বৃষ্টি দিনে আড্ডা সাথে সিঙ্গাড়া
নমস্কার বন্ধুরা,
ক'দিন ধরে আবহাওয়া বারবার রং বদলাচ্ছে কখন প্রচন্ড রোদ্দুর কখন মেঘে চার পাশটা কালো হয়ে আসছে। কিছু কিছু সময় আকাশ পরিষ্কার হয়ে এতটাই নীল দেখা যাচ্ছে যে শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। মেঘলা ও নীল আকাশ দুয়ের মাঝে এক অদ্ভুত টানা পোড়েন চলছে সেটাকে উপভো করছি কখন আবার ঘেমে একাকার। বর্ষার এই রূপটাই আমার সবচাইতে ভালো লাগে সারাক্ষণ কিছু না কিছু ভাবে সে নিজেকে বদলে নেয়। সেই সাথে আবহাওয়ার তারতম্যের যেটা বিশেষ পরিবর্তন আসে সেটাও আমার খুব পছন্দের। বসন্তের পর থেকে গ্রীষ্মের মাঝামাঝিতে পর্যন্ত যে তীব্র দাবদহ চলে সেটাই প্রায় জীবন যাওয়ার অবস্থা সেখান থেকেই বর্ষা আমাদের অনেকটাই রেহাই দেয়।
বর্ষার সাথে একটা জিনিসের আমাদের চাহিদা বাড়তে থাকে সেটা সেটা হলো ভাজা ভুজি। যদিও আমাদের দেশের লোক বছরের সারাক্ষণই বিভিন্ন ভাজার সাথে নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে তবে শীত এবং বর্ষাতেই ভাজার জিনিসের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ও আনন্দ নেওয়া যায়। এই ধরুন ক'দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে সেজন্য আমার একটু ইচ্ছে করছিল গরম গরম চায়ের সাথে সিঙ্গারা। কদিন বেশ ছুটোছুটির জন্য সে সুযোগ পাওয়া যাচ্ছিল না।
অনেক করে রোববার দিনে যখন অল্প ফাঁকা পেলাম আকাশে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি দেখা দিতেই সোজা ছুটলাম বাজারে। আজকের সুযোগ মিস করা যাবে না। হালকা বৃষ্টি হয়ে আবহাওয়াটা এত সুন্দর হয়ে গেছে যে সেটার জন্যই সিঙ্গারা খাওয়ার লোভটাকে হাতছাড়া করার ইচ্ছে হচ্ছিল না। শুরুতে যদিও মনে হয়েছিল নিজের জন্য খান তিনেক সিঙ্গারা অন্তত কেনা উচিত। পরে মনকে সান্ত্বনা দিলাম তাছাড়া তিনটে সিঙ্গারা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে তাই দুটো সিঙ্গারা একটা ভেজিটেবল চপ কিনলাম 😁।
তেলেভাজা কিনে ঘরে ঢুকেই সোজা চায়ের পাত্র গ্যাসে তুলে দিলাম। ফুটিয়ে ফুটিয়ে কড়া চা বানিয়ে নিলাম। চা হতে হতে রবিবার রাতের আমার বাংলা ব্লগের আয়োজিত রবিবারের আড্ডা নিয়ে হাজির হলো শুভ দা। আমি চা সহযোগে বসে পড়লাম।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই বর্ষাকালটা মনে হয় সবাই একটু বেশি খেয়ে থাকে, হাহাহা।কারণ আমার নিজেরও একটু সকাল বা সন্ধ্যেবেলায় ভাজাভুজির আইটেমগুলো খেতে ইচ্ছে করে। আর প্রায় সময় আমি বাসায় তৈরি করে থাকি। গতকাল সকালের দিকে খুব ইচ্ছে করছিল সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য। তাই ভাইকে বললাম সে নিয়ে এসেছিল। আর এটা একদম ঠিক কথা গ্রীষ্মকালের তাপদাহ থেকে এই বর্ষাকালের সময়টাই আমাদের রেহাই দেয়। এই মুহূর্তটা আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। দারুন সময় উপভোগ করেছেন। সিঙ্গারা গুলোর সাইজও দেখছি ছোট না।
আসলে ঠান্ডা ওয়েদার হচ্ছে ভাজাপোড়া খাওয়ার জন্য পারফেক্ট সময়। তাইতো বৃষ্টির দিন এবং শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে সবাই খুব পছন্দ করে। যাইহোক তিনটা সিঙ্গারা খাওয়াটা কিন্তু কোনো ব্যাপার না দাদা। আপনি তিনটা সিঙ্গারা নিলেই কিন্তু ভালো হতো😂। যাইহোক গরম গরম চায়ের সাথে দুটি সিঙ্গারা এবং একটি ভেজিটেবল চপ বেশ মজা করে খেয়েছেন তাহলে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তুমি তো দেখছি বৃষ্টির দিনে বেশ ভালোই এনজয় করো দাদা। মাঝেমধ্যে খিচুড়ি, মাঝেমধ্যে আবার চপ সিঙ্গারা আর সাথে চা। হা হা হা...🤭 আসলে মেঘলা দিনে আমাদের মনটা একটু অন্যরকম হয়ে যায়। এজন্য ভাজাপোড়া খেতে বেশি ইচ্ছা করে। যাই হোক, তোমার পোস্টটা পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিলো যদি এরকম আমার সাথে হতো, তাহলে কতই না ভালো হতো।
বৃষ্টির সাথে তেলেভাজার বিশেষ একটি সম্পর্ক রয়েছে।রবিবারের আড্ডা সাথে তেলেভাজা এবং গরম চা বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।আর মাটির ভাড়ে চা খাওয়ায় মজায় নিশ্চয়ই আলাদা।আর আপনার চা দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালোই ছিল।চা টা ভালো বানান বুঝতে পারলাম।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মুহূর্তের পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।