ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।|| The world is prosaic in the kingdom of hunger.
স্থান : পল্টন মোড়, ঢাকা
সময়: সকাল ৮.১০
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানাে রুটি।
যদি আপনাকে প্রশ্ন করি আপনার কখন সুখ অনুভব হয়? আপনি হয়তো বলবেন বেশ কিছু টাকা কিংবা দামী কোন জিনিস পেলে ভালো লাগবে। তবে কিছু কিছু মানুষকে ঠিক এই প্রশ্নটাই করলে সে উত্তর দেবে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারলে খুব ভালো লাগতো। আপনি হয়তো দেখে থাকবেন একজন মানুষ ময়লার ড্রাম খেতে খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে, যে খাবারটি আপনি ঝুটা হিসেবে ফেলে দিয়েছেন। আমি জানি আপনি নাক ধরে আছেন কিন্তু চেয়ে দেখুন সেই খাবারটি সে তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন সে এই ময়লা খাবারটি খাচ্ছে? আসলে ব্যাক্তিটি হয়তো নির্মম বাস্তবতার শিকার যেখানে তার নূন্যতম ক্ষুধা নিবারণের মতো ক্ষমতা নেই। হয়তো এভাবেই সে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে।
এধরনের মৃত্যু মাঝে মাঝেই পথে ঘাঁটে দেখা যায়, তবে কেউ এতে মাথা ঘামানোর মতো নেই কারন সবাই সবার উদর পূর্তি নিয়ে ব্যাস্ত। লাশটাও হয়তো ঠিকমতো দাফন হবেনা, ফেলে দেয়া হবে যেখানে সেখানে। আসলে আমরা মানবতা শূন্য কঠিন মানুষে পরিনত হয়ে যাচ্ছি যেখানে এধরনের মৃত্যু আমাদের বিবেককে নাড়া দিতে পারে না, নিছক এটা একটা তুচ্ছ ঘটনা।
পৃথিবীতে উপর ওয়ালা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন যাদের বোধ বুদ্ধি এবং বিচার বিশ্লেষণ ক্ষমতা অন্য সব প্রানী থেকে উর্ধ্বে। যুগে যুগে প্রানীদের বশে এনে নিজেদের কাজ করিয়েছে কিন্তু দিনে দিনে মানুষগুলো পশুর মতো আচরণ শিখে গেছে, যেখানে একটি মৃত লাশকেও সম্মান দিতে জানে না।
স্থান : পল্টন মোড়, ঢাকা
সময়: সকাল ৮.১০
যাক অনেক কঠিন কিছু কথা বলে ফেললাম আজ। আসলে সকালে যখন অফিসে যাচ্ছিলাম রাস্তার পাশে দেখলাম একটি শিশু মাটির জিনিস বিক্রি করতে করতেই ঘুমিয়ে পরেছে। এতো সকালে কেউ দোকান খোলে না, হয়তো গতকাল রাত থেকেই এখানে এভাবে ঘুমিয়ে রয়েছে। আমি যখন ছেলেটির খুব কাছাকাছি এলাম ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল এই দৃশ্য দেখে। একমাত্র ক্ষুধার জ্বালা কতটা হলে এভাবে ফুটপাতে শিশুরা পরে থাকতে পারে সামান্য কিছু মাটির জিনিস নিয়ে?
সাম্যবাদী আর সুশীল সমাজ শুধুমাত্র ফটোসেশন আর কাগজে লেখা বুলি আওড়াতে থাকে পত্র পত্রিকা আর টেলিভিশনে, কিন্তু তারা কখনো কঠিন বাস্তবতা সামনে আনতে চায় না।
আমরা যতই বলি না কেন উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছে গেছি, বাস্তবতা হলো ক্ষুধার রাজ্য বড় হয়ে চলেছে। যেখানে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নিরব মৃত্যু।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1682749588917342208?t=C0gbRQTCfsBXoEGGCt52MA&s=19
সত্যি ভাইয়া আপনার পোস্ট টা আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে। সত্যি ভাইয়া আমার অনেকে চাই অনেক টাকা আর জমা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দ পায়।আর ওরা দুই মুঠো ভাতের জন্য সারাদিন কষ্ট করতে হয়। এই দেশে আর উন্নয় বলতেই পারবো আমার। যাইহোক ভাইয়া দুআ করি আল্লাহ তায়ালা সবাই কে হেদায়েত করুক। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
উপর ওয়ালা সকলকে হেদায়েত দান করুন, এই কামনা করি। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক খারাপ লাগলো।আসলে আমরা সব সময় মুখে যা বলি কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো।যাইহোক বাস্তবতা অনেক কষ্টের। ঠিক বলেছেন কতোটা ক্ষুধার তাড়নায় সে সামান্য পাটির খেলনা নিয়ে বসে থাকে । ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কারো কাছে নামিদামি জিনিসে মন ভরেনা কেউ দুবেলা ভাত খেতে পারলেই অনেক খুশি হয়ে যায়। আসলে এই পৃথিবীতে পেটের ক্ষুধা সবচেয়ে বড় কষ্টের। এই পৃথিবীতে যে যার মত সবাই ব্যস্ত। কেউ কারো খবর রাখে না। যাই হোক ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। দারুন লিখেছেন আপনি।
ধন্যবাদ আপু আমার লিখনীটি পড়ার জন্য।
দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য মানুষ অনেক বেশি কষ্ট করে এখনকার সময়ে।
উপরের কথা গুলো একদমই ঠিক চমৎকার কথা বলেছেন। ছেলেটি অনেক ছোট হয়তো অনেক রাতে ঘুমিয়ে তার ঘুম হয়নি। পৃথিবীটা অনেক কঠিন দুবেলা দুমুঠো ভাত এর জন্য মানুষ কত কিছুই না করতেছে। পেটের খিদে বড় খিদা। তবে এত ছোট ছোট বাচ্চা দের কাজ করা দেখলে খুব কষ্ট লাগে। উচিত কথা বলেছেন মিডিয়া কখনো বাস্তবতা কে সামনে তুলে ধরে না। দোয়া করি সবাই যেনো দুবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ লিমন পোস্টটি পড়ার জন্য।
পেটের খিদে অনেক বড় জিনিস যা সহ্য করতে না পেরে মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। এমনকি শিশুরা অনেক কষ্ট করে।
অসাধারণ কিছু কথা আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। টাইটেল টিও অনেক সুন্দর। ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়। আসলে পৃথিবী অনেক বদলে গেছে। মানুষের মনুষত্ব গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। কারো প্রতি কারো কোনো মায়া মমতা এখন আর কাজ করে না। সবাই যেন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। তাইতো মাঝে মাঝে ভাবি আমরা কি সত্যিই আশরাফুল মাখলুকাত।
আমরা মানুষ হলেও আমাদের মনুষ্যত্ব আর বোধ বুদ্ধি হারাতে বসেছি। হয়তো পৃথিবীর ধ্বংস নিকটে।
আপনার আজকের পোস্ট পড়ে আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। আসলে অনেকে এমন আছে যে দুবেলা দুমুঠো খাওয়ারের জন্য সারাদিন কত কষ্টে সহ্য করতে হয়। আসলে বাস্তবতা অনেক কঠিন এখনকার এই সময়ে কেউ কারো খোঁজ-খবর নিতে চায় না। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য।
এখনকার সময়ে সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। মানবিকতা দিন দিন কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।