ভারতের নয়ে ৯
নমস্কার বন্ধুরা,
কালী পুজো ও দীপাবলির রাতে ভারতের নয়ে ৯। ২০২৩ এক দিবসীয় বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল টানা নয় ম্যাচে জয়লাভ করে অনন্য নজির গড়লো। বিশ্বকাপের গ্রুপ স্টেজের ৪৫ তম এবং শেষ ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে ছিলো স্কট এডওয়ার্ডসের নেদারল্যান্ড।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথমে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিধংসী ফর্মে থাকা রোহিত শর্মার সাথে ব্যাট করতে নামে ভারতের আরেক ওপেনার শুভমন গিল। ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই নেদারল্যান্ডের বোলারদের তিষ্ঠতে দেয়নি ভারতের দুই ওপেনার। দুজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ের দৌলতে ভারত খুব তাড়াতাড়ি ১০ ওভারে ৯১ রান করে ফেলে। শুভমন গিল মাত্র ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি গন্ডি পেরিয়ে যায়। দলগত ১০০ রানের মাথায় শুভমনকে প্যাভলিয়নে পাঠায় ভ্যান মিকরিন। কিছু সময়ের মধ্যে অধিনায়ক রোহিত শর্মাও ব্যক্তিগত ৬১ রানের মাথায় ডে লিডের বলে আউট হয়। তারপর বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ব্যাটের হাল ধরে।
ব্যক্তিগত ৫১ রানের মাথায় বিরাট কোহলি প্যাভলিয়নে ফিরে যায়। ভারতের স্কোর তখন ২৯ ওভার শেষে ২০০ রান। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামে কে এল রাহুল। শ্রেয়স আইয়ারের সাথে জুটি বেঁধে কে এল রাহুল খুব দ্রুত রান নেওয়া শুরু করে। শ্রেয়স আইয়ার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করতে সমর্থ হয়। শেষ ওভার গুলোতে কে এল রাহুলের ব্যাট থেকে আগুন ঝরতে শুরু করে। কে এল রাহুল ৬১ বলে সেঞ্চুরি করে।
যা ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের হয়ে সবচাইতে দ্রুত সেঞ্চুরি। ৫০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪১০ রান।
পাহাড় প্রমাণ ৪১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নেদারল্যান্ডের ব্যাটাররা শুরুতেই চাপে পড়ে যায়, যখন দ্বিতীয় ওভারে সিরাজের দুর্দান্ত বলে ওপেনার বেরাসির প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। আরেক ওপেনার ও'ডাউড আকারম্যানের সাথে দুটি বেঁধে নেদারল্যান্ডকে কিছুটা অক্সিজেনের যোগান দিতে সমর্থ্য হয়। তবে ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে আকারম্যান কুলদীপ যাদবের বলে উইকেট দিয়ে বসে।
দ্বিতীয় উইকেটের পরে নেদারল্যান্ড অল্প বিরতিতে তৃতীয় উইকেটও হারায়। চতুর্থ উইকেটে নেদারল্যান্ড অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস সিব্রান্ড ইনগেলব্রিকের নেদারল্যান্ডকে কিছুটা শক্তি দিলেও বিরাট কোহলির বলে স্কট এডওয়ার্ডস শিকার হয়ে যায়।
ম্যাচ গড়াতে শুভমন গিল, সূর্য কুমার যাদবরাও হাত ঘোরাতে ছুটে আসে। চতুর্থ উইকেটের পর নেদারল্যান্ড ব্যাটারদের ক্রিজে আসা-যাওয়া লেগেই ছিলো। তেজা নিদামানুরু ইনিংসের শেষে কিছুটা চেষ্টা করলেও ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার বলে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে আউট হয়ে যায় এবং সেই সাথে ভারত জিতে নেয় তাদের নবম ম্যাচ।

এবারের বিশ্বকাপে ভারতের পারফর্মেন্স বেশ দুর্দান্ত আছে এখন পর্যন্ত। বিশেষ করে ভারতের ব্যাটিং বোলিং দুটোই অনেক শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে। নেদারল্যান্ডের সাথে বেশ দুর্দান্ত ম্যাচ খেলেছে ভারত। আমি আশা করি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে ভারত ফাইনালে পা রাখতে পারবে। সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
গ্রুপ পর্বে ভারতের নয়ে নয় জয় যা একেবারে অভাবনীয়।ম্যাচটা আমি দেখেছিলাম। শুভমান গিল একেবারে ভুল শর্ট সিলেকশনে ক্যাচ আউট হয়ে যায় না হলে স্কোর টা আরও বাড়াতে পারত। কিন্তু শেষমেশ রাহুলের ঝড়ো সেঞ্চুরি ভারতকে এনে দেয় পাহাড় সমান টোটাল। যে রান শুধু নেদারল্যান্ডস কেন কোন দলের দ্বারাই চেজ করা সম্ভব না। তবে নতুন হিসেবে নেদারল্যান্ডস খেলেছে বেশ ভালো। একেবারে ২৫০ রানের গন্ডি পেরিয়েছে। এখন সেমিফাইনালের অপেক্ষায় আছি দাদা।
এই ম্যাচে ভারতের ইনিংসের শুরুতেই ভেবেছিলাম ভারত বিশাল স্কোর গড়তে সক্ষম হবে। শ্রেয়াস আইয়ার এবং কে এল রাহুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভারত শেষ পর্যন্ত ৪১০ রান করতে সক্ষম হয়। এতে করে ভারত বিশাল জয় পায় নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে। ভারত পুরো টুর্নামেন্টে এককথায় দুর্দান্ত খেলেছে। আশা করি বাকি দুটি ম্যাচ জিতে ভারত ওয়ানডে বিশ্বকাপে তৃতীয় বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।