স্মৃতিচারণ: শৈশব কালে বৃষ্টিতে গোসল করার স্মৃতিচারণ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ১৬ ই জুন ২০২৪ ইং
শৈশব কালে বৃষ্টির পানিতে গোসল করার স্মৃতি কম বেশি সকলেরই রয়েছে। আসলে শৈশব কালের প্রতিটি দিনই বর্তমান স্মৃতি হয়ে রয়েছে।আর এই স্মৃতি গুলো কখনো ভোলার মতো নয়, আজীবন মনের মধ্যে থেকে যাবে এই স্মৃতি গুলো। তবে বৃষ্টিতে গোসল করার স্মৃতি মনে হয় সকালের জীবনেই রয়েছে।আর এই বৃষ্টির পানিতে গোসল করার স্মৃতি বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আজকে আমি স্মৃতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।শৈশব জীবনের দিনগুলি ছিল দুরন্তপনা, দুষ্টুমি আর সারাদিন ছোটাছুটি করে দৌড়ে বেড়ানোর এক অন্যতম মুহূর্ত।
আসলে শৈশব কাল ছিল আমাদের জন্য একটি মধুময় সময়। আমরা চাইলে ও এই সময় কে ভুলে থাকতে পারবো না। একদিন বৈশাখ মাসে হঠাৎ করে অনেক জোরে বৃষ্টি হয়।আর সেই সময় আমরা আমাদের গ্ৰামের বেশ কয়েকজন মানুষ এক জায়গার মধ্যে বসে গল্প করছিলাম। এরপর আমরা সকলেই বৃষ্টিতে গোসল করার জন্য একটি মাঠের মধ্যে দৌড়ে যাই। বেশ কিছুক্ষণ আমরা দৌড়াদৌড়ি করে মাঠের মধ্যে গোসল করছিলাম। একবার হঠাৎ করে খুব জোরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো, তখন আমরা সকলেই দৌড় দিয়ে বাসার দিকে চলে গিয়েছিলাম।
এরপর আমরা আমাদের গ্ৰামের একজন মানুষের বারান্দায় গিয়ে বসে পড়লাম। কেননা আমরা ছোটবেলায় বিদ্যুৎ চমকানো কে অনেক ভয় পেতাম। বেশ কিছুক্ষণ এর বিদ্যুৎ চমকানো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আমরা আবার মাঠের মধ্যে দৌড়ে গিয়েছিলাম। মাঠের মধ্যে গিয়ে দেখতে পারলাম মাঠের মধ্যে প্রায় হাটু পরিমাণ পানি জমাট বেঁধেছে। এদিকে বৃষ্টি চলছে আর আমরা সকলেই হাঁটু পরিমান পানির মধ্যে বিভিন্ন ভাবে গোসল করছিলাম। আবার বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে খুব জোরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো। আবার আমরা সকলেই দৌড় দিয়ে এই বারান্দায় চলে যাই।
আবার আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় বসে থাকলাম। বেশ কিছুক্ষণ সময় বসে থাকার পর আবার বিদ্যুত চমকানো কিছু টা বন্ধ হয়ে যায়। আবার আমরা সকলেই সেই মাঠের দিকে দৌড়ে চলে যাই। আবার আমরা মাঠের মধ্যে গিয়ে দেখতে পারলাম মাঠের মধ্যে প্রায় কোমর পরিমাণ পানি জমাট বেঁধেছে। এখন আমরা সকলেই খুবই সুন্দর ভাবে গোসল করছিলাম। আমাদের গোসল করা দেখতে পেরে আমাদের গ্ৰামের বেশ কয়েকটি ছেলে আমাদের মাঝে গোসল করার জন্য চলে আসে। এরপর আমরা একটি ফুটবল নিয়ে এসে পানিতে সাঁতার কাটছিলাম। ফুটবল নিয়ে আসার পর আমাদের আরো অনেক বেশি মজা হয়।
দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে গোসল করার পর আমাদের সকলের চোখ একদম লাল হয়ে যায়। এরপর আমরা ভাবলাম আজকে আর গোসল করবো না। এরপর আমরা সেখানে থেকে উঠে বাসায় চলে আসি। বাসায় আসার পর আমাদের প্রত্যেকের বাবা মা আমাদের কে ধরে অনেক মারধোর করে। কেননা দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করার পর চোখ লাল হয়ে যায়, এটা দেখে আমার বাবা মা অনেক রাগ হয়ে যায়। এরপর আমি বাসা থেকে পালিয়ে যাই মাইরের ভয়ে। আমার মা আমাকে চারদিক খোঁজাখুঁজি করতে বের হয়েছিল।আর আমি সৈই সুযোগে বাসায় প্রবেশ করে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে, ঘরের মধ্যে সুয়ে পড়ি। এরপর আমরা মা আমাকে এরকম দেখে পরে আর কিছু বলেনি।
এটাই ছিল ছোট বেলায় বৃষ্টিতে গোসল করার স্মৃতি
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মানুষের স্মরণীয় অতীতগুলো কখনোই ভুলতে পারে না। শৈশবের অনেক অতীত আছে যেগুলো কখনোই ভোলা সম্ভব না এমনকি সব বয়সে এসেই আপনার মনে জাগবে যদি আবার শৈশবে ফিরে যেতে পারতাম।
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া সত্যি ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভেজা যে কি আনন্দের তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।ঠিক বলেছেন বিদুৎ চমকালে প্রচন্ড ভয় লাগতো।আপনারা বিদুৎ চকমকানোর কারণে বারান্দায় গিয়ে বসেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ বৃষ্টিতে ভেজার স্মৃতিচারণ করে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ছোটবেলায় আমারও বৃষ্টিতে ভেজা হয়েছে বেশ কয়েকবার। এখনো বৃষ্টিতে ভেজা হয় তবে ইচ্ছাকৃতভাবে না। আর শৈশবে বৃষ্টিতে ভিজতে বাইরে বের হলেই পার হয়ে যেতে অনেক অনেক সময়। আর তখন বাড়িতেও বেশ ভয়ে ভয়ে ঢোকা হতো কারণ আম্মু জানতে পারলেই মার নয়তো বকা খেতে হতো। আর এর জন্য আগে আগেই ভালো ছেলে হওয়ার বাহানা করতে হতো। যাইহোক আপনার বৃষ্টিতে ভেজার স্মৃতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বৃষ্টির দিনে শৈশবের দিনগুলো খুবই মধুর হয়। বৃষ্টিতে আমরা অনেক ভিজেছি ছোটকালে সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। আপনি যখন আজকে আপনার সেই ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করলেন সত্যি ভাইয়া আমারও মনে পড়ে গেলো। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকালে অনেক ভয় পেতাম। আপনারা সবাই মিলে গোসল করলেন বৃষ্টিতে অনেক ভালো লাগলো সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন।