শুভ ইংরেজি নববর্ষ। উদযাপন যেন মৃত্যুর কারন না হয়।|| Happy New Year 🎊❤️🎈 ( Celebration should not be the cause of death.)
উদযাপন যেন মৃত্যুর কারন না হয়
শুভ ইংরেজি নববর্ষ। 🎈❤️🎊
আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমরা নতুন একটি বছর শুরু করতে যাচ্ছি। সারা পৃথিবী জুড়ে বেশ উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজকের দিনটি উদযাপন করা হয়। যাদের একটু সামর্থ বেশি মানে, সম্পদশালী তাদের জন্য জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের দিন। তবে মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য আর পাঁচটা দিনের মতো একটা দিন।
যাইহোক যেহেতু দেশের অধিকাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন বিত্ত তাই হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া অতিরিক্ত উৎসাহিত হয়ে তেমন উদযাপন করেনা কেউ। আবার কিছু অত উৎসাহি মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে থাকে এই দিনটাতে। আতশবাজি পোড়ানো, ফানুস ওড়ানো এবং মদ্যপান এই ব্যাপারগুলো এই দিনটি ঘিরে দেখতে পাওয়া যায়। অথচ এই ব্যাপারগুলোর জন্য প্রতিবছর বেশ কিছু দূর্ঘটনা ঘটে যায়, আবার অতিরিক্ত শব্দ দূষণ এবং বায়ুদূষণের ফলে পশুপাখি মারা যেতে দেখা যায়। এগুলো একদমই অপ্রত্যাশিত এবং অমানবিক কাজ। এমন নজির রয়েছে ফানুস উড়িয়ে মেট্রোরেলকে দূর্ঘটনা পতিত করা হয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটে যায়।
শুধু কি তাই অসুস্থ এবং শিশুদের জন্য এই মারাত্মক শব্দ দূষণ প্রাণঘাতী হিসেবে গন্য। খবরে বেশ কিছু এরকম মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর বেশ কয়েকবার শুনেছি, যা সত্যিই দুঃখজনক। আর অসংখ্য পাখি যারা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে তারা মারা যায় নির্বিচারে। আপনার দশ মিনিটের আনন্দের জন্য আপনি কতগুলো প্রাণ কেড়ে নিচ্ছেন তা যদি উপলব্ধি করতে পারতেন, তাহলে হয়তো এরকম আতশবাজি এবং ফানুস উড়িয়ে মানুষের জীবন কেড়ে নিতেন না।
যাইহোক আনন্দ করার অধিকার সবারই রয়েছে তবে সেটা এমন যেন না হয় অন্য কোন প্রাণী কিংবা মানুষকে হত্যা করছে। আমাদের অবশ্যই উৎসব কিংবা বিশেষ কোন দিন মার্জিত এবং সঠিক নিয়মের সাথে উদযাপন করা উচিত। এতে করে উৎসবের আনন্দ বৃদ্ধি পাবে এবং হয়তো বেঁচে যাবে বেশ কিছু প্রাণ। আসুন আমরা নতুন বছরে প্রতিজ্ঞা করি এমন কোন উদযাপন করব না যা পরিবেশ এবং মানুষজনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। আমরা যে যার অবস্থান থেকে সামাজিকভাবে উৎসবগুলো আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন করবো। আপনাদের সবার আগামীর দিনগুলো সুখকর হোক এবং পরিবার পরিজন নিয়ে ভীষণ আনন্দে থাকুন এই কামনায় আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
প্রমোশন
https://x.com/emranhasan1989/status/1874471840271466666?t=dsjr78Usft3pc6VPLYhPmA&s=19
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ভাই। পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো, একটি রাতে সামান্য কিছু সময়ের উদযাপন মানুষ পশু পাখির মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আতশবাজি পোড়ানো, ফানুস ওড়ানো এবং মদ্যপান এই গুলো ব্যতীত খুব সুন্দর করে বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করা যায়। কিন্তু মানুষের অসুস্থ মস্তিষ্কের কারণে এ ধরনের ক্ষতিসুলভ কাজে জড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় শব্দ দূষণ এবং বায়ুদূষণের ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুন। এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।