সন্তান আপনার, মানুষ করার দায়িত্ব কার?|| Human attitude starts from born. Can you continue through life?
শিশুরা সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় উপহার। তিনি যাদের ভালোবাসেন একমাত্র তাদের এই নিয়ামত দান করেন। অনেকে তো সন্তান লাভের আশায় অনেক চেষ্টা করে থাকেন, তবুও সৃষ্টিকর্তার ইশারা ছাড়া কিছুই হয়না। এমন অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শুধুমাত্র সন্তান লাভ না করার ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটে চলছে অহরহ। এতো কিছুর পরও আমরা যারা সন্তান লাভ করেছি তারা সন্তানদের সঠিকভাবে লালন পালন করতে পারিনা। কথাটা আসলে আমি বলেছি সঠিকভাবে কারন দিন পার হলেই একটি বাচ্চা বড় হয়ে উঠতে থাকে, কিন্তু সে কি শিক্ষা কিংবা মানসিকতা নিয়ে বড় হচ্ছে এটাই বড় বিষয়।
আপনি একটি চারা গাছের কথা চিন্তা করতে পারেন। প্রথমে আমরা গাছটি লাগানোর পর এটিকে পানিসহ অন্যান্য জৈবসার প্রয়োগ করি, এরপর একটি বেড়া দিয়ে ঘেরা দেয়া হয় অন্যন্য প্রানী থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য। তারপর তার পরিচর্যা চলে নিয়মিত এবং একটি সময় পর সেই গাছটি ফুলে ফলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এটাই একজন চাষী হিসেবে তার অনেক বড় প্রাপ্তি এবং শান্তির ব্যাপার। এখন ধরুন ঘটনাটা এরকম ঘটতো চারা গাছ লাগানোর পর চাষী তার কোন পরিচর্যা কিংবা রক্ষনাবেক্ষন না করতেন তাহলে হয়তো গাছটি বড় হওয়ার আগেই মারা যেতো কিংবা গরু ছাগলের পেটে চলে যেতো। সেক্ষেত্রে বাগান মালিকের আফসোস কিংবা ক্ষতি ছাড়া কিছুই হতো না।
আমরা যদি আমাদের সন্তানদের সেই চারা গাছের সাথে কল্পনা করি তাহলে তাদের একমাত্র সঠিকভাবে লালন পালন করলে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যাবে। এখানে ভালো কিছু বলতে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এবং সমাজের একজন সুনাগরিক হিসেবে তাদের প্রতিষ্ঠিত করাকে বোঝানো হয়েছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আসলে সন্তানদের সময় দেয়ার মতো আমাদের হাতে সময় নেই, তাছাড়াও তথ্য প্রযুক্তির অতি ব্যাবহার এবং আধুনিকতার স্পর্শে তাদের সাথে অঘোষিত দুরুত্ব তৈরি হচ্ছে। এই অঘোষিত দুরুত্ব অনেকটা ধীর গতির বিষক্রিয়ার মতো সন্তানের সাথে আপনার দুরুত্ব তৈরি করছে। একটা সময় পর হয়তো এই দুরুত্ব আপনাকে রাস্তায় কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছে দিতে যথেষ্ট।
এখনকার সময়ে আমরা একটি বাচ্চা চোখ আর কান খোলার সাথে সাথে তার সামনে মোবাইল নামক অতি আকর্ষিত বস্তু নিয়ে আসছি যেখানে সে পারিপার্শ্বিক বাস্তব পরিবেশ সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা লাভ করছে না। তাছাড়াও আমরা নিজেরাই বিনোদন প্রযুক্তির মধ্যে এতোটাই ডুবে যাচ্ছি যেখানে সন্তানের দিকে নজর দেয়ার মতো সময় নেই। একটা সময় যখন বাচ্চাটি কোন বিষয় নিয়ে বিরক্ত করলে তাকে মারধর করে চুপ করিয়ে রাখার মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। তাছাড়াও তার একটু বুঝতে শিখলে, কোন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাকে কঠিনভাবে তিরষ্কার করা হয়। এর ফলস্রুতিতে তাদের কোমল মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং বিচার বিশ্লেষণ হারাতে থাকে। এছাড়াও রয়েছে সন্তানটিকে সঠিকভাবে মানবিক শিক্ষা না দেয়া।
সবমিলিয়ে কোমলমতি একটি শিশু হয়ে উঠছে মানবিকতা শূন্য কঠিন হৃদয়ের মানুষ। সেই মানুষটি যদি সামাজিক কিটে পরিনত হয় এবং আপনাকে অসম্মান করে, আর বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে তা সহজ সরল ঘটনা হিসেবে ধরা যায়। মূলত ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি আপনার সন্তানকে কোন অবস্থায় দেখতে চান এবং তাকে ঠিক কোন পর্যায়ের মানুষ করতে চান?
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করলেন ভাইয়া।সত্যিই আমরা বাচ্চাদেরকে সময় না দিয়ে তাদের হাতে বিভিন্ন ডিভাইস তুলে দিচ্ছি।এটা মোটেও কাম্য নয়।সন্তানকে সুশিক্ষিত করে তোলা প্রতিটি মা-বাবার দায়িত্ব।এটাকে কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না।তাতে নিজের সন্তানের ক্ষতি হবে।এটা নিজের বড় ক্ষতি।তাই সন্তানের প্রতি আমাদের অনেক বেশি যত্নশীল হওয়া জরুরী।
আসলে আমরা যদি চারা গাছের মতো করে নিজের সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করতে পারি, তাহলে সে একজন সুনাগরিক হয়ে উঠতে পারবে। আমাদের যাদের সন্তান রয়েছে সবারই উচিত নিজের সন্তানকে, একজন মানবিক মানুষ এবং সুনাগরিক মানুষ হিসেবে তৈরি করা। হয়তো যাদের সন্তান নেই তারা আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত একটা সন্তান কামনা করে কিন্তু তারা পায় না। আল্লাহ খুশি করে যাকে চায় তাকেই সন্তান দেয়। এখন তো মোবাইলের কারণে অনেক সন্তান বেশিরভাগ নষ্ট হচ্ছে। এসব কিছুর থেকে দূরে রাখাই ভালো।
বরাবরই আমি জানি ভাই আপনি খুবই সুন্দর লিখে থাকেন। আজকের এই টপিক নিয়ে আপনি খুবই সুন্দর লিখেছেন। আপনি খুব সুন্দর একটি উদাহরণ দিয়েছেন ঠিক যেমন ছাড়া রোপন করার পরে তাকে যেভাবে যত্ন করা হয় ঠিক একটা সন্তান জন্ম নেয়ার পর ঠিক তাকে সেই ভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। আর সব থেকে বড় কথা বাবা-মাকেও সময় দিতে হবে সন্তানের জন্য। বর্তমান সমাজে সন্তানকে মানুষ করে তোলা খুবই কঠিন একটি কাজ। তারপরও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে সন্তানকে সঠিক এবং সৎপথে সুন্দরভাবে মানুষ করার জন্য।
সকলের উচিত তাদের সন্তানদের মোবাইল নামক যন্ত্রটি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধরে রাখা। তাদেরকে মোবাইলে গেমস খেলতে না দিয়ে বাহিরে মাঠে এবং খেলার পরিবেশে খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া। সন্তানকে আমরাও সঠিকভাবে লালন পালন করলে পরবর্তীতে ভালো কিছু আশা করতে পারি। আর তুমি একটি ছোট চারা গাছের মতো ভাবতে পারি।
বর্তমান সময়ে ছেলে মেয়ে কে সুনাগরিক গড়ে তোলা খুব মুশকিল। আপনি ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় থেকে ঠিক ভাবে লালন পালন না করলে সঠিক ভাবে মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে না। আমার সন্তানকে আমি একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনার এধরনের পোস্ট গুলো থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
সন্তান যদি আমার হয় তাহলে অবশ্যই তাকে মানুষ করার দায়িত্ব ও আমার। নিজের সন্তানকে যদি একজন মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারি তাহলেই ভালো। আসলে একজন কৃষক একটা চারা গাছকে যেভাবে যত্ন করে, ঐরকম ভাবে যদি নিজের সন্তানের প্রতি যত্ন রাখে এবং তাকে মানুষের মত মানুষ করতে সক্ষম হয় তাহলে অনেক বেশি আনন্দ হয়। নিজের সন্তানের প্রতি নজর দিয়ে তাকে একজন ভালো মানুষ করা দরকার সবার।
Heres a free vote on behalf of @se-witness.