আমার সহকর্মী হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন।
ইদানিং কেমন যেন চারিদিক থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই ধেয়ে আসছে। এর মধ্যে কিছু কিছু মারাত্মক রোগ মানুষের জীবন বিপন্ন করে চলেছে। স্ট্রোক এবং ক্যান্সার এই দুটো এখনকার সময়ে প্রাণঘাতী রোগ। ক্যান্সারে মৃত্যু হয়তো আগে থেকে উপলব্ধি করা যায় কিন্তু স্ট্রোক হঠাৎ করেই মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। অনেক সময় রোগী এবং তার স্বজনেরা বোঝার আগেই প্রান কেড়ে নেয়।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমার সহকর্মী একজন ইঞ্জিনিয়ার হঠাৎ করেই গতকাল ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন। তার মাথার একপাশে তীব্র যন্ত্রণা ছিল এবং ধীরে ধীরে তার মুখ বেঁকে যেতে থাকে। এরপর কথায় জড়তা তৈরি হয় এবং চোখে ঝাপসা দেখতে থাকেন। তবে ভাগ্য ভালো তিনি ধীরে ধীরে বাড়িতে তার পরিবারের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন। এরপর তারা তাকে দ্রুত কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যান এবং দুটো পরীক্ষা করান। উক্ত পরীক্ষায় ধরা পরে তার ছোট একটা স্ট্রোক হয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। রাতে তারা তাকে বাসায় নিয়ে আসেন এবং তিনি ঘুমিয়ে পরেন।
তবে এধরনের স্ট্রোক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোন সময় কয়েকবার একসাথে স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও মৃত্যু ঝুঁকি অনেক কিন্তু আজ সকালেই তাদের জমি সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় তারা আমার সহকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করেননি। আমি ব্যাপারটা যখন বুঝতে পারলাম আমি ভীষণ বিচলিত হয়ে তাদের বাড়িতে যাই এবং তাদের পুরো পরিস্থিতিটা বোঝাতে সক্ষম হই যে তাকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করা উচিত। যদি তাকে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করা হয় তাহলে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। অবশেষে দুপুরের পর একটি প্রাইভেট কারে তাদের ঢাকার দিকে পাঠানো হলো।
যাইহোক আজ যে সহকর্মীর কথা বলছি তিনি আমার থেকে বয়সে কিছুটা বড় কিন্তু আমার একদমই বড় ভাইয়ের মতো, তার এমন অসুস্থতায় আমি নিজেও অনেকটা ভেঙ্গে পরি। যাইহোক আমি সর্বক্ষণ তাদের খোঁজ খবর এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি তার পাশে এই মুহূর্তে থাকতে পারছিনা কারন দায়িত্বশীল কেউ আমার জোন চালানোর মতো নেই এবং কাজের পুরো দায়িত্ব আমার কাঁধে। যাইহোক আমি প্রতিনিয়ত সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ সৃষ্টিকর্তা তাকে রোগ মুক্ত করবেন। যাইহোক সবাই আমার সহকর্মী ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। তিনি না ফেরা পর্যন্ত আমি সত্যিই মানসিক দিক থেকে ভালো নেই।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ব্রেইন স্ট্রোক সত্যি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে। আর মুখের কথায় জড়তা চলে আসে। অনেকের মুখ তো একেবারে বাঁকা হয়ে যায়। এটা সত্যি অনেক দুঃখজনক ভাইয়া। আপনার কলিগের জন্য সত্যিই অনেক খারাপ লাগছে। অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাইয়া তিনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আপনার সহকর্মীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আশাকরছি তিনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়ে খুব ভালো করেছেন ভাইয়া। এধরনের রোগীকে বাড়িতে রাখা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ । পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করে আমাদের দোয়া করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার সহকর্মী হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন জেনে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো। এধরনের রোগ গুলো খুব সহজেই আমাদের জীবন কেড়ে নেয়। আপনার কথা মতো পড়ে ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করে খুব ভালো করেছেন। দোয়া রইল খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ 🤲
ক্রমাগত আমরা একটা বাজে অভ্যাস বা বাজে স্বভারের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছি। আর এটা আমাদের শরীর খারাপের অন্যতম প্রধান এবং প্রথম কারণ। আপনার সহকর্মীর ব্রেন স্ট্রোকের কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগল। আশাকরি উনি দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।
প্রথমেই আল হাদি ভাইয়ের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। তিনি অনেক ভালো মনের মানুষ। তার সঙ্গে আমার বেশ কিছুদিন কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তবে তীব্র যন্ত্রণার কারণে ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন এই খবর আমি গতকালকে আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যেহেতু ইঞ্জিনিয়ার হাদি ভাই অসুস্থ তাই আপনাকে অনেক চাপ সামলাতে হবে। দোয়া রইল ভাইয়ের জন্য, ভাই যেন দ্রুত আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে আসেন এই কামনাই করি।