আমার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা (জুলাই পর্ব)
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সামনে জুলাই মাসে আমার করা সব কটি নতুন রেসিপির সংগ্রহশালা নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমি প্রতি মাসে রেসিপির সংগ্রহশালা বানিয়ে থাকি। রেসিপির সংগ্রহশালা বানানোর পেছনে আমি মূল দুটো প্রয়োজন বোধ করেছি। প্রথম প্রয়োজন রেসিপি গুলো থেকে যা শিখলাম তা সম্পর্কে সম্যক ধারণা ব্যক্ত করে নিজের রান্নার পুনঃমূল্যায়ন। আর দ্বিতীয়ত, রেসিপি গুলোর একটি নির্দিষ্ট আর্কাইভ বানানো।
জুলাই মাসে আমি নতুন ৫ টি নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি, আজ তাদের রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম।

আমার প্রথম রেসিপিটি ছিলো ঝিঙে, পটল ও আলু দিয়ে কালবাউস মাছ। কালবাউস মাছ খুবই কম দেখা যায় আর যেহেতু মাছটা ক্রস ব্রিডের তাই স্বাদ অন্য মাছদের থেকে একটু আলাদা। সেজন্য আমি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার বিশেষ সাহস পাচ্ছিলাম না তাই সহজ সরল রেসিপির পথ ধরলাম। ঝিঙে ও পটল দিয়ে হালকা পাতলা ঝোল। ভুল করার জায়গা ছিলো না। ঝিঙেটা আরেকটু কচি হলে হয়তো আরো নরম লাগতো। সর্বোপরি ভালোই ছিল।

দ্বিতীয় রেসিপিটি ছিলো পটল ও আলু দিয়ে ব্রিকেট মাছের ঝোল। ব্রিকেট মাছ যে আমার খুব পছন্দের তা ঠিক নয়। ঝোলে দেওয়া ব্রিকেট মাছ থেকে দূরে দূরে থাকতেই বেশি ভালো লাগে, তবে মাছ ভাজা পেলে চোখ বুঝে খেয়ে নিই।। আমার ইচ্ছে ছিলো ব্রিকেট মাছ গুলো ভাজা করেই খেয়ে নিই কিন্তু বাকিদের মতামতটাও শোনা জরুরি। সবার কথা মেনে পটল আলু দিয়ে ঝোল রান্না হলো, সত্যি বলতে ব্রিকেট মাছ নতুন ভাবে আবিস্কার করলাম। ঝোল হলেও দারুন লাগলো, জানিনা কেন! পরের বার শুধু আলু দিয়ে ঝাল করে দেখতে হবে।

আমার করা তৃতীয় রেসিপিটি ছিলো থোড়ের মুড়িঘন্ট। এই নিয়ে আমি থোড়-এর বেশ কিছু রান্না আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলেও থোড় কাটাটা মোটেই শিখতে পারছি না। কি মনে হলো চেষ্টা করলাম, প্রায় ১ ঘন্টা কসরত করার পরেই থোড় কাটতে পারলাম, তা নিয়ে অনেক হাসাহাসি হলো তবে আমি দমে যায়নি। অনেক সময় নিয়ে রান্না করলাম। সুসেদ্ধ হওয়ার পাশাপশি খেতেও দারুন হয়েছিলো।

আমার চতুর্থ রেসিপিটি ছিলো রসুন দিয়ে বুড়ো পটল বাটা। ফ্রিজে অনেকদিন ধরে পটল গুলো পড়ে থেকে বুড়ো হয়ে গিয়েছিলো। তাই পটল গুলো ফেলে দিতে উদ্যত হলাম। মা আমাকে বকাবকি করে পটল গুলো নিয়ে নতুন এক রেসিপির কথা বললো, পটল বাটা। আর যখন শুনলাম রেসিপিতে রসুন থাকবে, আমি আরো উৎসাহ পেলাম।। রান্না শুরু করে দিলাম। পটল গুলো ছোটো ছোটো করে কেটে ভালোভাবে রসুনের সাথে ভেজে বেটে নেওয়া হলো। আহা! দারুন ছিলো সেই স্বাদ। মুখে যেন এখন লেগে আছে।

আমার পঞ্চম ও শেষ রেসিপিটি ছিলো তেলাকুচা পাতার বড়া। প্রথম যখন তেলাকুচা পাতার নাম যখন শুনলাম বেশ হকচকিয়ে যাই। এ আবার কি জিনিস! পাতা গুলো যদিও চিনতে পারলাম। যদিও আমি জানতাম না তেলাকুচা পাতা খাওয়া যায়। রোজ নতুন কিছু শেখা যায় ভেবে রান্না শুরু করে দিলাম। ডালের মিশ্রণ দিয়ে কয়েকটা পাতা ভাজার পর খেয়াল হলো আমি তো চালের গুঁড়ো ই দিইনি তারপর আবার নতুন ভাবে চালের গুঁড়ো দিয়ে মন্ড বানিয়ে ফেললাম। দুটো ব্যাচ ই দারুন মুচমুচে হয়েছিলো। আমি ফারাক ধরতেও পারিনি।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া , আপনার সংগ্রহশালার প্রতিটি রেসিপি ই ভাল ছিল । মাছ রান্নার রেসিপি অনেক বেশি ভাল লেগেছে । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ।
রেসিপির সংগ্রহ শালা তৈরি করা আপনার এই ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগল আমার। আপনার রেসিপি গুলোতে আপনি অনেক সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ টা বর্ণনা করে থাকেন। আপনার তৈরি রসুন দিয়ে পটল বাটা রেসিপি টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে। এবং ওটা অন্যগুলোর থেকে আলাদা ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
অনেক সুন্দর রেসিপি সংগ্রহ শালা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। নতুন কিছু রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেলাম। এই রেসিপিগুলোর মধ্যে শেষের তিনটি অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনার রেসিপি রিভিউ এর জন্য।
রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা দেখে অনেক ভালো লাগলো দাদা। সব গুলো রেসিপি দেখার মতো ছিলো। অনেক ভালো লাগলো আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
দাদা আপনার প্রতিটি রেসিপি পোস্ট অত্যন্ত লোভনীয় ছিল। আলু, ঝিঙ্গে, পটল দিয়ে কালবাউশ মাছ রান্নার রেসিপিটা আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। অতি লোভনীয় রেসিপি পোস্ট এর রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দাদা আপনার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনার প্রতিটি রেসিপি খুব সুন্দর ছিল। আমি প্রতিটি রেসিপির লিংকে গিয়ে ধাপগুলো দেখে আসলাম। আমার কাছে মোচার মুড়িঘন্ট অনেক ভালো লেগেছে। আমি একদিন এভাবে তৈরি করে দেখব। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে সংগ্রহশালা সাজিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপি এর সংগ্রহশালা পোস্টটি দেখতে পেয়ে অনেক উপকৃত হলাম। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি ভালো ছিল। বিশেষ করে থোড়ের মুড়িঘন্ট ও রসুন দিয়ে বুড়ো পটল বাটা এই দুটো রেসিপি অসাধারণ ছিল। থোড়ের মুড়িঘন্ট আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। থোর কাটা থেকে শুরু করে রান্নার প্রক্রিয়া কোনটাই আমার জানা ছিল না। সংগ্রহশালা পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মনে করি মিক্স পোষ্ট রিভিউর চাইতে কোন একটি বিষয় ভিত্তিক পোস্টে এর সংগ্রহশালা হিসেবে তৈরি করলে সেটি অনেক ভালো দেখায় ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
বরাবরই আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি গুলা অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়ে থাকে প্রত্যেকটা রেসিপি আমি দেখেছি পূর্বে পুনরায় সংগ্রহশালায় দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।।।
আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক মজাদার মজাদার রেসিপি শেয়ার করে থাকেন আপনার এই মজাদার রেসিপিগুলো একত্রে রিভিউ আকারে দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো দাদা। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।