টিভি সিরিজ : রিচার - ফার্স্ট ডান্স // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। আজ ফের আপনাদের সাথে আরো একটি রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম রিচার টিভি সিরিজের, দ্বিতীয় এপিসোড। মোট ছটি এপিসোড নিয়ে টিভি সিরিজটি তৈরী আগের দিন রিচারের প্ৰথম এপিসোড নিয়ে হাজির হয়েছিলাম আজকে দ্বিতীয় এপিসোড নিয়ে হাজির হলাম ফার্স্ট ডান্স। গতমাসে ৪ তারিখে মুক্তি পাওয়া রিচার, লি চাইল্ড বিখ্যাত উপন্যাস জ্যাক রিচারের টেলিভিশন সংস্করণ। আগের দিন আমরা জানতে পেরেছি, কিভাবে জ্যাক রিচার মারগ্রেভে ব্লুজ সঙ্গীতশিল্পী ব্লাইন্ড ব্লেকের খোঁজ করতে এসে পর পর দুটো খুনের সম্মুখীন হয়। যার মধ্যে দ্বিতীয় খুব হওয়া ব্যক্তি তার নিজের ভাই।
ভাইয়ের হত্যার পর রিচার ফিনলে ও রস্কোর সাথে তার ভাইয়ের হত্যা তদন্তে যোগ দেয়। আততায়ীদের পরের লক্ষ্য পল হবে সে কথা ভেবে রিচার ও রস্কো পলের বাড়ি যায় কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে পলের স্ত্রীর সাথে কথা বলে আর বাড়িতে তল্লাশি করে নেয়।
ভাইয়ের মৃত্যুর কয়েকঘন্টা না পেরোতেই সবকিছুর মাঝে আরো দুটো হত্যাকান্ড বেরিয়ে আসে। অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা পুলিশ প্রধান মরিসন ও তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। রিচার বুঝতে পারে কারাগারে আসলে পল হাবলই ছিলো হত্যার মূল লক্ষ্য। কিন্তু পুলিশ প্রধান মরিসন সে কার্যসিদ্ধি না করতে পারায় ষড়যন্ত্রকারীরা প্রতিশোধ হিসেবে মরিসন ও তার স্ত্রীকে মেরে ফেলে।
কয়েকদিন পল নিখোঁজ থাকার পর পলের পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে ফিনলে তার বন্ধু, এফবিআই এজেন্ট পিকার্ডের সাহায্য নিয়ে পলের পরিবারকে পিকার্ডের হেফাজতে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়।
পুলিশ প্রধান মরিসন মারা যাওয়ার পর, মেয়র টিলে নিজেই পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন ও ফিনলের তদন্তের পথ ঘুরিয়ে অন্যভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
রিচার কারাগারের ঘটনার পেছনের মাথার খোঁজে নেমে কারাগার কর্মী স্পিভির সাথে ছলনা করে দেখা করার জন্য সম্মত করাতে পারে তারপর তারা ব্লু ক্যাট বার অ্যান্ড গ্রিলে দেখা করায় সম্মত হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে রিচার বুঝতে পারে দুজন দক্ষিণ আমেরিকান আততায়ী আগে থেকেই তার জন্য অপেক্ষা করছে। সুকৌশলে রিচার দুজনের সাথে মারামারি করার সময় স্পিভি পালিয়ে যায়।
রস্কো তারপর রিচারকে নিয়ে কাছের একটি মদ্যশালায় নিয়ে যায়, যেখানে রিচার নিজের অতীত সম্পর্কে সব কথা রস্কোকে বলে। দুজনে মারগ্রেভে ফেরার পথে জানতে পারে তাদের যাওয়ার রাস্তাটি বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেছে ও বাধ্য হয়ে একটা হোটেলেই তারা রাত কাটাতে বাধ্য হয়।
সকাল হলে দুজনে মারগ্রেভ ফিরে আসে। মারগ্রেভে ফিরে সোজা রস্কোর বাড়ি যায় যেখানে দেখে অজ্ঞাত পরিচয় কেউ রস্কোর বাড়ির গেট ভেঙে ঢুকে দরজার পেছনে লিখে গেছে "সি ইউ সুন"।
দ্বিতীয় এপিসোডের শেষের দরজার লেখা দেখে আরো রোমাঞ্চ বেড়ে যায়! কারা আছে সব খুনের পেছনে? পরের এপিসোড গুলোতে আরো কিছু জানতে পারবো।
আপনারা অনেকেই জানেন থ্রিলার আমার খুবই পছন্দের। জ্যাক রিচারের উপন্যাস আমার খুবই পছন্দের। প্রত্যেকটি চরিত্র দারুন অভিনীত। রিচার আর রস্কোর প্রেমের সম্পর্ক পুরো সিরিজটাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলছে।
পরিচালনা | ৮.৫ |
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৮ |

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মুভি দেখা হয়না আমার এত বেশি। আগে আমি প্রায় সময়ই মুভি দেখে কাটাতাম। কিন্তু বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে কোন মুভি নাটক দেখা হয়না। আপনার মুভি রিভিউ দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। মুভি দেখার ইচ্ছে জাগতেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মুভি দেখার ইচ্ছে জাগাতে পারলে তো আমার রিভিউ গুলো সার্থকতা পায়। ধন্যবাদ দিদি 🤗
এই ধরণের মুভি গুলা আসলেই ভালো লাগে ,কারণ এই সব মুভিতে হটাৎ করে এমন কিছু বের হয়ে আসে যেটা হওয়ার না। তবে আমার এই ধরণের মুভি দেখা হয়না অনেক দিন হলো। পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ দাদা।
যখন হয়না তাহলে সময় করে দেখা শুরু করে দিন। আশা করছি খুব ভালো লাগবে।
বেশ মুভি তো! একবার দেখতে হচ্ছে , সবটা পরে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে, মুভি দেখার সময় হয়ে ওঠে না আর , তবুও এটা দেখার ইচ্ছে থাকলো। খুব সুন্দর।
টিভি সিরিজ! উপন্যাসের আদলে তৈরী করেছে তাই খুব ভালো লাগছে। আগে জ্যাক রিচার পড়ে ফেলো তাহলে সিরিজটা আরো ভালো লাগবে।