জেনারেল রাইটিং:-) স্বল্প চাওয়ায় মিলে তুষ্টি উচ্চাকাঙ্ক্ষী দেয় বিরহের সৃষ্টি।।
মানুষের চাওয়া পাওয়ার যেন অন্ত নেই। এটা অবশ্য সব মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। কেননা বর্তমান সময়টা হচ্ছে প্রতিযোগিতার সময়। এই সময় সবার মনে চিন্তাধারা থাকে কে কাকে কিভাবে ঠকিয়ে উপরে উঠতে পারবে। মূল লক্ষ্য সবারই থাকে আমার যেন সবকিছু অ্যাভেইলেবল থাকে। যেন কারোর কাছে ছোট হতে না হয়। সবাই যেন আমাকে উচ্চ এবং মর্যাদাশীল অবস্থায় দেখে। সবার মনে চিন্তাধারা থাকে কিভাবে আরো সব কিছু অর্জন করা যায় এবং বড় বড় পাওয়া গুলি অর্জন করা যায়। নিজের চাহিদার মধ্যে কখনোই আমরা সীমাবদ্ধ থাকি না। ওই চাহিদা পূর্ণ হয়ে গেলে পুনরায় নতুন করে উচ্চাকাঙ্ক্ষিতার বাসা বাঁধে আমাদের মনে।
বেশ কিছুদিন যাবত আমাদের এলাকায় আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করতেছি। প্রায় ৪ থেকে ৫ জন মানুষ, যারা কেবলমাত্র অর্থের পিছনে ছুটে চলেছে। কিন্তু তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা এলাকার লোকেদের যে কোন প্রকারের বা যেকোনো ধরনের ক্ষতি করতে দ্বিধাবোধ করে না। আর তাদের বিচারও তেমন একটা হয় না কেননা তারা হচ্ছে প্রভাবশালী মানুষ। তাদের কথাতেই বিচারকার্য পরিচালনা হয়। তাদের যেন চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই।
কিন্তু আমি একটি বিষয় লক্ষ্য করে দেখলাম এই যে এই মানুষগুলি শুধুমাত্র এত চাই আরও চাই বলে উশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করত তারা কিন্তু মোটেও সুখী নয়। তাদের যদিও বা অগণিত অর্থ সম্পদ এবং টাকা পয়সা রয়েছে কিন্তু তারা সুখে শান্তি তে থাকার দিক থেকে মোটেও ভালো অবস্থানে নেই। আমরা সকলেই জানি টাকাই মানুষকে প্রকৃত সুখ দিতে পারে না। কথাটির যথার্থপূর্ণ যুক্তি রয়েছে। কারোর ছেলে সন্তান খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছে নেশা বা অন্যান্য খারাপ পজিশনে। আবার কারোর ডায়াবেটিস সহ আরো বড় বড় ধরনের কঠিন রোগ এ আক্রান্ত। কারো আবার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত ইত্যাদি সব রকমের বাজে নেশার সাথে বা বাজেভাবে এই টাকাওয়ালা লোক গুলো আসক্ত। তারা মোটেও শান্তিতে নেই।
অপরদিকে একজন রিকশাচালক বা ভ্যান চালক যদিও বা দিনে মাত্র চার থেকে পাঁচশ টাকা ইনকাম করে থাকে। কিন্তু তাদের মাঝে অসম্ভব রকমের সুখ নিহিত রয়েছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে এই মানুষগুলি দারুণভাবে জীবন যাপন করে থাকে। কেননা তাদের মধ্যে চাওয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী থাকে না। তারা কেবলমাত্র স্বল্প চাওয়াতেই সন্তুষ্ট এবং স্বল্প পাওয়াতেই পরিতৃপ্তি পেয়ে থাকে। আর এটাই হচ্ছে সুখে থাকার মূল উপায়। যার যত কম চাওয়া থাকবে সে তত বেশি সুখে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
সুতরাং আমিও এটাই বলব বন্ধুরা যে আমাদের উচিত উচ্চাকাঙ্ক্ষীভাবে কোন জিনিস না চেয়ে সেটাকে স্বল্প চাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। তাহলেই সব দিক থেকে শান্তি অনুভব করা যাবে।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করলেন ভাইয়া।আসলে আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে ক্ষমতা দাপট আর উচ্চ আকাঙ্ক্ষা এবং বিলাসিতা করে জীবন পার করে। কিন্তু দেখা যায় তারা সুখে নেই কোন না কোনভাবে অশান্তিতে রয়েছে। আবার দেখা যায় অনেক দিনমজুর বা রিক্সা চালক অল্প আয় করে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুস্থ সুখী জীবন পার করছে।আসলে অল্পতে যদি সন্তুষ্ট থাকে তাহলে কুড়ে ঘরেও সুখ মিলে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
টাকায় কখনো সুখ দেয় না আপু। আসলেই আমাদের স্বল্প চাওয়াতেই মূলত তুষ্টি মিলে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অর্থলোভী মানুষ কখনো সুখী হতে পারেনা। অর্থের লোভে পড়ে জীবনের সুখ শান্তি সবকিছু ত্যাগ করে অর্থের পিছনে ছুটতে থাকে । যেটা তাদের মধ্যে এমন ভাবে ঢুকে যায় তাদের কাছে মনে হয় অর্থই পৃথিবীতে সব কিছু। যেমনটা এলাকার ক্ষতি সাধন করে তারা এভাবে ছুটে চলেছে। এইরকম লোক সমাজে অনেক রয়েছে।
আসলেই ভাই অর্থলোভী মানুষ কখনো সুখী হতে পারেনা তারা সর্বদা অশান্তির কবলেই অবস্থান করে। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য করে অনেক বেশি খুশি হলাম ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে উচ্চাকাঙ্খার লোকগুলো কখনো প্রকৃত সুখী হতে পারেনা। কারণ তাদের চাহিদার কোন শেষ থাকে না। অপরদিকে দিনমজুর কিংবা রিক্সাওয়ালা তাদের চাহিদা কম থাকা তারা স্বল্পতেই সন্তুষ্ট থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
যাদের চাওয়া অনেক বেশি তারা অধিক সময় অশান্তিতে ভোগে কিন্তু যারা অল্প চাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং সন্তুষ্ট থাকে তারাই প্রথম ফিলাপ করে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।