কলকাতা নাইট রাইডার্সের দারুণ জয়

---

🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হলো প্রথম কথা। আপনারা যারা খেলাপ্রেমি মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন নিয়মিত! ফুটবল, ক্রিকেট প্রতিদিনই হচ্ছে বলতে গেলে। তবে মানুষের এখন ধৈর্য শক্তি অনেকটা কমে গেছে। লং টার্মের খেলা মানুষ দেখতে এখন পছন্দ করে না। তার জন্য টি টোয়েন্টি, টি-১০, ফুটবল খেলা এখন জনপ্রিয়তার জায়গা দখল করে নিয়েছে। আপনারা জানেন যে ভারতে আইপিএল চলছে। আর সেটা নিয়ে মানুষের আগ্রহটাও থাকে বেশি। এবারের আইপিএল বলতে গেলে জমে উঠেছে। আজকে চলে আসলাম কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম সানরাইজ হায়দ্রাবাদ এর মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে।

_{screenshot from Star Sports 1 HD}

আইপি এল এর ১৫ তম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। যেখানে কলকাতা আলাদা একটা সাপোর্ট পাবে। ভেন্যুটাও তাদের পরিচিত। তো টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ! ওপেনিং এ নামে সুনিল নারিন ও কুইন্টন ডি কক! সুনিল নারিন কিন্তু আগে শুধু বোলার ছিল। এই আইপিএল এ সে ব্যাটিং হিসেবে বলতে গেলে খ্যাতি লাভ করেছে বেশি । আর আই পি এল এর মতো একটি মঞ্চে ওপেনিং ব্যাটারদের কিন্তু আলাদা একটা ভূমিকা থাকেই। তো কলকাতার শুরুটা ভালো হয়নি। কারণ কলকতার দলীয় সংগ্রহ যখন ১৪ রান তখন ডি কক ব্যক্তিগত ১ রান করেই মাঠ ত্যাগ করে। তারপর মাঠে আসে রাহানে। বর্তমানে কলকাতা টিমের ক্যাপ্টেন। আগেরবার ছিল শ্রেয়াসায়র! রাহানের ব্যাটিং স্টাইল অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগের কয়েকটা ম্যাচ দেখেছি এখন অনেক হার্ড হিটিং ব্যাটিং করে থাকে। আগে দেখতাম স্ট্রোক প্লেয়ার ছিল সে। এখন অনেক উন্নত হয়েছে ব্যাটিং এ।

_{screenshot from Star Sports 1 HD}

রাহানে নামার পর সুনিল নারিন মোহাম্মদ সামির বলে আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে রাগুভানসি! রাগুভানসি এর ব্যাটিং আগে দেখা হয়নি। তবে ঐদিন রাগুভানসি এর ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল বেশ পরিপক্ব একজন ব্যাটার! রাহানে ও রাগুভানসি মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। যেটা ভাঙে কলকাতার দলীয় সংগ্রহ যখন ৯৭ রান। রাহানে ব্যক্তিগত ৩৮ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে আউট হয়। তারপর মাঠে আসে ভেনকাটেশ আয়ার। বাহাতি এ ব্যাটার ভালো ব্যাটিং করে। যতক্ষণ মাঠে থাকে ততক্ষণ রান আসতে থাকে। এদিকে রাগুভানসি ব্যক্তিগত ৫০ রান করে। তারপর আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। তারপর মাঠে আসে রিংকু সিং! রিংকু সিং ফিনিশার হিসেবে বেস্ট বলা যেতে পারে। আবার আন্দ্রে রাসেলও ফিনিশিং ভালো দিয়ে থাকে। ভেনকাটেশ আয়ার ও রিংকু সিং মিলে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। আয়ার হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে! শেষ অবধি কলকাতা ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।

_{screenshot from Star Sports 1 HD}

টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান চেইস করা জেতা একটু ডিফিকাল্ট! কারণ পার ওভার ১০ করে রান রেইট! দেখার বিষয় ছিল সানরাইজেস হায়দ্রাবাদের ব্যাটাররা কেমন ব্যাট করে। শুরুতেই ওপেনিং এ নামে ট্রাভিস হেড ও আবিষেক শর্মা। হেড যথারীতি হার্ড হিটার ওপেনার। যতক্ষণ মাঠে থাকবে ততক্ষণ রান হতে থাকবে। কিন্তু শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ এর। ওভারের শুরুতেই হেড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যায়। তারপর মাঠে আসে ইশান কিশান। কিন্তু দলীয় ৯ রানেই তিনটা উইকেটের পতন ঘটে যায় সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ এর! তো শুরুতে চাপে পরে যায় সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ। তারপর কামিনু মেন্ডিস ও রেড্ডি চেষ্টা করে খেলাটা চালিয়ে যাওয়ার কিন্তু তারা দুজনেই ব্যর্থ হয়। তারপর ক্লেসেন শেষের দিকে এসে চেষ্টা করেছিল কিন্তু ততক্ষণে চাপে পরে যায়। শেষ অবধি সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয় ভাইবাব আরোরাকে।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

PUSS COIN:BUY/SELL

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}