সুস্থ থাকতে হবে আমাদের
শুভ মধ্যাহ্ন,
"আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল সদস্যদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম-আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ইনশাল্লাহ ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রুচিমাফিক অনিয়মিত জীবনযাপনের ফলে আমরা বিভিন্নভাবে অসুস্থ হয়ে থাকি। আমাদের সুস্থ থাকতে ব্যায়ামের যে গুরুত্ব আজকে সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চলুন শুরু করা যাক......
ইট কংক্রিট, আর বালু পাথরের এই শহর আমাদেরকে এক রকম মানষিক প্রতিবন্দী বানিয়ে ফেলেছে। সেই প্রতিদিনের একই রুটিন, একই খাবারের মেনু চলছে মনে হচ্ছে বেশ।
আসলেও কি আমরা ভালো আছি? ভেবে দেখেন তো, সপ্তাহে কতবার মনের যত্ন নিয়েছেন? সপ্তাহে কতবার আপনার দেহের সুস্থতার জন্য কাজ করেছেন?
সব কাজ এবং কথার মূল ভাব হলো আমাদেরকে ভালো থাকতে হবে, আমাদেরকে সুস্থ থাকতে হবে। কার জন্য ছোটাছুটি? কিসের দায়ে এত পরিশ্রম? একটু গভীর ভাবে ভাবলেই বোঝা যায়, আসলে আমরা যতকিছুই
করি,তার বেশিরভাগ টায় আমাদের ভালো থাকার জন্য ,সুখে থাকার জন্য,এবং কিছু অংশ আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।
পরবর্তী প্রজন্মের কথা বাদ দিলাম, বর্তমান নিয়ে ভাবলে আমি কতটা ভালো আছি, এইটা ফোকাস করা উচিৎ।
Image Source by unplash
একটি মানুষের জীবনে খাওয়া দাওয়া,ঘুম আর টাকা ইনকামের জন্য পরিশ্রমই সবকিছু না। দেহ কে সুস্থ রাখতে হবে।
তার জন্য প্রয়োজন, শরীর চর্চা।
আমরা ইদানিং কেন জানি, নিজের শরীরের দিকে খেয়াল না করে,অন্য কিছু নিয়ে ব্যাস্ত থাকি। অসুস্থ হয়ে গেলে মেডিসিন এর সাহায্য নেই। হয়ে গেলো? আপনি কি জানেন, শরীর চর্চার ফলে একটু মানুষের দেহে
যে পরিমান রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তা মেডিসিনের থেকেও বেশি কার্যকরী। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস আর অলস জীবন যাপনের ফলে একটা মানুষের শরীরে খুব অল্প সময়ে রোগ বালাই বাসা বাধতে পারে।
আমাদের প্রয়োজনীয় টিপস:
প্রতিটি পেশার মূলধন হচ্ছে শ্রম, আপনি যে পেশায় থাকেন নে কেন, আপনাকে শারীরিক কিংবা মানষিকভাবে শ্রম দিতে হবে.so আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে সর্বপ্রথম।
সুস্থ থাকার জন্য, পরিমিত ঘুম,খাদ্যাভ্যাস এবং জৈবিক চাহিদার পূরনের যেসব মাধ্যম তা সহজ করে নিতে হবে। একটা সাধারণ মানুষ এর শরীরে দৈনিক ৬-৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
সারাদিন আমরা পরিশ্রম করি, আমাদের শরীরের সেল এবং পার্টস অনেক ক্লান্ত থাকে। এই সময় প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ঘুমের প্রয়োজন হয়।
আমাদের অভ্যাস করতে হবে রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়ার এবং ভোর সকালে উঠার, কারন মাঝ রাত এই সময়টাতে আমাদের বডি রিকভারি মুডে থাকে। যা অন্য সময় আপনি যতই ঘুমান তা আর সম্ভব না।
দিনের বেলা ঘুমাইলে সর্বোচ্চ ক্লান্তিই দূর হবে,কিন্ত বডির ক্লান্তির যে রিকোভারি, সেইটা আসবে না।
সামনে শীত,এই সময় বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, খুবই সাবধানে থাকতে হবে। আর আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম বা জীম করতে হবে।
সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়ামের গুনাগুন অপরিহার্য। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের সাথে নিয়মিত শরীরচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
পানি (জল) এর গুরুত্বঃ
পানির অপর নাম জীবন,আমরা সবা জানি। আসলে এটি মানি কতজন? একটা মানুষের দেহের ৭০% ই হলো পানি। একজন সাধারন জীবন যাপন করা মানুষের শরীরে দৈনিক পানির প্রয়োজন ২-৩ লিটার।
আবার শারীরিক পরিশ্রমভেদে পানি পান করার পরিমান ভিন্ন হতে পারে। যারা মাঠে ঘাটে রাস্তায় কাজ করে,শরীরের অনেক ঘাম ঝড়ে সেক্ষেত্রে পানি খাওয়ার পরিমান বাড়িয়ে দিতে হবে।
পানি আমাদের শরীরের জন্য এক অপরিহার্য উপাদান। পানি কম পান করার শরীরের বড় আকারে পরিবর্তন চলে আসে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। পানি কম পান করার ফলে বড় রোগ শরীরের বাসা বাধার সম্ভবনা থেকে।
