ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা এক আনন্দময় দিন।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

ঈদ মানেই নতুন পোশাক, হাসি-আনন্দ, আর পরিবারের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্ত। কিছু দিন আগে আম্মু সহ পুরো পরিবারের জন্য কেনাকাটা করেছিলাম। সেই সময় সবার কেনাকাটা হলেও আমারটা করা হয়নি, কারণ ভেবেছিলাম পরে করবো।অবশেষে যেদিন নিজের জন্য কেনাকাটায় বের হলাম, সেদিনের অভিজ্ঞতা ছিল একদম অন্যরকম! পুরোটা সময় আমার ছোট ভাই সঙ্গে ছিল। কখনো উত্তেজনা, কখনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব কোন পোশাক নেবো, কোনটা ছেড়ে দেবো, এসব নিয়ে মজার এক অভিজ্ঞতা হলো।

শুরুটা ছোট ভাইয়ের পছন্দ দিয়ে ,প্রথমেই আমরা গেলাম ছোট ভাইয়ের জন্য শার্ট-প্যান্ট কেনার দোকানে। দোকানের সারি সারি পোশাকের মধ্যে কোনটি তার জন্য পারফেক্ট হবে, তা নিয়ে চলল বিশাল গবেষণা । দোকানদার একের পর এক পোশাক বের করছেন, আর আমরা ভাবছি কোনটা নেওয়া যায়। অবশেষে এক সেট পছন্দ হলো, দাম পরিশোধ করেই বেরিয়ে পড়লাম।

এরপর ব্যাগ আর কসমেটিকসের আকর্ষণ এরপর আমার কেনাকাটার পালা। আমি আমার জন্য প্রথমেই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে কসমেটিকসের দোকানে গেলাম। কিছু দরকারি প্রসাধনী নেওয়ার পর হঠাৎ মনে হলো, একটি ভালো মানের ব্যাগও দরকার! দোকানমদারকে অনুরোধ করতেই তিনি দারুণ সব ব্যাগ বের করে দিলেন। হাত দিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখা, কিছুক্ষণ ভাবা, এরপর পছন্দের একটি ব্যাগ নিয়ে নিলাম।

তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে তখন মনে পড়ল ঈদের জন্য একটি সুন্দর থ্রি-পিস দরকার। তাই গেলাম একটি ভালো থ্রি-পিসের দোকানে। দোকানদার আমাদের সামনে একের পর এক ডিজাইনের পিস সাজিয়ে দিলেন। রঙ-বেরঙের কাপড় দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। সবকিছুর মধ্যে একটি জর্জেটের থ্রি-পিস একেবারে মনে ধরল। এক মুহূর্ত দেরি না করে সেটিই নিয়ে নিলাম।

শেষ মুহূর্তের জুতার খোঁজ এবার পা চালানোর পালা! কারণ জুতা ছাড়া পুরো লুকটাই যেন অসম্পূর্ণ। ছোট ভাইয়ের পছন্দের জুতা বাছতে কিছুটা সময় লাগল, আর আমিও নিজের জন্য একটি স্টাইলিশ জুতা বেছে নিলাম। দুঃখের বিষয়ে জুতার দোকানে ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গিয়েছিল।যাই হোক ঈদের সাজগোজ এবার সম্পূর্ণ! এরপর রিকশায় বাসায় ফেরা, সাথে এক ঝুলি আনন্দ সব কেনাকাটা শেষ করে হাতে ব্যাগ ভর্তি পোশাক, প্রসাধনী আর জুতা নিয়ে রিকশায় চড়ে বাসার পথে রওনা দিলাম। মনে হচ্ছিল, শুধু জিনিসপত্রই কিনলাম না, একগুচ্ছ আনন্দের মুহূর্তও সংগ্রহ করলাম।

ঈদ মানেই উৎসব, আনন্দ, আর নতুন পোশাকের সাজসজ্জা।ঈদের দিন নতুন পোশাকে সেজে ওঠার সেই আনন্দ সত্যিই অন্যরকম। এবারের ঈদের কেনাকাটা আমার জন্য একটু ভিন্ন ছিল, কারণ ছোট ভাইয়ের সাথেই কাটল পুরো সময়টা। কেনাকাটার এই যাত্রা কখনো ছিল উত্তেজনাপূর্ণ, কখনো বা একটু ঝামেলার, কিন্তু শেষমেশ আনন্দদায়ক।এবারের কেনাকাটা ছিল এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।