বোনের কাছ থেকে গিফট পাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
বোনের কাছ থেকে গিফট পাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গিফট পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে। গিফট পেতে সবার অনেক ভালো লাগে। আর সেই গিফট যদি প্রিয় কোন মানুষের কাছ থেকে পাওয়া যায় তাহলে তো কথায় নেই। আসলে পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে যার ভালোবাসার কোন তুলনা হয় না। সত্যি বোনের প্রতি বোনের ভালোবাসা অনেক। পৃথিবীতে যার বোন নেই সেই বুঝে বোন কাকে বলে। আজ আমার বড় মেয়ের জন্মদিন ছিল তার আর একটা বড় বোন আছে,মানে তার মেজ চাচার বড় মেয়ে।
বোনটির গত এক বছর ধরে বিয়ে হয়ে গিয়েছে।আসলে মেয়েরা যতই আপন হোক না কেন তারা শশুড় বাড়িতে গেলে অনেক সময় আপন জনের কথা ভুলে যায়। ভুলে যায় বলতে চাইলেও সব সময় সব কিছু করতে পারে না। যাইহোক বোনের জন্য বোন একটা গিফট পাঠিয়েছে। আসলে এক সপ্তাহ আগে একটা কেক পছন্দ করে দিয়েছে মিমি তার বড় বোনকে।যদিও বোন কাছে থাকে না আবার জন্মদিন ও আসতে পারবে না। তবে মিমি বলে দিয়েছে যেভাবেই হোক তার জন্মদিনে তার বোনকে আসতেই হবে।
বোন বলে কথা তারপর তার বোন এসে হাজির হল জন্মদিন এর কয়েক দিন আগে। আসার পর থেকে মিমি শুধু দিন গুনছে কবে তার জন্মদিন আসবে।গুনতে গুনতে সেই প্রহর শেষ হয়ে আসলো।আজ তার জন্মদিন ছিল। যদিও আমি তাকে একটা কেক এনে দিয়েছি কিন্তু সে তার বোনের দেওয়া কেক কাটবে।আসলে আপনজনের কাছ থেকে প্রিয় কোন জিনিস পেলে তার তুলনা হয় না।সত্যি বলতে বাচ্চাদের জন্মদিনে আপনি যা কিছু দেন না কেন তারা তাতে তেমন খুশি হবে না।কিন্তু আপনি যদি একটা কেক দেন তাহলে বাচ্চারা অনেক খুশি হবে।আমার মনে হয় সব বাচ্চাদের অন্য কিছুর থেকে কেক বেশি পছন্দ।
তারপর সকালে যখন কেক এনে দিয়েছি তখন থেকে কেক কাটার জন্য সে অস্হির। এদিকে সব কিছু ফেলে সে কেক নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে কখন সে কেক কাটবে।যাইহোক তারপর সে চলে গেল বান্ধবীদের বাড়িতে তাদের ডেকে আনার জন্য। আসলে তখন আমার রান্না শেষ হয়নি।তাই আমি বললাম পরে ডেকে আন।এদিকে বান্ধবীদের ডেকে এনে কেক কাটা হয়ে গিয়েছে। তবে আমার আরো লোকজন আসার বাকি ছিল। তারপর কেউ খাওয়া দাওয়া করেনি।তখন আমি সে রাগ করেছিলাম সবাই খাওয়া দাওয়ার পরে কেক কাটবো।কিন্তু সে বলেছে এটা আমার গিফটের কেক তাই আমি আগেই কেটে ফেলেছি।আর তোমারটা পরে সবার সাথে কাটবো।সত্যি কেউ ভালোবেসে কিছু দিলে তার কদর সব সময় অন্য রকম থাকে। জন্মদিনের বাকি পর্ব গুলো আপনাদের সাথে আস্তে আস্তে শেয়ার করবো।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1850186948083904770?t=tN5uCmxSAHKtaus-UTXG7g&s=19
বেশি ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে সন্তানদের জন্মদিনের বিষয়টা সবার কাছে ভালোলাগার। আর সে জায়গায় শুধু নিজে না নিজের ভাই বোনরাও আনন্দে থাকে বাবুদের জন্মদিন পালন করার জন্য। যাইহোক অনেক সুন্দর একটি উপহার দিয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ কেকটি দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। বোনের কাছ থেকে এত সুন্দর একটি কেক পাওয়া মানে অনেক ভালো লাগে। সেই কেক দিয়ে মেয়ের জন্মদিন পালন করলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপু বিস্তারিত বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু ছোট বড় সবাই গিফট ফেলে খুব খুশি হয়। আপনার মেয়ের জন্মদিনে দেখতেছি তার বড় বোনের গিফট দিয়েছে। তবে জন্মদিনে গিফটগুলো খুব স্পেশাল হয়। আর ছোট বাচ্চারা জন্মদিন পালন করলে তারা বেশি খুশি হয়। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া বাচ্চারা কেক পেলে অনেক খুশি হয়, ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু বোন অনেক আপনজন। বোনের মত আপন আসলে কেউ নেই। বোনের প্রতি বোনের ভালোবাসাটা সবসময় অতুলনীয়। আপু আপনার মেয়ের জন্মদিন ছিল জেনে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।