গল্প: নরখাদক আলভিন (পর্ব -০১) || Story: Alvin the Cannibal (Episode-01)
(পর্ব -০১) |
---|
আলভিন মধ্য আমেরিকার ছোট একটি শহরে বসবাস করতো তার পিতা-মাতার সাথে। বনাঞ্চল ঘেরা তাদের ছোট্ট শহরটি বেশ ছবির মতো সুন্দর, তবে পাহাড় আর গহীন বন সন্ধ্যার পরপরই ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এখানকার বাসিন্দাদের সবার কাছেই লাইসেন্স করা বন্দুক রয়েছে, এগুলো একান্ত আত্মরক্ষার জন্য ব্যাবহার করার অনুমতি দিয়েছেন শেরিফ জনারধন। জনারধন ভীষণ বিচক্ষন একজন মানুষ যিনি শেরিফের দায়িত্ব পালন করছেন বহুদিন ধরে, আর শহরের প্রতিটি মানুষকে বিপদে আপদে আগলে রাখার চেষ্টা করেন।
আলভিন অন্য বাচ্চাদের থেকে বেশ আলাদা আর ভীষণ আবেগপ্রবণ। মা-বাবার একটু ধমক বা শাসন করলে ভীষণ কষ্ট পেতো এবং রাগ করে পানি পর্যন্ত খাওয়া ছেড়ে দেয়। সবথেকে বড় ব্যাপার নিজেকে কষ্ট দিতেই যেন তার ভালো লাগে। স্কুলে পড়াশোনা করলেও তার কোন বন্ধু নেই কারন সে কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলতো না। এতে করে সে অন্য বাচ্চাদের হাসির পাত্র হয়ে উঠতো। তবুও কখনো কারোর সাথে ঝগড়া করতো না, মাথা নিচু করে চলে আসতো। একমাত্র বাবা মা হলো আলভিনের বন্ধু। এভাবেই ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে আলভিন। এখন সে প্রাপ্ত বয়স্ক কিন্তু আচরণ সেই আগের মতই রয়ে গেছে।
হঠাৎ করেই আলভিনের পিতা মাতা শহর থেকে আসার পথে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়। প্রথমেই শেরিফ জনারধন খবর পেয়ে সাথে সাথে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের মৃত অবস্থায় খুঁজে পান। শেরিফ ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান কারন আলভিন এমনিতেই ভীষণ অস্বাভাবিক আচরণ করে, আর এই খবর পেয়ে সে কতটা মানসিক আঘাত পাবে এটা ভেবেই তিনি মাথায় হাত দেন। কিন্তু কিছু করার নেই যেভাবেই হোক তার কাছে এই খবরটি পৌঁছাতে হবে এবং মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করতে হবে।
অবশেষে লাশ দুটোর যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ শেষ করে শেরিফ জনারধন আলভিনের বাড়িতে লাশ নিয়ে এলেন। তিনি ধীরে ধীরে আলভিনের কাছে গিয়ে তার খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করলেন। আলভিন শুধুমাত্র ভালো আছি বলেই চুপচাপ বসে রইলো। নিরবতা ভেঙ্গে শেরিফ বললেন তোমাকে আমার কিছু বলার রয়েছে আলভিন। দেখো আলভিন সবার পিতা মাতা পৃথিবীতে সবসময়ই থাকবেনা এটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আমি ভীষণ দুঃখের সাথে বলছি তোমার পিতা-মাতা আজ একটি দুর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছেন। আমি তাদের লাশ নিয়ে এসেছি। কথাটি শোনার সাথে সাথে আলভিন হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো এবং ছুটে মূল দরজার কাছে রাখা লাশগুলোর উপর আছড়ে পরলো। এভাবেই কেঁদে চলেছে আলভিন, অবশেষে শেরিফ তাকে কিছুটা দূরে সরিয়ে নিয়ে লাশ সৎকার করেছেন।
