উপভোগ করলাম কক্সবাজার জেলায় আয়োজিত পর্যটন মেলা
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। অনেকদিন পর্যন্ত কোন বিষয় নিয়ে লেখা হয়নি। আজকে আপনাদের মাঝে কক্সবাজার জেলায় আয়োজিত পর্যটন মেলা নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি।
বেশ কয়েকদিন গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে থাকার উপর গতকালকের রাত্রে কক্সবাজার শহরে ফিরে এসেছি। এসেই খবর পেলাম তিনদিন ব্যাপী কক্সবাজার শহরে চলছে পর্যটন মেলা। আজকে মেলার দ্বিতীয় দিন অতিক্রম ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটিয়েছি সন্ধ্যার পরে চলে গেলাম লাবনীর পয়েন্টে পর্যটন মেলা উপভোগ করার জন্য। প্রতি বছর পর্যটন দিবস পালন উপলক্ষে কক্সবাজার পর্যটন মেলা উদযাপন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই বছরও আয়োজন চলছে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এ আয়োজন চলছে। সন্ধ্যায় প্রথমে চলে গেলাম পরিচিত কয়েকজন মানুষের সঙ্গে দেখা করার জন্য সুগন্ধা পয়েন্টে। কারণ অনেকদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহরের থেকে এসে ব্যবসায়িকভাবে কিছু কাজ ছিল সেগুলো শেষ করার জন্য একদম সকাল থেকে বের হয়ে পড়েছিলাম এবং সারাদিন একটা ব্যস্ত সময় পার করেছি।সুগন্ধা পয়েন্টে কিছুক্ষণ সময় অতিক্রম করে আমার এক পরিচিত ভাইয়ের সাথে চলে এলাম লাবনীর পয়েন্টে কক্সবাজার পর্যটন মেলা উপভোগ করার উদ্দেশ্যে।
পর্যটন মেলা কে কেন্দ্র করে চারিদিকে খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে এবং অনেকগুলো দোকান দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে। কক্সবাজারের যেসব ছোট ছোট খুদে উদ্যোগ তারা রয়েছে তারা পথ থেকে এই মেলায় তাদের একটি করে দোকান নিয়েছে এক সপ্তার জন্য।
এর মাধ্যমে যেমন ভালো একটা ব্যবসা করা সম্ভব তেমনি তাদের একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও পরিচয় তারা তৈরি করতে পারে। মেলায় আমার পরিচিত অনেক উদ্যোক্তা দোকান নিয়েছে তারা খুব ভালোই ব্যবসা করছে কারণ আগামী তিন দিন একটানা একটা লম্বা সরকারি ছুটি রয়েছে যার কারণে প্রচুর পরিমাণে মানুষ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসেছে। মানুষ একদিকে যেমন ছুটির জন্য কক্সবাজার ভ্রমণ করতে এসেছে ঠিক একই সময়ে পর্যটন দিবস হওয়ার কারণে খুব ভালোই ভিড় জমেছে কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টের দিকে।
মেলায় কিছুক্ষণ হাটার গেলাম সমুদ্র সৈকতের পাশে একটু রাতের পরিবেশ পরিস্থিতি উপভোগ করার জন্য সমুদ্রের তীরের কাছে গিয়েই দেখলাম সেখানে খুবই চমৎকার ভাবে দুইটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। এই ভাস্কর চোখগুলো তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ডিপার্টমেন্টের ছাত্রদের একটা টিম মিলে। দারুন এই দুটি ভাস্কর্যের মধ্যে একটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যটি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক মানুষ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে ভাস্কর্যের সাথে ছবি তোলার জন্য।কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে চিন্তা করলাম মানুষকে কত চমৎকার যোগ্যতা মহান আল্লাহ দান করেছেন। সামুদ্রিক বালি এবং পাহাড়ের মাটির ব্যবহার করে কি চমৎকার দুটি ভাস্কর্য তারা তৈরি করে দেখাল।
এভাবেই আরো কিছুক্ষণ লাবনী পয়েন্টের চারপাশে হাঁটাহাঁটি করলাম এবং পর্যটন মেলার সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। সব মিলে সন্ধ্যার পরের পরিবেশটা খুবই চমৎকার ছিল।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশের প্রায় সবজায়গায় একই সাথে পর্যটন মেলা শুরু হয়েছে। আমিও আমার জেলায় পর্যটন মেলা দেখেছি।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Various images of Cox's Bazar tourism fair are shown here. Fair means a place of joy where the mind becomes better.