে ওঠা মানে সে ঝামেলার ব্যাপার দাদা। আপনি রাজহাঁস নিয়ে আসলেন সেই সাথে সুস্বাদু ভাবে রান্না করলেন। অনেক প্রকারের রাজহাঁস আছে। যাই হোক রাজহাঁস রান্না করলে একটু ঝোল বাড়ায় দিয়ে ঝাল করে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা রেসিপি গুলো আমার কাছে সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে। দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু ভাবে তৈরি করেন। অনেক ধন্যবাদ।