অনেক দিন আগে যমুনা ফিউচার পার্কে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি অনেক আগের ঘোরাফেরার কিছু সুন্দর মুহূর্ত । ফোন ঘাটলে আসলে অনেক কিছুই চোখের সামনে ভেসে উঠে । অনেকদিন আগে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েছিলাম সেখানে অনেক ছবি তোলা হয়েছিল কিন্তু সেই ছবি আর দেওয়াই হয়নি ওভাবেই ফোনে রয়ে গিয়েছে । ইদানিং ফোনটা খুব হ্যাং হয়ে যাচ্ছে তাই এক এক করে প্রত্যেকটা ছবি ডিলিট করতে হচ্ছে । ফোনের ছবি যতই ডিলিট করি না কেন ফোনের গ্যালারি আর ফাঁকা হচ্ছে না । আর যতই ফোন ঘাঁটাঘাটি করছি ততই পুরনো দিনের অনেক কিছুই ভেসে আসছে । এর ভিতর থেকে এই ছবিগুলো পেয়ে গেলাম খুঁজতে খুঁজতে । এটা যে অনেক আগের ছবি সেটা আমাদের বাচ্চাকাচ্চার চেহারা দেখেই আপনারা বুঝতে পারছেন ।বাচ্চাকাচ্চারা ওই সময় কতটা ছোট ছিল এখন দেখতে দেখতে আল্লাহর রহমতে অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে । এগুলো ছোটবেলার স্মৃতি দেখলেই ভালো লাগে । যমুনা ফিউচার পার্ক অনেক বড় জায়গা এবং খোলামেলা ওখানে গিয়ে বাচ্চারা খুব খুশি হয় এবং ঘোরাফেরা করতে অনেক পছন্দ করে । প্রথমে আমরা তানিয়ার বাসায় চলে গিয়েছিলাম সেখানে দু তিন দিন ছিলাম এর ভিতর একদিন সবাই মিলে বের হয়েছিলাম যমুনায় যাওয়ার জন্য । তানিয়ার বাসা থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক কাছে এজন্য ঘোরাফেরার জন্যই মূলত যাওয়া হয়েছিল । কেনাকাটার তেমন ইচ্ছা ছিল না তারপরও সেখানে গিয়ে টুকিটাকি বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছুই কেনা হয়েছিল খাওয়া-দাওয়া হয়েছিল এবং বাচ্চারা অনেক মজা করে ছবিও তুলে ছিল সেগুলো আপনারা ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন ।
এখানে দেখা যাচ্ছে খেলাধুলার এক পর্যায়ে বাচ্চারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল এবং এই জায়গাটাতে বসার একটা ব্যবস্থা ছিল যার কারণে ওরা একটা বসার সিট পেয়ে সবাই সেটাতে বসার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল । ওরা সেখানে গিয়ে বেশ মজাই পাচ্ছিল এবং অনেক মজা করছিল । পাশাপাশি আরও দুটো বাচ্চা দেখলাম ওদেরকে দেখে ওদের সাথে যোগ হলো । বাচ্চারা এমনই কোথাও কারো দেখলে ওরা একসাথে খেলায় মেতে ওঠে পরিচিত হোক আর না হোক । সবগুলো বাচ্চাকে দেখেই মনে হচ্ছে ওরা আমাদেরই নিজের বাচ্চা কিন্তু এখানে দুটো বাচ্চা ছিল অন্যদের আমাদের সাথে মিলে গিয়েছে । দেখতে ভালো লাগছিল মুহূর্তটা সাথে সাথে ছবিটা তুলে নিয়েছিলাম ।
তারপর ঘোরাফেরা ও শপিং কেনাকাটা করতে করতে যখন একেবারে টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিলাম তখন আমরা খাওয়া-দাওয়ার জন্য চলে গিয়েছিলাম । শপিং করতে যাব আর খাওয়া-দাওয়া হবে না সেটা কি হয় নাকি । খাওয়ার ছবিগুলো যদিও এখন খুঁজে পেলাম না তবে অনেক ভালো খাওয়া দাওয়া হয়েছিল সেটা মনে আছে । আর বাচ্চাদের পছন্দের চিকেন ফ্রাই তো থাকবেই আর চিকেন ফ্রাই শুধু ওরা কেন এটা আমরা বড়াও খেতে খুব পছন্দ করি । যার কারণে চিকেন ফ্রাই ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তো আমাদের কমন খাবার সেটা তো থাকতেই হবে । খাওয়া-দাওয়া কেনাকাটা সবই হয়েছে এবং আনন্দ হয়েছে অনেক ।
সবকিছুর মাঝে আবার দেখতে পাচ্ছেন ছেলেরা খেলাধুলা করছে দৌড়াদৌড়ি করছে কতটা মজা করছে সেটা ছবির মধ্যেই ফুটে উঠছে এবং বিভিন্ন পোজে সবার সাথে ছবিও তুলছে । ছবিগুলো দেখে সেই দিনের প্রত্যেকটা মুহূর্তর কথা মনে পড়ে গেল । আসলে পুরনো দিনের ছবিগুলো দেখে মুহূর্তটা মনে পড়ে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেটাই ভালো লাগে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy

যমুনা ফিউচার পার্কে ঘোরাঘুরি করার দারুন কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছেন আপু। যদিও কখনো এইখানে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে আপনার ঘুরাঘুরির দারুন কিছু মুহূর্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বাচ্চারা ভীষণ খুশি। তারা খুবই মজা করেছে এবং খুবই আনন্দিত হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু বাচ্চারা সেদিন অনেক মজা করেছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা ঠিক কথা বলেছেন আপু। আসলে আমার নিজের ফোনেও প্রচুর পুরোনো ফটো রয়েছে, যেগুলোর কারণে ফোন হ্যাং করে। যাইহোক, কিছু কিছু ফটোগ্রাফি তো দেখলাম তবে খাবার দাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলে হয়তো একটু বেশি ভালো লাগতো। হা হা হা... দারুন লাগলো আপু, আপনার পোস্ট টি পড়ে।
খাবারগুলো খাওয়ার সময় তুলেছিলাম কিন্তু পরে যে ছবিগুলো কোথায় হারিয়ে গেল খুঁজেই পেলাম না ।
মাঝে মাঝে ফোনের গ্যালারি ঘাটলে অনেক পুরনো ফটোগ্রাফি পাওয়া যায়। আর বাচ্চারা সবাই মিলে এক জায়গায় গেলে বেশ আনন্দ করে যা দেখতেও ভালো লাগে। আপনারা বেশ মজা করেছিলেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারছি ।ভালো লাগলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।