শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল লখনৌ আর রাজস্থানের মধ্যে একটি ম্যাচ ছিল। যদিও গতকাল দুটি ম্যাচ খেলা হয়েছে। দুপুরে যেটা হয়েছিল গুজরাট আর দিল্লির মধ্যে, সেটা খুবই স্ট্রং একটি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। কারণ টোটাল ৪০০+ রানের খেলা হয়েছে গতকাল এই দুটি টিমের মধ্যে। এমনিতে লখনৌ আর রাজস্থানের মধ্যে খেলাটাও বেশ ভালো হয়েছে। মূলত রাজস্থানের বর্তমান পয়েন্ট তালিকা বা নেট রান রেটের যা পরিস্থিতি, তাতে তাদের আর উপরে ওঠার কোনো পর্যায় নেই। বর্তমানে তাদের এখন যে কয়টা ম্যাচ সামনে আছে, তার মধ্যে সবগুলো জিততে পারলেও প্লে অফের দোর গড়ায় পৌঁছাতে পারবে না।
তবে সেই দিক থেকে লখনৌ টিম বিগত কয়েকটা ম্যাচ ভালো খেলে এসে ভালো একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে অর্থাৎ প্রথম ৪ এর মধ্যে তাদের অবস্থান এখন। প্রথম দিকেও তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তবে শেষ অব্দি তাদের এই অবস্থান থাকবে কিনা বা কতদূর থাকবে সেটাই হলো কথা। তবে গতকাল লখনৌ প্রথম দিকে মোটামুটি ধরে রেখেছিলো, তবে অতটাও ভালো হচ্ছিলো না। মানে গড় হিসেবে করলে মনে হচ্ছিলো ১৫০ এর মধ্যে তাদের থেমে যাবে। তবে খেলার বিষয়ে একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, লাস্টের ২-৩ ওভারে সর্বোচ্চ রান উঠে যায়। যা ভাবা যায় না, সেটাই হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত। আসলে একমাত্র ওপেনে তাদের মারকরাম খেলছিল ভালোই, কিন্তু মাঝখান থেকে পরপর ৩ টা আউট হয়ে যায়।
ফলে মেইন চাপটা সেখানে হয়ে দাঁড়ায়। আসলে রান কোনো প্লেয়ার একা করতে লাগলেও কিন্তু রান রেট বাড়ে না। মেইন ফোকাস যদি ভালো পার্টনারশিপের দিকে করা যায়, তাহলে রান চেজ করতে বেশিক্ষন লাগে না বা রান তুলতেও বেশিক্ষন লাগে না। গতকাল লখনৌ চাপে পড়ে গেছিলো পরপর উইকেট পড়ে যাওয়ায়। তবে এখানে আবার মারকরাম এর মতো দুজন আয়ুষ আর আব্দুল নামের দুই প্লেয়ারও লাস্টের দিকে ভালো রান করে অর্থাৎ ৮০ রানের একটা ভালো গেটাপ তৈরি করে দিয়ে যায়। ফলে লখনৌ শেষ অব্দি লড়াইয়ের মতো একটা রান ছুড়ে দেয়। তবে রাজস্থান যা শুরু করে দিয়েছিলো, তাতে মনে হচ্ছিলো ছেলে খেলা করার মতো বল হচ্ছে তাদের সামনে।
আর রাজস্থান আজকে একদম কম বয়েসের একটা প্লেয়ার, ১৪ বছর তার বয়স, তাকেই নামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই এসে প্রথম বলের থেকে ঝড় তুলে দিলো যেন। যাইস্বল আর বৈভব এই দুইজন পাওয়ার প্লে ওভারে যেন ধুমধাম সমানে মেরে গিয়েছে। ছেলেটার বয়স কম হলেও খেলেছে ভালোই। তবে আরো ভালো খেলে যেতে পারতো, যদি স্টাম্পিং না হতো। ছেলেটা চেয়েছিলো প্রথম দিনে অর্থাৎ অভিষেক ম্যাচে ভালো একটা রান করে যাওয়ার। করছিলোও বটে, কিন্তু স্টাম্পিং হয়ে যায়। যেতে যেতে কেঁদেও দিয়েছিলো, আসলে কম বয়স আর প্রথম দিন, আবেগ আর ধরে রাখতে পারেনি।
যাইহোক, ম্যাচের আসলে অর্থাৎ রানের যে গতি ছিল, তাতে রাজস্থানের এই ম্যাচ জিতে যাওয়ার কথা ছিল। যাইস্বল অনেক্ষন টিকে ছিল, ফলে রানটাও বাড়ছিল। পরে আসলে একটু চাপ হয়ে যায়, তাও রান এমন পর্যায়ে ছিল, বেরিয়ে যেত। কিন্তু তীরে এসে ভরা ডুবির মতো অবস্থা হয়ে গেলো। মাত্র ২ টি রানের ব্যবধানে হারতে হলো তাদের। একদম যেন নাকের ডগা দিয়ে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে গেলো লখনৌ।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই ১৪ বছরের ছেলেটা বিষ্ণু বৈভব সম্ভবত নাম প্রথম থেকেই আলোচনায় ছিল। বিশেষ করে প্রথম বলেই ৬ এটা ছিল বেশ আশ্চর্যের। কিন্তু শেষ পর্যায়ে গিয়ে তাদের ম্যাচটা হারতে হয়।