মোবাইল চুড়ি ও ফেরত পাওয়ার ঘটনা শেষ পর্ব।
হ্যালো,
কেমন আছেন সবাই আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ভাই এর বিয়েতে কাকাতো বোনের ফোন চুরি হওয়া ও বের হওয়ার দ্বিতীয় পর্ব।
আনন্দঘবৌভাতের পরিবেশ আমাদের মাঝে বিষাদে পরিনত হলো।ফোন হারিয়ে আমার ঐ বোন তো আমার মায়ের গলা ধরা কান্না করেই চলছে।মাকে খুব ভালোবাসে মাও খুব ভালোবাসে। সব আবদার ওর মায়ের কাছে নয় আমার মা মানে ওর বড় মার কাছে।মা ওকে শান্তনা দিয়ে যাচ্ছে চুপ করো তোমাকে আবারও ফোন কিনে দেব।তোমার দাদাকে বলে। মানে আমার ভাই কে বলে আবার ফোন কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে। যাই হোক মানুষজন আসছে বাড়িতে তাদের সাথে তো মন খারাপের মাঝেও কথা বার্তা বলতে হচ্ছে। যাই হোক এরপর প্রায় আধা ঘন্টা পর সন্ধ্যা হয়ে গেছে।খাওয়াদাওয়া শেষ হয়ে গেছে। সব গোছাচ্ছে এবং বেঁচে যাওয়া খাবার সবাই ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।
এর মাঝে আমার মামাত দেবর বাইরে গেছে এবং দেখেছে একটি কুকুর টেবিলের উপরে দাড়িয়ে আছে।তাই কুকুর কে তাড়াতে গিয়ে দেখতে পাচ্ছে ফোনটি মাটিতে রেখে গেছে। ও দৌড়ে আমার কাছে এসে বলছে এটা কার ফোন পড়ে আছে।আমি কার ফোন তা না দেখেই ভোঁদৌড় ফোন দিয়ে গিয়ে সোজা রুমে আমার বোনের কাছে। আর বলছিলাম ফোন বের হয়েছে। ফোন হাতে নিয়ে দেখে সত্যি ওর ফোন। কিন্তুু ফোনের সিমটি খোলা।সিমটি খুলে নিয়েছে চোর।আসলে পুলিশকে জানানোর কারণে চোর ভয় পেয়ে গিয়ে ফোনটি রেখে গেছে । সবার টার্গেট ওই গ্রামের ছেলেটি কারণ ওর এমন অনেক ফোন চুড়ির ঘটনা আছে।কিন্তুু আমরা তো নিতে দেখিনি তাকে।তাই সেই ছেলে যে নিয়েছে তা বলার রাইট নাই আমাদের। কে নিয়েছে তা আজ-ও অজানা রয়ে গেলো।আমাদের বাপু চোরের নাম জেনে কাজ নেই।যে চোরেই হোক না কেন তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ফোন টি ফেলে যাওয়ার জন্য।
এই ঘটনার পর থেকে সবাই ফোনের প্রতি অনেক সাবধানতা অবলম্বন করা শুরু করে দিয়েছে। আমার ওই কাকাত বোন তো ফোন আলমারিতে তুলে রেখেছে। এমনকি আমরা অষ্টপ্রহরে যাওয়ার সময় ফোনটি আমার ব্যাগে রেখেছে এবং আমাকে সাবধান করে দিচ্ছে। আমিও মজা করে ওকে বলছিলাম তুই আমাকে পাহারা দে কারণ তোর ফোন এখন আমার কাছে।
এই ছিলো আমার আজকের ফোন চুড়ি হওয়া এবং বের হওয়ার ঘটনার শেষ পর্ব।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আসলে আমি প্রথম পর্ব পড়েছি, আর তখনই বুঝেছিলাম পুলিশের ভয় দেখানোর কারণে ছেলেটি হয়তো ফোনটা দিয়ে যাবে। ঠিক তাই হলো। ছেলেটি ফোনটা দিয়ে গেছে তবে সিমটা সে খুলে নিয়েছে। আসলে আপনারা হয়তো তাকে ধারণা করেছেন কিন্তু সেও নাও হতে পারে। তবে যেহেতু প্রমান নেই তাই একদম সম্পূর্ণ দোষ দেওয়াটা ঠিক হবে না। যাই হোক আপনার ফোন ফেরত পেয়েছেন এটাই অনেক বড় পাওয়া।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া না দেখলে দোষ দেওয়া ঠিক না।না দেখলে সবাই চোর মনে হয় কিন্তুু আসল চোর কে তা সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
যাই হোক আপু অবশেষে ফোনটি পাওয়া গেছে শুনে খুশি হলাম। হয়তো ওই ছিসকে ছেলেটাই ফোনটা নিয়েছিল আমার যতদূর মনে হচ্ছে। যাইহোক সেটা তো আর বলা যাবে না যেহেতু আপনারা তাকে নিতে দেখেননি। কিন্তু পুলিশে জানাজানি করার কথা শুনে হয়তো ফোনটি এভাবে রেখে গেছে। পুলিশের ভয় হয়তো সিমটি খুলে নিয়েছে। আপনার বোন ফোন ফিরে পেয়ে খুশি হয়েছে এটা শুনিও খুশি হলাম আপু। আসলে হারানো জিনিস খুঁজে পেলে অনেক বেশি আনন্দ অনুভূত হয় মনে। অবশেষে দারুণ বলেছেন যে তোর ফোন আমার কাছে এখন আমাকেই পাহারা দেয়। অবশেষে ফোন খুঁজে পাওয়ার পর্বটি আমরা শেষ অব্দি উপভোগ করলাম ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিতে না দেখলে তো বলা যায় না কাউকে।
প্রথম পর্বটা আমি পড়েছিলাম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ঘটনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। সেই পর্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শেষ বিষয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বিস্তারিত সম্পূর্ণ তথ্য জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো ফেরত পাওয়ার বিষয়টা জেনে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামের বিয়েতে এইসব কিছু না কিছু সমস্যা তৈরি হয়েই থাকে শত সিকিউরিটির পরেও! কারণ সকলেই ব্যস্ত থাকে, আর এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকে চোরেরা। তবে মোবাইল ফোনটি পাওয়া গিয়েছে জেনে বেশ ভালোই লাগলো। কারণ এখন তো মানুষের মোবাইলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও থাকে, যা অন্য কারোর হাতে পড়লে সর্বনাশ! তবে সিম টা কেন খুলে নিয়ে নিলো, সেটা পরিষ্কার হলো না! তবে মানতেই হবে, তোমার বোনের ভাগ্য বেশ ভালো ছিলো।
ঠিক বলেছো গ্রামের বিয়েতে কিছু না কিছু সমস্যা হয়েই থাকে।সিম কেন খুলে নিলো তা চোরেই শুধু বলতে পারবে।আমার তো মনে হয় যে ফোন টা বন্ধ করার জন্যই সিমটা খুলে নিয়েছে। সত্যি ভাগ্য ভালো তাই পেয়েছে।