চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতের পথে...
নমস্কার বন্ধুরা,
ইমামি জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে তারপর ফের বালেশ্বর শহরের দিকে ফেরত আসলাম। উড়িষ্যায় একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে, আমাদের রাজ্যের মতো রুটের বাস/অটো এখানে বিশেষ পাওয়া যায় না। যেকোনো জায়গায় তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য অটো রিজার্ভ একমাত্র সহজ উপায়। মন্দিরের পাশ থেকেই অটো রিজার্ভ করে পৌছালাম বালেশ্বর বাস স্ট্যান্ডের কাছে যেখান থেকে আমার মূল যাত্রা শুরু হয়েছিল। হোটেলে ঢুকে অল্প কিছুটা সময় বিরাম নিলাম, ফের প্রস্তুতি হলো পরের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। আসলে ফাঁকা দিন একমাত্র রবিবার সেজন্য যা ঘুরে নেওয়ার ছিলো তা সেদিনের মধ্যেই করে ফেলতে হবে। বালেশ্বরের খুব কাছে আছে চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত, যেটা মাত্র পনেরো কিলোমিটার দূরে। সমুদ্র সৈকতের এত কাছে এসেছি অথচ সেখানে যাব না তা তো আর হতে পারে না। সেই জন্য দুপুরবেলা তেই বেরিয়ে পড়লাম।
হোটেল থেকে চলে গেলাম বালেশ্বর স্টেশন চকে, সেখানে স্থানীয় দের জিজ্ঞেস করে চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত যাওয়ার জন্য অটোর লাইন পেলাম। লাইনে গিয়ে শুনি সেগুলো রুটের অটো নয়, রিজার্ভ করতে হবে। রিজার্ভ ভাড়া শুনে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার অবস্থা। মাত্র পনেরো কিলোমিটার রাস্তা ৬০০ টাকা যাওয়া এবং ৬০০ টাকা আসার জন্য, সৈকতে দাঁড়িয়ে থাকবে বড়জোর এক ঘন্টা। শুনে মাথা প্রায় চক্কর দেওয়ার পরিস্থিতি। রুটের গাড়ির খোঁজ করলাম কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা যখন পৌঁছেছি তার নাকি মিনিট ২০ আগেই চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত যাওয়ার শেষ সরকারি বাসটা চলে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে অটোতে বসে থাকলাম যদি আরো কিছু প্যাসেঞ্জার পাওয়া যায় সেই আশাতে।
প্রায় আধঘণ্টা বসে থাকার পরেও কোনো যাত্রীর দেখা না পেয়ে শেষমেষ অটো রিজার্ভ করে নিলাম তবে শুধুমাত্র যাওয়ার জন্য। আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে হাতে অল্প সময় না থাকলে ঘোরাটা তেমন ভালো হয় না। পথে যেতে যেতে দুজন আরো পাওয়া গেল, যারা চাঁদিপুরেই যাবে। অটো উড়িয়ে চলতে থাকলো, আর কেনই বা যাবেনা। রাস্তা মাখনের মতো। রাস্তায় চলতে চলতে একটা জিনিস লক্ষ করলাম, রাস্তার ধারে তেমন ঘরবাড়ি নেই। অটো চালককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, উড়িষ্যাতে রাস্তার ধার জুড়ে মানুষজন বিশেষ ছড়িয়ে থাকে না। জনবসতি এখন গ্রাম ভিত্তিক হয়। সে কারনে রাস্তার ধারে অনেক অনেক ফাঁকা জায়গা, যেটা আসলেই খুব ভালো লাগলো।
অটো খুব জোরে চললেও একসময় মনে হচ্ছিল আজ পৌছাতে পারবো না। পথ যেন চলছে তো চলছেই। মিনিট কুড়ি চলার পরে দেখতে পেলাম জায়গাগুলো ধীরে ধীরে মাটি জমি থেকে পরিবর্তন হয়ে বালি জমির দিকে পৌঁছেছি। বুঝতে পারলাম সমুদ্র সৈকতের খুব কাছাকাছি। মনে তড়িৎ গতিতে আনন্দের রেশ চলে এলো, দেখতে দেখতে পৌছে গেলাম চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতে।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #TronMemeSeason $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাত্র ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ৬০০ টাকা অটো ভাড়া,এটা তো অনেকটাই বেশি। যাইহোক শেষ পর্যন্ত অটো রিজার্ভ নিয়ে চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। আসলে রাস্তা ভালো থাকলে জার্নি করতেও খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাবা যায় প্রতি কিলোমিটার ৪০ টাকা করে। এতো অতিরিক্ত ভাড়া দাদা। কিন্তু কিছু করার নেই। আপনার ভ্রমণ পোস্ট টা বেশ ভালো লাগল আমার কাছে। সবকিছুতে যেন পরিপূর্ণ ছিল আপনার ভ্রমণটা।