যখন সবাই লাশ সৎকারের কাজে ব্যাস্ত এদিকে আলভিন ধারালো ছুরি দিয়ে নিজের সমস্ত শরীর রক্তাক্ত করে ঝিম ধরে মাটিতে বসে রয়েছে। শেরিফ পুনরায় ফিরে এসে তার এই অবস্থা দেখে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে চিকিৎসক ডাকেন। কিন্তু এভাবে আলভিনকে একা রাখা ঠিক হবেনা তার একজন কাছের মানুষ দরকার যে সর্বোক্ষন খেয়াল রাখতে পারবে। অবশেষে তিনি চিন্তা করলেন তার বড় মেয়ে জুলিয়াকে আলভিনের সাথে বিয়ে দেবেন। দ্রুত তিনি জুলিয়ার সাথে কথা বলে সব বুঝিয়ে বলেন। জুলিয়া ভীষণ সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী মেয়ে। সে তার বাবাকে তার সম্মতি জানায়, সাথে সাথেই একজন পাদ্রী ডেকে তাদের বিয়ে পড়ানো হলো।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1642081764905738240?t=hTxRiKlONagxnPNQcb3SmQ&s=19
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে নরখাদক আলভিন গল্প শেয়ার করেছেন গল্পটির প্রথম পর্ব খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ভাই গল্পটি একটু ভয়ঙ্কর ছিল।আলভিনের পিতা মাতা শহর থেকে আসার পথে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুজনে মারা যাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছে ভাই। এত সুন্দর ভাবে গল্পটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আমার গল্পের প্রথম পর্ব পড়ার জন্য।
আশাকরি দ্বিতীয় পর্ব পড়লে বেশ ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ ভাই
নরখাদক আলভীন গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এরকম ভয়ংকর জাতীয় গল্প আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। গল্পটির নাম শুনেই বুঝেছিলাম যে এটা অনেকটা ভয়ংকর হতে যাচ্ছে। যদিও প্রথম পূর্ব পড়ে খুব একটা ভয়ংকর কিছু পাইনি। তবে এই গল্পের প্রথম পর্বে আলভিনে জন্য খুবই মর্মান্তিক একটা ঘটনা ছিল যে ঘটনায় তার বাবা মাকে হারাতে হয়েছে এবং সে অনেক কষ্ট পেয়েছে। তবে এই গল্পে শেরিফ জনারধন নামক লোকটি আলভীনের বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে কিভাবে রক্ষা করা যায় তার এই বিচক্ষণ বুদ্ধি মত্তা এই গল্পে ফুটে উঠেছে। শেরীফ জনারধনের মেয়েকে আলভীনের সাথে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত চমৎকার একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু প্রথম পর্ব পড়ার জন্য, আশাকরি দ্বিতীয় পর্বে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে।
ভাইয়া আলভিনের বাবা-মা রাস্তায় গাড়ি এক্সিডেন্ট করে এক সাথে মারা যাওয়া এবং আলভিন ধারালো ছুরি দিয়ে নিজের সমস্ত শরীর রক্তাক্ত করে ঝিম ধরে মাটিতে বসে পড়া। এগুলো একটু ভয়ংকর লাগছে। তবে জুলিয়াকে বিয়ে করলে আবার কি ঘটে সেটাই দেখার বাকি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
আশাকরি দ্বিতীয় পর্ব ভালো লাগবে।
ভাই জনারধন আর শেরিফ কি একই ব্যাক্তি নাকি আলাদা আলাদা নাকি টাইপ মিসটেক ওখানে আলভিন হবে।
যাইহোক গল্পটা ভালো ছিল যদিও এই পর্বে তেমন টুইস্ট পাই নি। তবে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম দেখা যাক কি হয় শেষ পর্যন্ত।
পুলিশের বড় অফিসারকে শেরিফ বলে আর এই শেরিফের নাম হলো জনারধন।
মূল টুইস্ট সামনের পর্বে বোঝা যাবে।
আশাকরি পড়বেন।
জানতাম না,বিষয়টা গুলিয়ে যাচ্ছিল হাহা।🤗
যাইহোক সেই অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।🖤
Heres a free vote on behalf of @se-witness.