হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সজীবের জীবনের ছোট একটি গল্প শেয়ার করতে এসেছি। সজীব নামের ছেলে অনেক দুষ্টামি ছিল। সে একটুও স্কুলে যেতে চাইত না সব সময় সে এদিক ওদিকে বেরিয়ে বেড়াত। তার পড়াশোনার প্রতি একটুও মনোযোগ ছিল না ।তার বাবা মা যতই জোর করে তাকে স্কুলে পাঠাতো সেই স্কুল ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়াতো ।যখন সে বড় হল তার মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিল এভাবে চলতে থাকলে আমার ছেলে খারাপ হয়ে যাবে। একদিন সে অনেক বিপদে পড়বে ।সেজন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল। সজীব যখন এসএসসি পরীক্ষা দিল তার পরপরই তার বাবা-মা তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিল। দেশের বাইরে না পাঠালে সে অনেক খারাপ হয়ে যেত। কেননা সে তার সংগীতের সঙ্গে মিশতে মিশতে গাজা পর্যন্ত খেতো। সজীবের কর্মকাণ্ড দেখে তার বাবা-মা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিল। অনেক সময় ছেলেমেয়েদের ভালোর জন্য মা-বাবারা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।

Source
সজীব যখন দেশে থাকতো তখন তার বাবা-মার একটা কাজও করে দিত না ।যখন তাকে দেশের বাইরে পাঠানো হলো তখন সে কাজ করতে গিয়ে অনেক কষ্ট পেত। দেশের বাইরে যে সজীব মিস্ত্রির কাজ করতো তখন সে ভাবতো আমি দেশে থেকে যদি পড়াশোনা করতাম তাহলে আজকে আমার বাবা-মা আমার কে দেশের বাইরে এত কষ্টের কাজ করতে পাঠাতো না ।তার বাবা মারা কখনোই চাইতো না যে তার ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠাবে। তার ভালোর জন্যই তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিল। তাকে দেশে রাখলে হয়তো সে একদিন চুরি ডাকাতি করতে শুরু করে দিতো। সেজন্য তাকে দূরে পাঠিয়ে দিল যেন সে তার নিজের ভুল বুঝতে পারে। সারাদিন কাজ করে রাতে তাকে রান্না করে খেতে হতো। তখন সজীবের তার মায়ের কথা মনে পড়তো। তখন সে ভাবতো আমার মা কখনো আমাকে রান্না করতে দিত না ।আমি যা খেতে চাইতাম আমার আম্মু রান্না করে আমাকে খেতে দিত ।আজকে আমি কাজ করে আবার রাতে এসে রান্না করে খাচ্ছি ।দেশে থাকলে হয়তো এটা হতো না। পনেরো দিন কাজ করার পর সজীবের একদিন হঠাৎ শরীর খারাপ করতে শুরু করে দেয়। তার জ্বর আসে জ্বরের কারণে সে রান্না করেও খেতে পারে না। তখন তার আম্মুর কথা মনে পড়ে তখন ভাবে আমি যখন অসুস্থ হতাম তখন আমার আম্মু আমাকে খাবার মুখে তুলে খেতে দিত ।আজকে আমার আপনজন আমার পাশে নেই বলে আমি আজকে না খেয়ে আছি। ।

Source
কিছুদিন পর আল্লাহর রহমতে সজীব সুস্থ হয়ে যায় এবং নিজের ভুল সবকিছুই সে বুঝতে পারে। দেশের বাইরে যে সজীব মিস্ত্রির কাজ করতে করতে একদিন সে এসির কাজ করতে শুরু করে দেয় ।এসির কাজ করতে করতে সে মোটামুটি সব কিছুই শিখে যায়। এখন সে অনেক টাকা ইনকাম করে। সজীব যেই মালিকের কাজ করে সেই মালিক সজীবকে অনেক ভালোবাসতো ।কেননা সজীব দেখতে শুনতে অনেক সুন্দর ছিল ।কিছু কিছু মানুষের মুখের মায়া দেখেও মানুষ তাকে ভালোবাসে। সজীবের মুখে অনেক মা ছিল সেজন্য তার মালিক তাকে অনেক ভালোবাসতো এবং তার বিপদে তাকে সাহায্য করতো । ভালো যে সজীব তার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে ।তার বাবা-মা তাকে দেশের বাইরে না পাঠালে হয়তো সে তার নিজের ভুল বুঝতে পারত না। সে হয়তো গাজা মদ খেয়ে একদিন মস্তানে পরিণত হত। এখন সজীব বিদেশে এসির কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করে। সজীবের নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে সে আজকে দুই তালা ঘর করেছে। সজীব এর মা বাবা তাকে যদি দেশের বাইরে না পাঠাতো তাহলে হয়তো সে নিজে উপার্জন করে দুই তালা ঘর করতে পারত না। সজীবের সফলতা দেখে তার বাবা মাও অনেক খুশি। আপনাদের যদি আমার গল্পটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন আজকে এ পর্যন্তই।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | গল্প |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

