গ্রামের বাড়িতে সবার সাথে পুকুর থেকে মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করলাম
আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
গ্রামের বাড়িতে যেই সুন্দর বিষয়গুলো উপভোগ করা যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি হল যখন পুকুর দেয়া হয়। এই পুকুর দেওয়ার দৃশ্যটা দেখতে একটা আলাদা আনন্দ কাজ করে। তবে সবচাইতে ভালো লাগে যখন পানি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বয়স কত থেকে শুরু করে বাচ্চা পর্যন্ত সবাই মিলে যখন কাদা থেকে মাছ ধরা শুরু করে। গ্রামের বাড়ি পুকুর রয়েছে। প্রতি বছরই বর্ষা শুরু হওয়ার আগে আগে সবগুলো পোখরিস দেওয়া হয় এবং এখান থেকে বিভিন্ন রকমের মাছ সংগ্রহ করা হয়। সবার একটাই আকর্ষণ থাকে বড় আকৃতির একটা সোল মাছ পাওয়া। বাংলাদেশের পুকুরের যেইগুলো মাছ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এবং শক্তিশালী একটি মাছ হল শোল মাছ। এই মাছটির যেমন শক্তিশালী তেমন কিন্তু খেতেও খুবই ভালো লাগে।
কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ির পাশে যেই পুকুরটা ছিল সেটা থেকে মাছ ধরা জন্য অনেকেই একদম সকাল থেকেই উপস্থিত ছিল। আমি ঘুম থেকে উঠার পর যখন হাঁটতে বের হলাম তখন দেখি আমার পরিচিত জনেরা সবাই পুকুরের পাড়ে হাটাহাটি করছে। এর মধ্যে অনেকের হাতে জাল এবং তারা মাছ সংগ্রহ করা শুরু করছিল।
পুকুর গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়েছে। এখানে তালাপিয়া রুই মাছ পাঙ্গাস মাছ কাতলা মাছ সহ আরো অনেক প্রজাতির মাছ দেখা যাচ্ছিল। যেহেতু এখন অধিকাংশ পুকুর শুকিয়ে এসেছে তাই তারা যেগুলো মূলত একটু তুলনামূলক বড় হয়েছে সেই মাছগুলো আলাদা করার জন্যই পুকুরে জাল ফেলছিল। জালের বড় যে মাছগুলো ধরা পড়ছে সেগুলো কালেক্ট করার পর ছোট মাছগুলো পুনরায় পুকুরে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ চাষের জন্য যে মাছগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে সেগুলো যদি ঠিকমতো সময় পায় তাহলে এক একটা মাছের ওজন ৪-৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। তাই এগুলো যদি রে তাড়াতাড়ি সংরক্ষণ করে নিয়ে নেওয়া হয় তাহলে যারা মাছ চাষ করেছে তাদের জন্য লস হয়ে যাবে।
আমি যেহেতু শহরে বড় হয়েছি তাই পুকুর থেকে মাছ ধরার দৃশ্যটা আমার কাছে সব সময় খুবই ভালো লাগে। কক্সবাজার শহরে সমুদ্র সৈকতে দূর থেকে বড় আকৃতির জাল দিয়ে ছেলেদের নৌকা থেকে মাছ ধরতে দেখেছি কিন্তু কৈ মাছগুলো কখনো পাশাপাশি নিয়ে এসে জ্যান্ত অবস্থায় দেখিনি। কিংবা যখন ফিশারি ঘাটে অনেকগুলো নৌকার মাছ একসঙ্গে নিয়ে এসে জমা করা হয় তখন প্রচুর পরিমানে মাছ দেখার সুযোগ হয়েছে এবং প্রত্যেকটাই সামুদ্রিক মাছ। কিন্তু গ্রামের বাড়ির বিষয়টা ব্যতিক্রম এখানে জ্যান্ত মাছ দেখতে পাওয়া যায়। এমন ভাগ্য যদি ভালো থাকে অনেক সময় বিশাল আকৃতির রুই কাকলা পাঙ্গাস কিংবা অন্য যে কোন প্রজাতির মাছ দেখা যায়।দেশীয় মাছগুলোর মধ্যে সবচাইতে চালাক প্রজাতের মাছের মধ্যে শোল মাছের কথা আপনাদের বলেছিলাম। দেখতে অনেকটা টাকি মাছের মত কিন্তু চাইবে অনেক বড় হয়। অনেক প্রচেষ্টা করার জনের শুধু মাত্র একটা শোল মাছ ধরতে পেরেছিল যেটার ওজন হয়েছিল এক কেজির একটু বেশি। তো সব মিলিয়ে গ্রাম মেয়ের ভাই ব্রাদার সবার সাথে নিয়ে এই সময় গুলো খুবই ভালো কেটেছে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
আসলেই গ্রামের বাড়ি দৃশ্য অসাধারণ। চারপাশে সবুজ গাছগাছালির ছায়ায় নিবিড় ডাকা