শিম এবং আলু দিয়ে লাউ শাক ভাজি।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমরা বাঙালিরা খেতে ভীষণ পছন্দ করি এবং রান্নায় বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি। যাই হোক অনেক সময় একঘেয়ে খাবার দাবার খুব একটা ভালো লাগে না। তখন ইচ্ছে করে ভিন্ন ধরনের কোন খাবার খাওয়ার। যাই হোক আমি লাউ শাক ভীষণ পছন্দ করি এবং সুযোগ পেলেই বাজার থেকে লাউ শাক কিনে এনে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাউ শাক ভাজি বেশি পছন্দ করি এবং এর সাথে যদি শিম এবং আলু দেওয়া হয় তাহলে সেটা সত্যিই সুস্বাদু হয়ে ওঠে। আমি আজকে আপনাদের শিম এবং আলু দিয়ে লাউ শাক ভাজি করে দেখাবো। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে, তো চলুন শুরু করা যাক চমৎকার রেসিপিটি।
শীম | ২০০গ্রাম | লাউ শাক | ৩০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
দেশী আলু | ২০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
কাঁচামরিচ | স্বাদমতো | রসুন | একটি |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ কলি | স্বাদমতো | মনের মাধুরী | ভরপুর |
প্রথমে লাউ শাকগুলো কেটে ছোট ছোট টুকরো করে নিলাম এবং ধুয়ে একটি চালনিতে উঠিয়ে নিলাম।
এরপর পেয়াজকলি, দেশি আলু এবং শিম কেটে টুকরো করে নিলাম।
এবার একটি পাতিলে সামান্য পানি দিয়ে লাউ শাকগুলো দিয়ে দিলাম।
এরপর একে একে শিম, পেঁয়াজের কলি, আলু এবং কাঁচামরিচ দিয়ে সামান্য লবণ দিয়ে দিলাম। এরপর ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ বসিয়ে দিলাম।
এরপর ১৫ মিনিট শাকগুলো সিদ্ধ করে নিলাম। সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি চালনিতে ঢেলে পানিটা ছেঁকে নিলাম।
এবার একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো সোয়াবিন তেল দিয়ে রসুন কুচি এবং পেঁয়াজ কুচি বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।
এই ধাপে পেঁয়াজ ভাজার মধ্যে সেদ্ধ করা শাকগুলো দিয়ে দিলাম এবং ১৫ মিনিট সময় নিয়ে শাকগুলো তেলের উপরে ভেজে নিলাম। আমাদের সুস্বাদু খাবারটি তৈরি হয়ে গেছে এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
খাবারটি কতটা সুস্বাদু তা হয়তো বলে বোঝাতে পারবো না। আমার কাছে মাছ কিংবা মাংসের থেকে এই লাউ শাক ভাজি অনেক বেশি ভালো লাগে।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আলু, শিম দিয়ে লাউশাকের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এরকম রেসিপি আমিও খেয়েছি তবে একটু ঝোল ঝোল। আমার মা এই সময় আলু,শিম, কুমড়ার বড়ি সাথে এরকম লাউয়ের পাতা দিয়ে বেশ ঝোল ঝোল একটা মজাদার সবজি রেসিপি করতো। রেসিপিটি অনেক মজা হয়। আপনার রেসিপিটা দেখেও মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার রেসিপি টি তৈরি করার ধাপগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
লাউ শাক খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি শিম এবং আলু দিয়ে লাউ শাক ভাজি রেসিপি করেছেন। তবে লাউশাক এভাবে ভাজি করে খেতে বেশ মজা লাগে। আমি নিজেও কিছুদিন আগে বাড়িতে এভাবে লাউশাক ভাজি করেছি খাওয়ার জন্য। আর সব সময় মাছ মাংস খেতেও মন চায় না। মাঝেমধ্যে এরকম রেসিপি হলেও খেত অন্যরকম মজা লাগে।
লাউ শাক আমার বেশ পছন্দের। এভাবে শিম এবং আলু দিয়ে ভাজি করে খেতে ভালোই লাগে। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। রেসিপি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। শিম এবং আলু দিয়ে এতটা মজাদার ভাবে লাউ শাক ভাজি করলেন দেখে অনেক লোভ লাগলো। দুপুর বেলায় এরকম রেসিপি গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। এতটা মজাদার ভাবে তৈরি করেছেন, দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো লেগেছিল।
দারুন একটা পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবারের পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই ধরনের খাবার খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও এই রেসিপিটা আমার কাছে একটু নতুন ধরনের রেসিপি মনে হয়েছে। এছাড়াও আপনি খুব সুন্দরভাবে এই রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
শিম এবং আলু দিয়ে লাউ শাক ভাজি রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এই ধরনের রেসিপি গুলো খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত। আপনি রন্ধন প্রণালীর প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আমাদের মাঝে। নিশ্চয়ই পরিবার নিয়ে জমিয়ে খেয়েছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।