গল্প: ধুসর পৃথিবী এবং লাইফ কোড। (পর্ব -০২) || Story: Gray Earth and the Life Code.
সাল: ৮৮৬৬ ইং
সময়: রাত ১টা
রবিনসন হঠাৎ করেই ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলো উড়ন্ত একটি ফ্লাইং সসারের শব্দে, মনে হচ্ছে খুব কাছ থেকেই কাউকে রে স্কেনারের মাধ্যমে উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। আর আজ যাকে উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে তার লাইফ কোড ট্রেক করা হয়েছে। কিছুক্ষণ আশ পাশ থেকে প্রবল আর্তনাদের শব্দ ভেসে আসছে। রবিনসনের ভেতর থেকে একটা কষ্টের নিঃশ্বাস বের হলো, একদিন হয়তো তাকেও এই লাইফ কোড ট্রেক করে উঠিয়ে নেয়া হবে। এই ভিনগ্রহের এলিয়েনরা হয়তো আমার শরীরের প্রোটিন দিয়ে তাদের খাবার তৈরি করবে। তারপর সব শেষ, কিছুই কি তার করার নেই? মনের মধ্যে এলোমেলো চিন্তা আর কষ্টগুলো ঘিরে ধরতে লাগলো।
কখন যে রবিনসন ঘুমিয়ে পরেছে সে নিজেও জানে না। ভোর তিনটার সূর্যের আলো তার মুখে এসে পরছে। সে ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলো, তাড়াতাড়ি বাইরের ধূসর মাটিতে তাপ গ্রহনের জন্য শুয়ে পড়লো তার প্রিয় সানগ্লাস চোখে দিয়ে। যাই করুক না কেন তার মাথায় গতকালের চিন্তাগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টা ত্রিশ মিনিট তাপ গ্রহনের পর কার যেন হাতের স্পর্শ পেলো রবিনসন। হুড়মুড় করে লাফিয়ে উঠে চোখ মেলে তার বন্ধু মিসলেনিয়াসকে দেখতে পেলো, হঠাৎ করেই তার চোখ মুখে আনন্দ ছড়িয়ে পরেছে। জাপটে ধরেছে তার ছেলেবেলার এই বন্ধুটিকে। দুজনের চোখ ছলছল করছে কারন দুজনেই জানে তারা মৃত। রবিনসন বললো দোস্ত তুই বেঁচে আছিস এটাই অনেক বড় কিছু আমার কাছে।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো মিসলেনিয়াস সূর্যের তাপ গ্রহনে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করলো না, বেশ জোর করেই রবিনসনকে ঘরের ভেতরে নিয়ে আসলো। এরপর মিসলেনিয়াস যা জানালো তা শুনে রবিনসনের অবাক হয়ে গেছে। মিসলেনিয়াস বলতে শুরু করলো, শোন আমাদের শরীরে যাদের প্রোটিন কম তাদের সবসময়ই লাইফ কোড থেকে পিছিয়ে রাখা হয়। এতে করে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায় আমাদের। তাই প্রোটিন ক্যাপসুল কম খেতে হবে এবং সূর্যের আলো কম গ্রহন করতে হবে যদি বাঁচতে চাস। রবিনসন বললো তুই এতো কিছু কিভাবে জানলি আর এতোদিন কোথায় ছিলি?
এবার মিসলেনিয়াস বলতে শুরু করলো, মূলতো আমি একটি দলের সাথে রয়েছি যারা এই খারাপ এলিয়ানদের থেকে পৃথিবীর মানুষকে বাঁচাতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বিজ্ঞানী ইস্টোরিয়াল আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন যে যারা সূর্যের আলোয় কম যায় এবং প্রোটিন ক্যাপসুল কম খায় তাদের শরীরে এলিয়ানদের প্রয়োজনীয় খাবারের উপাদান তৈরি হয় না। যার ফলে লাইফ কোডে তাদের সংযুক্ত করা হয় না, এই কারনে আমরা বেঁচে রয়েছি এবং দলের কেউ এখনো এলিয়েনদের শিকার হয়নি।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1681967532071321600?t=-wbDPM1DfxUeDM8Ge5U_DQ&s=19
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আসলে রবিনসন বললো তোমরা কেথায় ছিলে। আসলে সূর্যের আলোয় বেশি দিনবেঁচে থাকা যায়।আর এলিয়েনদের শিকার হয়নি বলেই তারা আজ ও বেঁচে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
প্রথমে আমি বেশ হতাশ হয়েছিলাম কারন গল্পটি কেউ পড়েনি।
খুব দুর্দান্ত গল্প উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে এলিয়েন নিয়ে অনেক গল্প রচিত হয়েছে। এলিয়েন সম্পর্কে কাল্পনিক চমৎকার গল্প উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
আসলে এধরনের গল্প অনেকেই পড়তে চায় না তাই অনেক সময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
Heres a free vote on behalf of @se-witness.