দুর্গাপুর শ্রী রাম মন্দির
নমস্কার বন্ধুরা,
মামার সফল অস্ত্র পাচার হয়ে যাওয়ার পরে বেশ চাপ কমে গেছিলো। আসলে সোমবার থেকে যথেষ্ট চাপের মধ্য দিয়েই সময় কাটছিলো। বিশেষ করে চিকিৎসার গতি প্রকৃতি নিয়ে। তাই অস্ত্র পাচার ভালোয় ভালোয় মিটে যাবার পর ডাক্তার যখন পাঁচদিনের হাসাপাতালে বেড রেস্টে কথা জানালেন তখন খুন শান্তি পাওয়া গেছিলো।
পাঁচদিন থাকতে হবে, ওদিকে ঘরে বসেও ভালো লাগছে না তাই শুক্রবারে বিকেল নাগাদ ঠিক করলাম আশপাশ টা ঘুরে বেড়াবো। ঘরে বসে না থেকে শহরটাকে অল্প চিনে নেওয়া আরকি। তবে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে থাকলেই তো আর হয় না, ঘোরার জায়গাও চাই যেটা দুর্গাপুরে খুব কম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিধানচন্দ্র রায়ের পরিকল্পিত দুর্গাপুরে ভারতের বিভিন্ন স্টিল কোম্পানির ফ্যাক্টরি থাকলেও শহরে ঘোরার জায়গা নেহাতই কম। বিগত কদিন ধরে দৌড়াদৌড়ি করে আশপাশে কোথাও থেকে ঘুরে আসার কথা মাথায় রেখে বেরিয়ে পড়লাম বিধাননগরে অবস্থিত রাম মন্দির দেখতে। যা দা মিশন হসপিটাল থেকে পায়ে হেঁটে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে। গুগল ম্যাপে সার্চ করে মন্দিরের উদ্দেশ্যে হাটা দিলাম।
দুর্গাপুরের সুন্দর সাজানো গোছানো রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকলাম। শ্রী বিধানচন্দ্র রায়ের সুপরিকল্পিত শহরটির বাড়িঘর রাস্তাঘাট সবই সুন্দর। বিশেষ করে শহরাঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও রাস্তাঘাট গুলো বেশ চওড়া তার সাথে রাস্তার দুপাশে বড় বড় গাছ। মিনিট পনেরোর হেঁটে রাম মন্দিরের কাছে পৌঁছে গেলাম। মন্দিরে যখন পৌছালাম তখন রোদের তেজ বেশ কমে গেছে। মন্দিরের চূড়ার পেছনে পড়ন্ত রোদের ছটা পড়ে মন্দিরটি খুব সুন্দর লাগছিলো। ফাঁকা নিরিবিলি গাছের ছায়ার পরিবেশে অবস্থিত রাম মন্দিরটিতে ঢুকে পড়লাম।
মন্দিরটি যেমন বাইরে থেকে সুন্দর লাগছিল ভেতর থেকেই তেমনিই সুন্দর। মন্দিরের গর্ভ গৃহ মন্দির চত্বরের শেষ প্রান্তে এবং চারপাশটা গাছগাছালিতে ঢাকা। মন্দিরের গর্ভ গৃহ দেখে আমি সেদিকে হেটে গেলাম। গর্ভ গৃহের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে দেখতে পেলাম বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে মন্দিরের ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ। তাই শুধু মাত্র বাইরে থেকেই মন্দিরের ছবি তুললাম। মন্দিরের ছবি তুলে ভগবান শ্রী রাম ও মা সীতার কাছে প্রণাম করে ফের ফেরার জন্য গেটের মুখে চলে এলাম।
গেটের মুখটায় দাঁড়িয়ে মন্দিরের দারোয়ানের কাছে দুর্গাপুরে ঘুরবার জায়গা গুলো শুনে নিলাম। মঙ্গলবার পর্যন্ত যেহেতু আছিই তাই ফাঁকা সময়ে আশপাশটা ঘুরেই নেবো।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রিয় দাদা আপনার মামার সকল প্রচার হয়েছে এটা জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। তাই আমি আপনার মামার সার্বিক সুস্থতা প্রত্যাশা করি। দুর্গাপুর শ্রীরাম মন্দিরের পরিবেশটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। একই সাথে মন্দিরটি দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছে। খুবই সুন্দর একটি মন্দির ভ্রমন করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা ভাই ভারত বর্ষ মানেই হলো মন্দিরে আধিপত্য ৷ সত্যি বলতে আমার মন্দিরে দর্শন করতে অনেক ভালো লাগে ৷ আপনি দুর্গাপুর শ্রী রাম মন্দির গিয়ে সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ আর ভালো লাগলো মন্দিরের পরিবেশ টি দেখে ৷ কি শান্ত পরিবেশ মনকে অনেকটা প্রশান্তি দেয় ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ৷
শুরুতেই মামার সুস্থতা কামনা করছি 🙏। আমার কাছে ভারতের প্রতিটা মন্দির ভীষণ চমৎকার লাগে। অদ্ভুত একটা কারুকার্য থাকে প্রতিটি মন্দিরে। মন্দিরের ভেতরের ছবিগুলো দেখতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগতো। কিন্তু নিয়মের কাছে আমাদের হাত-পা বাঁধা। তবুও দূর থেকে যেটুকু বা দর্শন করলাম সেটাও বা কম কিসের!
জয় শ্রীরাম 🙏🙏🙏