সময়ের ভালোবাসা, অসময়ে যদি বাসো।।।।।
আমাদের জীবনের শুরু গুলো সবসময়ই একরকম হয় না। কেউ কেউ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মে আবার কেউ কেউ ছেঁড়া কাঁথায় তার জীবন শুরু করে। প্রথমেই কেউ বলতে পারবেনা ছোট্ট এই বাচ্চাটা চোর হবে না পুলিশ হবে। তবে মাঝে মাঝে কেউ তাকে দেখে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে, তার ভবিষ্যত নিয়ে, যা একদমই ভ্রান্ত গল্প ছাড়া কিছুই নয়। যখন বাচ্চাটা একটু বড় হয় তখন সে পারিপার্শ্বিক সবকিছু ধীরে ধীরে বোঝার চেষ্টা করে, কোন কোন শিশু বুঝতে পারে দুনিয়া যুদ্ধক্ষেত্র মানে তাকে যুদ্ধ করে বাঁচতে হবে। আবার কিছু বাচ্চা ধরেই নেয় সে দুনিয়াটা জাষ্ট উপভোগ করার জন্য জন্মলাভ করেছে। এখানে সবাই তার হুকুমের গোলাম হবে এবং সে সবার দিকে তার ছড়ি ঘোরাতে থাকবে।
নিজ নিজ অবস্থান থেকে বড় হওয়া বাচ্চাগুলো এখন প্রাপ্তবয়স্ক তারা সবকিছু বোঝে এবং জানে। ধীরে তারা নিজেদের অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করে। কেউ কেউ দারিদ্র্যতা আর সীমাবদ্ধতার কড়াঘাতে ছুটে যায় সেই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানের দুয়ারে চাকরির খোঁজে, আর প্রতিনিয়ত নিজের ঘাম আর রক্তের বিনিময়ে যা পয়সা রোজগার করে তা দিয়ে সংসার চালায়। আর বিত্তবান হয়ে বেড়ে ওঠা যুবক আজ পুরো একটা কোম্পানি খুলে বসে।
ভালোই চলছিলো মালিক আর চাকরের খেলা। একদিন হঠাৎ কোম্পানিতে আগুন লেগে সব পুড়ে যায় এবং মালিক পথে বসার উপক্রম হয়। যে মানুষগুলো গরিব আর খেটে খাওয়া, তারা কোম্পানির এই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতিতে মালিককে সাহস যোগায় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তারা আবারও কোম্পানিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরেও সেই মালিকের তার শ্রমিকদের প্রতি বিন্দুমাত্র ভালোবাসা আর সহানুভূতি তৈরি হয়নি। বরং সে শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর হেনস্থা করতে থাকে। আর শুধু চারিদিকে জাল বিছিয়ে লাভ খুঁজতে থাকে।
ধীরে ধীরে সেই মালিকের প্রতি সবার ঘৃণা তৈরি হয় এবং সবাই দূরে সরে যেতে থাকে। সেই সময়টাতে কিছু ছাপোষা চামচে সেই মালিককে বিভিন্নভাবে আরো উস্কে দিতে থাকে এবং বিষিয়ে তোলে শ্রমিকের প্রতি। অত্যাচারের মাত্রা দিনকে দিন বাড়তেই থাকে, যা সহ্য সীমার অনেক বাইরে। ধীরে ধীরে সেই কোম্পানিতে উপর ওয়ালার গজব নাজিল হয় এবং তাদের পন্যের গুনগত মান একদমই পরে যায়, ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। যখন মালিকের হুস ফেরে তখন সে অনেক চেষ্টা করে তার শ্রমিকদের আবারো মনোবল বৃদ্ধি করার কিন্তু কিছুতেই আর পেরে ওঠে না। এমনকি ভালোবাসা আর ছলচাতুরি দেখাতে থাকে কিন্তু তখন আর সময় ছিল না। সবকিছু ধ্বংস হতে থাকে খুব তাড়াতাড়ি। সময়ের ভালোবাসা আর অসময়ে দেখিয়ে কোন লাভ হয়না সেই মালিকের।।।।।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
সময় মত যদি প্রত্যেক মালিক যদি তাদের কর্মচারীদের উপর একটু সদয় দৃষ্টি দিয়ে থাকে তাহলে কিন্তু সেই কর্মচারীরা তাকে আপন মনে করে এবং তার জন্য তারা সবকিছু করতে রাজি আছে। এই পৃথিবীতে গরিব মানুষ একটু ভালোবাসা পেলেই তারা এই ভালোবাসার জন্য আপনার কাছে সবকিছু দিয়ে দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এই ধরনের বাস্তবতা এখন আর বর্তমান সময়ে দেখা যায় না।
বর্তমান সময়ে এধরনের কোম্পানির মালিক গুলো বেশি দেখা যাচ্ছে। বাস্তবমুখী একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। একদমই ঠিক বলেছেন সময়ে ভালো না বাসে অসময়ে কোন লাভ নেই। আপনার লেখা থেকে বেশ কিছু বিষয় বুঝতে পারলাম। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ তোমাকে বোঝার জন্য।
চেষ্টা করেছি গুছিয়ে উপস্থাপন করতে।