কথার আঘাত রুহ অবধি পৌঁছায়।|| Words hurt the soul.
আমরা প্রতিনিয়ত কথা বলার মাধ্যমে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করি এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি। আসলে একজন মানুষের মুখের ভাষা যতটা মাধুর্যময় হয় ঠিক ততটাই সে সবার কাছে প্রিয় ব্যাক্তি হয়ে ওঠে। আর অপর দিকে কিছু মানুষের কথার ভঙ্গিতে বোঝা যায় তার মানসিকতা কতটা ছোট এবং কুৎসিত। আর কিছু মানুষ মুখের বাজে কথার মাধ্যমে সবার কাছে এতটাই অপছন্দের মানুষ হয়ে ওঠে, একটা সময় তার ছায়া মারাতেও চায় না কেউ।
দেখুন একটা মানুষকে আপনি যদি পেট ভরে খাইয়ে দেন, তাহলে হয়তো বেশিদিন আপনাকে মনে রাখবে না। কিন্তু তার সাথে যদি সুন্দর আচরণ করেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে সে আপনাকে আজীবন মনে রাখবে। অনেক দামি খাবার খাইয়ে মানুষকে কখনোই সন্তুষ্ট করা যায় না, কিন্তু সুন্দর ব্যাবহার এবং মুখের চমৎকার অভিব্যক্তি মনে রাখার জন্য যথেষ্ট।
মানুষ মানুষকে মনে রাখে দুটি প্রেক্ষাপটে এক হলে খুব ভালো আচরণ এবং মার্জিত কথা, আর অপরটি হলো কুরুচিপূর্ণ কথার অভিব্যাক্তি যা মানুষের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে থাকে। দেখুন দুনিয়ায় আমরা এসেছি খুব ক্ষণিকের সময় নিয়ে তাই কেন আমি কারোর মনে আঘাত দেবো আমার কথার মাধ্যমে।
কিছু মানুষ আছে হঠাৎ করে কিছুটা ক্ষমতা হাতে পেয়ে অথবা পয়সার মালিক হয়ে মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। এদের ভাবখানা এমন মনে হয় যেন দুনিয়াটা পয়সা আর ক্ষমতার জোরে কিনে ফেলেছে। এদের ক্ষমতার দম্ভে হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়, ফলশ্রুতিতে এরা সবার সাথে মুখের খারাপ অভিব্যক্তির মাধ্যমে বিষবাক্য ছড়াতে থাকে। এরা স্বাভাবিক ভাবে ভালো রয়েছে বোঝা গেলেও মানুষের কাছে নিকৃষ্টতম ব্যাক্তিতে পরিনত হতে থাকে। এরা এটা বোঝে না তাদের মুখের কথা যার অন্তরে কষ্ট দিয়েছে সেটা তার রুহ অবধি পৌঁছে গেছে। আর তার নিঃশ্বাসের দীর্ঘশ্বাস তার জন্য খুব খারাপ কিছু বয়ে আনবে।
আমাদের গীবত, পরনিন্দা এগুলো পরিত্যাগ করতে হবে, কারন কখনো যদি সেই ব্যক্তি কথাটা শুনতে পায় তাহলে সত্যিই আমরা বদ দোয়ার ভাগিদার হবো চেষ্টা করতে হবে নিজের কথায় লাগাম টেনে ধরার। যদি আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে উচিত সেই স্থান ত্যাগ করা। আর যতটা সম্ভব কম কথা বলার অভ্যাস করতে হবে, যারা কথা কম বলে তাদের শত্রু কম থাকে। তাছাড়াও কম কথা বললে হয়তো অনেক অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে।
সর্বোপরি আসুন নিজের উপর, কথার উপর এবং আচরণের উপর নিয়ন্ত্রণ করা চেষ্টা করি। মনে রাখতে হবে মুখ ফসকে এমন কিছু বলা যাবেনা যার কারনে আমি নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
এক কথায় দারুন লিখেছেন ভাই। আমাকে যদি প্রত্যেকটা মানুষের চিন্তা ভাবনা আপনার কথাগুলোর মতই হতো তাহলে সমাজে আজ এত বিভেদ তৈরি হতো না। আমাদের উচিত আমাদের নিজেদের বিবেক থেকে খারাপ কাজগুলোকে পরিত্যাগ করা। সুন্দর কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আপনি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাইয়া এরকম দামি কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন ভাই দামি খাবার খাইয়ে মানুষকে কখনোই সন্তুষ্ট করা যায় না, সুন্দর ব্যবহার করে মানুষের মন জয় করা সম্ভব। আমরা দুনিয়াতে এসেছি অল্প সময়ের জন্য। ব্যবহার বংশের পরিচয়, তাই আমাদের গীবত, পরনিন্দা এগুলো পরিত্যাগ করতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তাকে ভয় পেতে হবে। এই ধরনের শিক্ষামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। বর্তমান সমাজে বিভিন্ন ধরণের লোক রয়েছে। কেউ রয়েছে স্বার্থপর। আবারো কেউ রয়েছে লোভী এবং ক্ষমতার জোরে সব কিছু করতে চায়। দিন শেষে ভালো মানুষ হওয়া জরুরি। আমাদের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে চলতে হবে। এতে করে আমাদের মঙ্গল হবে। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
সময়ের সাথে সাথে আমরা সব কিছুই ভুলে যাই। কিন্তু কথার আঘাত কখনো ভুলা যায় না। সেই কথাগুলো মনে পড়লে আবারও মনে আঘাত লাগে। আমি এর ভুক্তভোগী। জীবনে অনেক কথার আঘাত সহ্য করেছি ভাইয়া। তাই এই কষ্টটা বুঝতে পারি।
এটা যেন দুনিয়ার নিয়ম ভাই। মানুষ হঠাৎ ক্ষমতা পেয়ে গেলে তার অপব্যবহার করে। মানুষের ক্ষতি তো করেই। পাশাপাশি নিজের অনেক কাছের মানুষের সাথে করে বাজে ব্যবহার। আর ঠিকই বলেছেন এই বাজে ব্যবহার মানুষ কখনোই ভোলে না।