বিশেষ করে কিডনিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদেরকে নিয়ম করে পানি পান করতে হবে। পানি পান করার নিয়মাবলিও জানতে হবে। পানি মানবদেহের জন্য অপরিহার্য উপাদান।
কি কি ব্যায়াম করতে পারিঃ
সাধারন মাঝবয়সী মানুষের ক্ষেত্রে, যদি বাসায় ব্যায়াম করতে চায় তাহলে, প্রতিদিন সকালে পুশ-আপ এবং শরীর গরমের জন্য দাঁড়িয়ে সাইকেলিং করতে পারে।
এছাড়াও, সকালে হাটা শরীরের জন্য অনেক উপকার।
আর যদি সে ব্যায়াম করে শারীরিক গঠন আনতে চায় তাহলে সকালে ওয়ার্ম আপ রেখে, সারাদিন খাবারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ক্যালরী গ্রহন করে রাতে ব্যায়াম করতে পারে। রাতে এই জন্য বললাম কারন,
ব্যায়াম করার পর শরীরের বিশ্রাম দিতে হয়, সেক্ষেত্রে রাতে ব্যায়াম করারা পর ঘুমের অপশন আছে,যার ফলে শরীর দীর্ঘ সময় বিশ্রামে পাবে ,যা শরীর গঠনে খুবই কার্যকরী।
ব্যায়ামের উপকারীতাঃ
.শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
.বাড়তি ক্ষতিকর চর্বি বা মেদ জমতে দেয় না।
.শরীর মন উভয়ই ভালো থাকে।
.রিফ্রেসমেন্ট থাকে প্রতিটি কাজে।
এর বাইরেও অনেক উপকারীতা আছে। শরীরের গঠন এর সাথে নিজের চিন্তাভাবনার উন্নতি অবনতির ও পরিবর্তন আসে।
এ জন্যেই প্রবাদে বলা আছে, তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ওঠা একজন মানুষকে সুস্থ, ধনী এবং জ্ঞানী করে তোলে।
অনেক সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন ভাই।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এই অসুস্থ শহরে সুস্থ থাকা অনেক কঠিন কাজ। মানুষ শুধু টাকা সম্পত্তি সম্মান এসবের পিছনে দৌড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু এসবের বাইরে তার একটা জীবন আছে সে কখনোই তা বুঝতে চায় না। অসুস্থ হওয়ার আগে সে সুস্থ্যতার গুরুত্ব বুঝে না।এজন্য সে তার শরীরের যত্ন নেয় না।অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।অনেক কিছু নতুন ভাবে শিখতে পারলাম।
ধৈর্য নিয়ে আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য এবং গঠনমূলক মন্ত্যব্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলেই আমি ও আপনার কথাগুলোর সাথে একদম একমত। আর নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করা আমাদের সকলের জন্যই খুব বেশি দরকার। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে আমরা এসব কখনোই মানিনা। খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন।
জ্বি আপু, আমরা তো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ক্যালরী গ্রহন করি, আবার যারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালরী গ্রহন করে,তারা নিজের দেহে মেদ লাগিয়ে বসে থাকে, মোটেও পরিশ্রম করতে চায় না। এটা সমীচিন না। গঠনমূলক ও সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
"আমরা ইদানিং কেন জানি, নিজের শরীরের দিকে খেয়াল না করে,অন্য কিছু নিয়ে ব্যাস্ত থাকি। অসুস্থ হয়ে গেলে মেডিসিন এর সাহায্য নেই।" যথার্থ ভাইয়া।দিন দিন তাই আমরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছি৷ আপনার পোস্ট টি সবার জন্য মোটিভেট স্বরুপ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এর জন্য।
জ্বি আপু। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আলোচনা টি খুবি গুরুত্বপূর্ন্। বর্তমান যুগে আমাদের শারীরিক এবং সঠিক খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে সুস্থ থাকাটা জরুরী। বিশেষ করে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ খুবি জরুরী সাথে বিশুদ্ধ পানী পান করা। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
শারীরিক সুস্থতা সত্যিই আল্লাহ তা'আলার অনেক বড় একটি নিয়ামত। শারীরিক সুস্থতা যদি না থাকে তাহলে বাহ্যিক জিনিস পত্র দিয়ে কখনোই আনন্দ লাভ করা যায় না। এজন্য প্রতিদিনই অন্তত কিছুটা সময় নিজের সুস্থতার জন্য, নিজের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত আমাদের সবারই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইইয়া।