ভাইয়ের প্রতি বোনের যত্ন এবং ভালোবাসার গল্প।||10% beneficiaries @shy-fox. ||

সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই যে, যেখানে যে অবস্থাতেই আছেন, ভালো আছেন সুস্থ আছেন। প্রতিদিনের ন্যায় আবারও চলে আসলাম, আপনাদের সাথে আমার নতুন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য। পৃথিবীতে দুইটি সম্পর্ক সবচেয়ে সুন্দর মিষ্টি এবং হাসিখুশি হয় সেটা হলো ভাই এবং বোনের সম্পর্ক। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার এবং আমার বোনের কিছু দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্কের কথা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। চলুন গল্পটা শুরু করি-

---

---

আমি এবং আমার বোন

---

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ। আবার পরক্ষণেই ভাবনা হয়, এতে কষ্ট আমার জীবনে কিভাবে এলো। এতোটা ভাবনা আর চিন্তার গরমিলের মাঝেও কোথাও যেন একটু সুখ, শান্তি এবং আনন্দ লুকিয়ে থাকে। আমাদের অনেকেরই হয়ত ভাই আছে, বোন আছে বা কারুর দুজনেই আছে। ভাই এবং বোন থাকাটা একটা ভালো বিষয়। কেনো না আপনে যদি পরিবারের ছোট সন্তান হন, এবং আপনার যদি কোনো বড় বোন বা ভাই থাকে তাহলে আপনার আদর ভালোবাসাটা সব সময় একটু বেশি হয়। আমরা দুই ভাই এক বোন। আমি সবার ছোট আর ভাই বড় এবং বোন আমার বড়। তাদের দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। আমি এখন পরিবারে সবচেয়ে আদরের। তবে পড়াশুনার জন্য বেশির ভাগ সময়ই আমি বাইরে কাটায়। তবে আমার জন্য একটা সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো, আমি কুষ্টিয়া শহরের যেখানে ম্যাচে থাকি, তার ঠিক কিছুটা দূরে আমার বোনের বাসা। মানে সেখানে আমার বোনের বিয়ে হয়েছে।

---

আমার যখনই ম্যাচে খাবার রান্না হয় না তখনই আমি আমার বোনের বাসায় চলে যায়। আর আমার বোনও শুনলেই অনেক সময় দুলা ভাইকে দিয়ে খাবার দিয়ে পাঠায়। আমি এখন ম্যাচে থাকি। কিন্তু ম্যাচে আমি বাদে এখন আর কেউ নাই। আমি একাই থাকি ম্যাচে। তো আমি রান্না করে খাবার মতো উপায় নাই। তাই বোনের বাসা থেকেই খাবার এনে খেতে হয়। তবে আমার এবারের ম্যাচটা একটু দূরে হওয়ায় দিনে একবার খাবার আনতে হয়। আমি প্রতিদিন যোহরের নামাজের পর ১ টার দিকে খাবার আনতে যায়। কারণ আমার বোন একটা কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। যখন দুপুরে তার এক ঘন্টার জন্য দুপুরের বিরতি দেন। তখন তিনি বাসায় এসে শুধু মাত্র আমার জন্য শত কষ্ট হলেও খাবার রান্না করেন। এক ঘন্টার মধ্যে আমার খাবার রেডি করে দিয়ে নিজে খেয়ে রেডি হয়ে আমার ২টার সময় তার কাজে চলে যান। এরই মাঝে যেদিন আমার যেতে দেরি হয় তখন আমার কাছে ফোন দেন।বলে-

---

বোন: কি রে আজকে খাবার নিতে কখন আসবিনি। আমার কাজে যেতে হবে।
আমি: এই তো আপা চলে আসতেছি। কয়েক মিনিট লাগবে।
বোন: তারা তারি আই।

---

এভাবেই ম্যাচে আসার পর থেকে প্রতিটা দিন দুপুরে আমার বোন আমার খাবারটা রেডি করে দেন। তবে ম্যাচে মিল চললে আর এতোটা কষ্ট আমার বোনকে করতে হবে না। আমূর বোনের এই প্রতিদান কখনও হয়ত শোধ করতে পারব না। এজনই যাদের বোন থাকে তারা হলেন সুখি মানুষ। এটা আমি মনে করি। তবে আমার বোন আমাকে নিয়ে সব সময় চিন্তা করে। আমি যেহেতু একা থাকি, সে জন্য সব সময় আমার কাছে ফোন দিয়ে জিগায়, কি করছি, কেমন আছিস।যদিও আমি ম্যাচে থাকি, কিন্তু যেন মনে হয় বাসার খাবার খাচ্ছি।

---

বোনের বাড়ী থেকে আনা খাবার
Device : Itel Vision 1.
w3w link

---

এভাবেই আমার বোন সব সময় আমার খেয়াল রাখেন। এটাই হলো আমার প্রতি আমার বোনের ভালোবাসা। যদি আমার বোন না থাকতো, তাহলে হয়ত বোন যে কি জিনিস, তা হয়ত জানতে পারতাম না। মায়ের পরেই বোন সবয়েচে বেশি ভাইকে ভালোবাসে। শুধু যে ভালোবাসা আর আদরই আছে তা কিন্তু নয়। এরই মাঝে আছে রাগ অভিমান। এমন কি কোনো কোনো সময় আমরা দুই ভাই বোন একটা জিনিস নিয়ে মারামারি পর্যন্ত করি। তবে সেটা যখন আমাদের বাড়ীতে থাকি তখন। এখানে এসব করি না। আসলে সেটাও হলো ভালোবাসার টানে হয়।

---

আমি অনেক ধন্য যে, আমার এমন একটা বোন পেয়েছি। আশা করি আপনাদের যাদের বড় বোন আছে তারাও হয়ত আপনার জন্য এতোটায় ভাবে এবং ভালোবাসে। পৃথিবীর সকল বোনদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা। তবে বড় ভাইয়েরাও কিন্তু অনেক দায়িত্ববান হয়ে থাকেন। কিন্তু হয়ত তাদের কাজের ব্যস্ততার মাঝে ওতোটা সবার সাথে সময়টা কাটানো হয়ে ওঠে না।

---

আমার বোন এবং আমাকে নিয়ে কিছু কথা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি সবার কাছে ভালো লেগেছে। আশা করি আপনারাও আপনার বোনের ভালোবাসার সঠিক মর্যাদাটুকু দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর ভাই এবং বোনের মাঝের সম্পর্কটাকে অটুট রাখবেন।

---

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের ভাই বোনের গল্পটা পড়ার জন্য এবং আপনাদের মূল্যবান মতামতটা জানানোর জন্য।