ভাগ্নের জীবন সংকটাপন্ন :( রিফ্লেক্টরি এপিলেপসি) তীব্র খিঁচুনি বা মৃগী রোগ।
তীব্র খিঁচুনি বা মৃগী রোগ |
---|
প্রথমেই বলি এটি একটি সচেতনতা মূলক পোস্ট এবং বেশ খারাপ পরিস্থিতির বর্ননা। আমার ভাগ্নে যার বয়স ১৪ বছর, সে মারাত্মক খিঁচুনি বা মৃগী রোগে আক্রান্ত। এটি আজ দু'বছর ধরে শুরু হয়েছে। প্রথম প্রথম এটি প্রতি তিন চার মাস পর পর উঠতো। এরপর মাসে একবার উঠতো এবং শেষ এক মাসে চারবার উঠেছে। যখন এটা ওঠে তখন পুরো শরীরে তীব্র খিঁচুনি হয় এবং মুখ দিয়ে লালা বের হয়। অনেকেই প্রস্রাব কিংবা মলমূত্র ত্যাগ করে দেয়। প্রায় দুই থেকে তিন মিনিট স্থায়ী হয়ে পরবর্তীতে শরীর নেতিয়ে পরে এবং কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে এখন মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে লোপ পেয়েছে এবং চোঁখে ঝাপসা দেখা শুরু হয়েছে।
অবশেষে এক সপ্তাহ আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং যাবতীয় পরিক্ষা করা হয়। এখানে তার মস্তিষ্কের ৮০ ভাগের উপর খারাপ প্রভাব লক্ষ্য করেছেন তাঁরা। একটি অত্যন্ত জটিল অপারেশন করার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে ৯০% তারা আশা ছেড়ে দিয়েছেন। এখন অপারেশন বাংলাদেশে করা সম্ভব কিনা তারা তা দেখার জন্য তিন দিনের ভিডিও ইইজি করছেন, ইইজি স্লিপিং ল্যাবে। বলতে পারেন সে সে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। তার পিতা কাতার প্রবাসী হওয়ায় আমি, তার মা এবং আমাদের একজন চিকিৎসক মামা আমরা তার কাছে রয়েছি। সত্যিই জানিনা কি পরিণতি অপেক্ষা করছে সামনে।
![]() | ![]() |
---|
আমাদের শরীরের প্রতিটি কাজ মস্তিষ্কের সংকেতের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। মস্তিষ্ক যেরকম সংকেত প্রদান করবে শরীর ঠিক সেরকম আচরণ করবে। যাদের ঐই সমস্যা রয়েছে তারা মস্তিষ্কের থেকে কিছু অনিয়ন্ত্রিত সংকেত পায় এবং শরীর অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে শরীরে তালগোল পাকিয়ে খিঁচুনি শুরু হয়ে যায়। প্রতিবার খিঁচুনির মধ্য দিয়ে অজস্র নিউরন ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এক পর্যায়ে ভীষণ বিপর্যয় নেমে আসে।
এটি অনেক ক্ষেত্রে জিনগত সমস্যা থেকে হয়, মানে পিতা মাতার থাকলে এটি হতে পারে। সন্তান জন্মের সময় মাথায় আঘাত পেলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না এর ফলস্বরূপ পরবর্তীতে বাচ্চার এই রোগ দেখা দেয়। তাছাড়াও তীব্র ভয়, অনিদ্রা, মানসিক চাপ, তীব্র আলোতে থাকা এবং নিয়মিত অ্যালকোহল পান এগুলো এই রোগের মূল কারণ ডাক্তার তাই বলেছেন।
আমার ভাগ্নে আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে একটি পারিবারিক কলহের কারণে তীব্র ভয়ে কুঁকড়ে যায় এবং মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই ওর বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক জটিলতা শুরু হয়। গত দু'বছর আগে হঠাৎ খেলতে গিয়ে মাঠের মধ্যে তার প্রথম এই রোগটি দেখা দেয়। তবে এক মিনিট পর সে স্বাভাবিক হয়ে যায় প্রথমবার। এরপর এটা আবার তিন মাস পর আবারো দেখা যায় এবং দুমিনিটের বেশি সময় ধরে চলে এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এবার ডাক্তার তার পরিক্ষা করে বলেন তার এই মারাত্মক রোগটি দেখা দিয়েছে এবং তাকে সাবধানে রাখতে হবে। তার স্কুল বন্ধ হয়ে যায় এবং সে একা আর কোথাও যায়নি। গত কয়েক মাস ধরে প্রতি মাসেই একবার উঠেছে।
এখন সে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং শেষ পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য ইইজি স্লিপিং ল্যাবে রয়েছে। এখানে তার খিঁচুনি পুনরায় ওঠানো হবে এবং তার মস্তিষ্কের সর্বশেষ কি অবস্থা রয়েছে তা দেখা হবে। যদি অপারেশন করা সম্ভব হয় তাহলে করা হবে বাংলাদেশে আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে ভারত কিংবা সিঙ্গাপুরে বাঁচানোর চেষ্টায় ছুটতে হবে।
সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি আমি, একটু দোয়া করবেন সবাই ছেলেটার জন্য। আমি হাসপাতালে থেকেও আমার কাজগুলো চালিয়ে যাবার চেষ্টা করছি। আর তিনদিন পর তার সার্বিক পরিস্থিতি আবারো জানানোর চেষ্টা করবো।
প্রতিটি সন্তান থাকুক আদর আর ভালোবাসায় |
---|
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1564512117314961408?t=WGiTNHKMITkMvPKyvlqv6g&s=19
গতকাল খবরটি শুনে অনেক খারাপ লাগছিলো। আজকে পুরো অংশটুকু পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আপনার ভাগ্নের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। আল্লাহ তাআলা যেন সহায় হোন এবং দূত সুস্থতা দান করেন এবং তার বাবা মা কে ধৈর্য্য ধরার শক্তি দান করেন।
জি ভাই। গতকাল বলেছিলাম বিস্তারিত লিখবো।
আর আজ উপস্থাপন করলাম।
দোয়া করবেন।
ভাইয়া খিচুনি রোগটা বেশ মারাত্মক একটি রোগ। আমি মহান আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করছি যেন মহান আল্লাহতালা আপনার ভাগ্নেকে খুব দ্রুত আরোগ্য করে দেন। ভাইয়া আপনারাও ধৈর্য ধারণ করুন এবং মহান আল্লাহতালার উপর শতভাগ ভরসা রাখুন, নিশ্চয় তিনি আপনাদের ভাগ্নেকে সুস্থ করে দিবে, কারণ তিনিই সর্বশক্তিমান।
আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রয়েছে।
দোয়া করবেন।
পুরো ব্যাপারটি জানতে পেরে সত্যিই অনেক কষ্ট পেলাম ভাইয়া। চোখের সামনে একটি মানুষ এভাবে আমাদের থেকে হারিয়ে যাবে এটা মেনে নিতে পারি না। তবে আমরা সকলেই দোয়া করি সে যেন আবারও সুস্থ হয়ে সকলের মাঝে ফিরে আসে। 🤲🤲🤲
আসলে আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা।
ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
দোয়া করবেন।
ভাগিনার জন্য অনেক দোয়া রইল। ঈশ্বর তার সহায় হবেন।আশা করি খুব জলদিই সে সুস্থভাবে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।আপনি শক্ত থাকুন ভাই।আর খেয়াল রাখুন আপু আর দুলাভাই যেন ভেঙে না পরে।
দোয়া করবেন ভাই।
খুবই দুঃখজনক ঘটনা।এই ধরনের রোগীদের খুবই সাবধানে রাখতে হয়। আমার ভাশুরের বড় ছেলের এই সমস্যা ছিল ওর যখন তিন বছর বয়স তখন এই রোগে আক্রান্ত হয়, দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়, তারপর কলকাতায় নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা করে এখন মোটামুটি ভালোই আছে আর কোন সমস্যা হয়নি। ঈশ্বর আপনার ভাগ্নের মঙ্গল করুক এই প্রার্থনা করি। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে এই কামনায় করছি।🙏🙏🙏🙏
এটা ভীষণ খারাপ একটা রোগ এবং ভীষণ বিপদে রয়েছি ওকে নিয়ে। দোয়া করবেন।
জ্বি ভাইয়া, অবশ্যই দোয়া করি ভাইয়া। খুব তাড়াতাড়ি যেনো সুস্থ হয়ে উঠে ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।🙏
দেখি, আমরা ভালো কোন ইঙ্গিত পেলে হয়তো ইন্ডিয়াতে নিয়ে যাবো।
খুবই কষ্ট হল দেখে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনার ভাগ্নে সুস্থ হয়ে উঠুক, আল্লাহ তাকে তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলুক এই দোয়া করি।
দোয়া করবেন।
আপনার ভাগ্নের জন্য আল্লাহতালার কাছে অশেষ প্রার্থনা এবং দোয়া কামনা করি যেন আপনার ভাগ্নে সুস্থ হয়ে ওঠেন।ভাগ্নের জীবন সংকটাপন্ন খিচুনি রোগটা বেশ মারাত্ম ভালোভাবে ডাক্তার দেখান এবং আল্লাহতালার কাছে দোয়া কামনা করেন যেন আল্লাহ তায়ালা উনাকে সুস্থতা দান করে ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার এবং আপনার ভাগ্নের জন্য।
সর্বোচ্চ চিকিৎসা চলছে ভাই।
দোয়া করবেন।
এত কম বয়সে এ রোগ আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো। অনেক অনেক দোয়া রইল আপনার ভাগ্নের জন্য যেন আল্লাহ সহিসালামতে তার অপারেশন করিয়ে দেয় আর সুস্থ হয়ে যায়
দোয়া করবেন ভাই।
সবাই বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছি।