ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলো ভারত!
08-03-2025
২৪ ফাল্গুন , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো রহমতের এ মাসে মুসলিম সকলে রোজাগুলো যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করছেন। তো আপনারা যারা খেলাপ্রেমি মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন নিয়মিত! আপনারা হয়তো জানেন যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হয়েছে। আপনাদের সাথে এর আগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। যেখানে ভারতে প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড! আর নিউজিল্যান্ড গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলা শেষ করে। তো প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া। আর আজকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ নিয়েই আলোচনা করবো।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। তো ভারত যেহেতু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে গিয়েছে সেদিক থেকে ভারত অনেকটা এগিয়ে থাকবে। ভারতের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স ও বেশ ভালো যাচ্ছে। আর অস্ট্রেলিয়া সবকটি ম্যাচ অবশ্য জিতেনি। তো যাইহোক, ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ওপেনিং এ নামে ট্রাভিস হেড ও কন্নোলি। কন্নোলি ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচ ছিল। তার খেলাও দেখা হয়নি। তবে ট্রাভিস হেড বরাবরই হার্ড হিটার ব্যাটার। যতক্ষণ মাঠে থাকে ততক্ষণ রান আসবেই। দেখার বিষয় ছিল ভারতের বোলাররা কেমন বোল করে। ভারতের বোলিং একাদশও বেশ স্ট্রং। বুমরাহ ইনজুরিতে থাকার পরেও মোহাম্মদ সামি দারুণ বোলিং করে যাচ্ছে। সেদিক থেকে ভারতকেও পিছিয়ে রাখার উপায় নেই।
শুরুতেই স্ট্রাগল করতে থাকে কন্নোলি। সামির বলে ঠিকঠাক মতো ব্যাটেই লাগাতে পারছিল না। তবে ওভারের শেষের দিকে ব্যাটে লেগে কিপারের হাতে ধরা দিয়ে আউট হয়ে যায় কন্নোলি। তারপর মাঠে আসে স্টিভ স্মিথ। স্টিভ স্মিথ মাঠে আসার পর ট্রাভিস হেড একের পর এক বাউন্ডারি মেরে ভারতের বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে। তবে অস্ট্রেলিয়ার দলীয় সংগ্রহ যখন ৫৪ রান তখন ভারুন চক্রবর্তীর বলে ছক্কা মারতে গিয়ে মিডঅনে শুভমানের গিলের কাছে ধরা পরে। ব্যক্তিগত ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় ট্রাভিস হেডকে। তারপর মাঠে আসে লাভুচাগনে। লাভুচাগনের পারফরর্মেন্স তেমন ভালো যাচ্ছিল না বলতে গেলে। স্টিভ স্মিথকে সাথে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ বিল্ডআপ করার চেষ্টা করে। দলীয় সংগ্রহ যখন ১১০ রান তখন জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ এর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় লাভুচাগনেকে।
তারপর মাঠে আসে ইংলিস! তারপর পারফরর্মেন্স বলতে গেলে ভালোই যাচ্ছে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাকিয়েছিল। ইংলিসকে সাথে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে। ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করে স্টিভ স্মিথ। তারপর তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১৪৪ রান। জস ইংলিস আউট হওয়ার পরে মাঠে নামে এলেক্স ক্যারি! এলেক্স ক্যারিকে সাথে নিয়ে স্মিথ একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার চেষ্টা করে। তবে সেটা ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১৯৮ রান। সামির বলে ডাউন দা ট্র্যাকে মারতে গিয়ে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় স্মিথকে। শুরুতে যেভাবে ব্যাটিং করেছিল অস্ট্রেলিয়া আমি ভেবেছিলাম হয়তো ৩০০+ রান হতে পারে। কিন্তু শেষের দিকের টোটালি ভিন্ন। এদিক দিয়ে ভারতের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।
ওয়ানডেতে আমার মনে হয় না ৩০০ রানও সিকিউর! কারণ এখন সবই টি-টোয়েন্টি স্টাইলেই ব্যাটিং করে থাকে। তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে শুভমান গিল ও রোহিত শর্মা। রোহিত শর্মার ব্যাটিং বরাবরই আমার কাছে ভালো লাগে। কারণ যতক্ষণ মাঠে থাকে ততক্ষণ রান আসতেই থাকে। ইনিংসের শুরুটা ভালোভাবেই করে ভারত। তবে শুভমান গিল দলীয় সংগ্রহ যখন ৩০ রান তখন ইনসাইড এইজে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ভিরাট কোহলি। তো ভিরাট কোহলি কেন যে বিশ্বসেরা সেটা সে বারবার প্রমাণ করেই যাচ্ছে। তো আমি ভেবেছিলাম ভিরাট কোহলি হয়তো রোহিত শর্মাকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করবে। কিন্তু রোহিত শর্মা ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে নামে শ্রেয়াসায়ার। শ্রেয়াসায়ার এর মিডল অর্ডারে নেমে আস্থার জায়গা ধরে রেখেছে। তো ভিরাট কোহলিকে সাথে নিয়ে দারুণ একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। আর সেটাই জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায় ভারতকে।
ভারতের দলীয় সংগ্রহ যখন ১৩৪ রান তখন শ্রেয়াসায়ার আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে এক্সার পাটেল। এক্সার পাটেল নামার পর শুরুর দিকে ভালোই ব্যাটিং করতেছিল। তবে নাথান ইলিসের বলে লম্বা শট খেলতে গিয়ে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। তারপর মাঠে আসে কে এল রাহুল। রাহুল নামার পর ভিরাট কোহলি হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে। তবে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ভিরাট কোহলি আউট হয়ে যায়। ব্যক্তিগত ৮৪ রান করে মাঠ ছাড়ে ভিরাট কোহলি। শেষ অবধি কে এল রাহুল ও হার্ডিক পান্ডিয়ার ব্যাটিং এর সুবাধে জয়টা ছিনিয়ে আনে ভারত। আর এরই মাধ্যমে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ভারত। কাল ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দেখা যাক কার কপালে কাপ যায়।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
ভারত ইতিমধ্যে ফাইনাল টা জিতেও নিয়েছে। বেশ চমৎকার একটা ম্যাচ ছিল সেমিফাইনাল টা। ভারত অনেক টা আধিপত্য বিস্তার করেই ম্যাচটা জিতে নেয়। ব্যাটিং বোলিং দুইটাই বেশ দারুণ করেছিল তারা।