কেনাকাটা যেন শেষ হবার নয়

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

নমস্কার বন্ধুরা,

কেনাকাটা একবার শুরু করলে শেষ চায় না। একটা প্যান্ট কেনার পরিবর্তে তিন তিনটে প্যান্ট কেনা হয়ে গেলো তারপর মনে পড়ল একটা জুতো কেনাও বাকি আছে। পুজোর সময় অনেক হাঁটাহাঁটি রয়েছে, আর ওদিকে স্যু পায়ে দিয়ে আমি ঠিক টানা হাঁটতে পারি না। তাছাড়া বছর খানেক আগে যে ক্রকস জুতো কিনেছিলাম সেটার সুখতলা অনেকটা ক্ষয়ে গিয়েছে। এমন নয় যে সে জুতোটা পায়ে দিয়ে পুজোটা কাটিয়ে দেওয়া যাবে না তবে নতুন একটা কিনতেই হবে সেটা নাহয় এক দুমাস আগেই হলো। সেই ভাবনা থেকে ছুটে গেলাম শ্রীলেদার্সে। জুতো কিনতে বারবার ছুটে যাই, ধর্মতলার শ্রীলেদার্স শোরুম। ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় জুতোর দোকান বলা যায়। সেখানে ছেলে-মেয়ে, বাচ্চা বুড়ো সবারই কালেকশন পেয়ে যাওয়া যায়। পুজোর আগে যাওয়া নিয়ে প্রথমে একটু ভয়ে ছিলাম তবে দুপুরবেলা সেভাবে ভিড়টা পায়নি।

1000043869.jpg

আগে থেকেই আমার ইচ্ছে ছিলো ক্রকস কেনার। আসলে এই ক্রকস জুতোগুলো বর্তমানে যেমন বাজারে খুব চলছে তেমনি আরেকটা বিষয় এগুলো পায়ে দিয়ে খুব আরাম। প্রথমত জুতোর আকারটা এমন মাপের যে পায়ে কোনো ধরনের আটোসাটো ব্যাপারটা নেই। সেই কারনে এই জুতো পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটানো যেতে পারে। শ্রীলেদার্সে গিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে নতুন কালেকশন দেখলাম। আগের বার যেখান থেকে আমি আমার ক্রকস কিনেছিলাম সেইখানেই গেলাম কিন্তু এবারের কালেকশন দেখে বড্ড হতাশ হতে হলো। অল্প দামে ভালো কোয়ালিটির জিনিস দেওয়া যায় সেটা এইবার গিয়ে বেশি নজরে আসছিল। দাম অত্যন্ত কম হওয়ার জন্য কোয়ালিটি অত্যন্ত বাজে। একটা অনেক কষ্টে যখন পছন্দ হলো জলপাই রঙের সেটা আমার পায়ের সাইজে পেলাম না।
1000043881.jpg

ব্যর্থ হয়ে শ্রীলেদার্স থেকে বেরিয়ে পড়লাম। মনে মনে ঠিক করছিলাম এইবারের পুজোটা কোনো রকম শ্যু পায়ে দিয়ে কাটিয়ে দেবো। তখন মনে পড়লো পাশেই খাদিমসেরও শোরুম আছে, সেটাকে গিয়ে দেখলে কেমন হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ, খাদিমসের শোরুমে গেলাম। কালেকশন কম হলেও এদের দামটা একটু বেশি সেই জন্য জুতোর কোয়ালিটিটাও যথেষ্ট ভালো। ক্রকস খুঁজতে খুঁজতে একটা জলপাই রংয়ের জুতো পছন্দ হলো। তবে জুতোর সোল অনেক মোটা। পায়ে দিলাম বেশ সুন্দর লাগছিল। পায়ের মাপের জুতো দিতে বললাম, ওমা আমার পায়ের মাপে জুতো নেই অথচ আরেক সাইজ বড়ো আছে। ভাগ্যের কি পরিহাস।

1000043868.jpg

1000043867.jpg

1000043874.jpg

অগত্যা এক সাইজ বড়ো জুতো পায়ে দিলাম। একটু ঢিলে হচ্ছিল তবে চলা ফেরায় তেমন সমস্যা হলো না। উপায় নাই দেখে নিজের থেকে এক সাইজ বড় মাপের জুতো টাই কিনে ফেললাম। পুজোর সময়টা যেহেতু প্রচুর হাঁটাচলা হয় সেজন্য একটু ঢিলে ঢিলা জুতো হলে আশা করি সমস্যা হবে না, এই আশাতেই আরো কিনেছি। জুতো কেনার পরে মনে হচ্ছিল, শুরুটা ছিল একটা প্যান্ট দিয়ে শেষ পর্যন্ত পকেট প্রায় ধসিয়ে দিয়ে চলে গেল। আর আমি কমাস আর এদিক-ওদিক তাকানো যাবে না।

1000043879.jpg



"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা

"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা


X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #TronMemeSeason $PUSS




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

বাব্বা! কত শপিং! প্যান্ট বদলাতে গিয়ে কত প্যান্ট কেনা হয়ে যায়, জুতো কেনা হয়ে যায়৷ আপনারাই হলেই খাঁটি বাঙালি ভাই। আমি মনে হয় অড ওয়ান আউট৷ হা হা হা।

যাইহোক আপনার জুতোখানা বেশ সুন্দর হয়েছে। এই জুতোগুলো সকলেই খুব পরে। আমিও ভাবি কিনব বলে কিন্তু কেনা আর হয় না৷

 4 months ago (edited)

ঠিক বলছেন দাদা।মার্কেট গেলে একটা কিনতে গেলে ১০ টা জিনিস কিনতে মন চায়।কিনতে যাই একটা পছন্দ হয় আরেকটা। যাই হোক,ভালো আরামদায়ক জুতা কিনেছেন দাদা।এসব জুতো এখন চলছে।

 4 months ago 

আসলে ভাই কলকাতার এই জুতোর দোকানে যাওয়া আর পুজো প্যান্ডেলে ঢোকার আগের মুহূর্তের অবস্থা প্রায় সেম। আসলে এর আগে আমিও এই দোকানে কয়েকবার গেছি। মাঝে মাঝে তো মনে হয় উপর থেকে কেউ আমাদের মাথার উপরে জুতো ছুড়ে মারবে। যাইহোক আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 4 months ago 

এবার তো ভালোই শপিং করলেন দাদা। তিনটা প্যান্ট কেনার পর আবার জুতাও কিনে নিলেন। যাইহোক এই জুতা গুলো এখন বেশ ভালোই চলছে। আপনার পায়ে বেশ ভালোই মানিয়েছে। যাইহোক জুতা কেনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96459.90
ETH 2752.56
SBD 0.67