কক্সবাজার নামকরণের ইতিহাস এবং বর্তমান পরিস্থিতি
কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে। কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধ্যাদেশ, ১৭৭৩ জারি হওয়ার পর ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাংলার গভর্নর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তখন হিরাম কক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। ক্যাপ্টেন কক্স আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিদ্যমান হাজার বছরের পুরোনো সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করেন এবং শরণার্থীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেন কিন্তু কাজ পুরোপুরি শেষ করার আগেই মারা (১৭৯৯) যান। তার পুনর্বাসন অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর নাম দেয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার। কক্সবাজার থানা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে এবং পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে।( গুগল)
কক্সবাজার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখানে প্রচুর পরিমাণে মানুষের আনাগোনা এবং বসবাস তৈরি হয়েছে। সকালের পক্ষ থেকে যখন ধীরে ধীরে এখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনা তৈরি হয়েছে এরপর থেকে মানুষ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার জেলায় প্রবেশ করেছে। ঢাকা শহরের মধ্যে যেমন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ একত্রে বসবাস করে ঠিক তেমনি কক্সবাজার শহরের মধ্যেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের বসবাস হয়েছে। যত বেশি সময় অতিক্রম হয়েছে তত বেশি এখানকার মানুষের বসবাস বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজার এলাকার সৌন্দর্য এবং এখানকার শান্তিপ্রিয় পরিবেশ দেখে অনেকেই নিজ জেলা ছেড়ে দিয়ে কক্সবাজারে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেছে। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা গুলোর তুলনায় কক্সবাজার যথেষ্ট পরিমাণ শান্তশিষ্ট একটা জেলা। এখানে রাজনৈতিক এবং অন্য কোন ইস্যু নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয় না সহজে। তবে যত দিন যাচ্ছে এবং মানুষের বসবাস যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তত ধীরে ধীরে বিশৃঙ্খলার একটা আবাস তৈরি হচ্ছে। কক্সবাজারের অবস্থাও খুবই ভালো অবস্থানে রয়েছে। টুরিস্ট সৃজনে হাতে গোনা বিচ্ছিন্ন কয়েকটা ঘটনা ছাড়া কক্সবাজার সম্পর্কে কোন রকমের খারাপ তথ্য কিংবা নিউজ তা পাওয়া যায় না।
সবকিছু বিবেচনা করলে কক্সবাজার একটি শান্তশিষ্ট শহর এবং এখানকার যারা স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছে তারা যথেষ্ট পরিমাণ সহযোগী চিন্তাভাবনার মানুষ। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বর্তমান কক্সবাজার শহরের মধ্যে চলে এসেছে বিশাল পরিবর্তন। এবং এই পরিবর্তন ও উন্নয়ন ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারের উন্নতির সাথে সাথে এখানকার জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হচ্ছে। আপনাদের সবাই কে কক্সবাজার শহরে ভ্রমণ করার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।
কক্সবাজারকে নামকরণ করার পিছনে যে ইতিহাস টা তুলে ধরেছেন তা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আজ পর্যন্ত জানতাম না আমি যা আপনি আপনার পোস্টে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই
Hi, Greetings, Good to see you Here:)