মহা শিবযাত্রি .....!!🔱🔱
আজ ২৭শে, ফাল্গুন |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।

এইতো গত ৮ ই মার্চ হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বীয়দের মহা শিব যাত্রী উৎসব পালিত হলো । আসলে আমাদের হিন্দু সনাতন ধর্মের প্রতি মাসেই একটি করে পূজো লেগে থাকে । যাহোক প্রতিবছর এই ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে মহা শিবরাত্রি উৎসব উদযাপন পালিত হয়ে থাকে। মূলত এই উৎসব পালন করার মূল কারপুরাণ অনুসারে এই শিবযাত্রি তে শিব পার্বতী দুজনের মিলন মেলা অর্থাৎ বিয়ে হয়। আর যার জন্য এই দিনটি হিন্দু সনাতন ধর্মের মধ্যে এক উৎসব উদযাপন করার দিন ।
আর এই দিনে প্রতিটি হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বী মানুষ ব্রত উপবাস রেখে শিবের মাথায় জল ঢালে। আমাদের হিন্দু ধর্মালম্বীদের এই দিনে ব্রত রেখে তার মাথায় দুধ ঢালবে বা জল ঢালবে তার মনের আশা পূর্ণতা পাবে এমনটাই বিশ্বাস করে থাকে।
তো পুজোর দিন আমিও মন্দিরে গিয়েছিলাম কিন্তু যাওয়াটা ছিল প্রায় বিকেলের শেষ মুহূর্তে। তাইতো মানুষের খুব একটা সমাগম কিংবা ভিড় দেখতে পায় নি। একদম ফাঁকা মন্দির ছিল আর আমি সেদিন ব্রত থাকতে চেয়েও পারেনি। কারণ ওইদিন আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছিল। আর যার জন্যই সেই দিনটি খুব একটা ভালো কাটাতে পারেনি। তবে বিকেলে শেষ মুহূর্তে ভাবলাম যে মন্দিরে গিয়ে ঘুরে আসা যাক। আমার বাড়ি থেকে মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটারের মতো হবে । আসলে আমাদের এই অত্র এলাকার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় মন্দির যেখানে প্রায় অনেক দূর দূরের ভক্ত বা হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বীরা পূজা করতে আসে।
আমি প্রথমত মন্দির প্রবেশ করি প্রণামি দিয়ে একটু মন ভরে সেই সাথে মনের কিছু অব্যক্ত আশা বা পূর্ণতা যেন হয়। এমনটাই বাবা শিব ভোলানাথের কাছে প্রার্থনা করলাম ।এরপর তার পাশে রয়েছে নারায়ণ ঠাকুর যিনি এই জীবের দ্বারে হরিনাম নিয়ে এসেছেন ।এই কলিযুগে একমাত্র মুক্তির বা উদ্ধারের সহজ পথ এই হরিনাম কীর্তন ।
অনেকে বলে থাকি বল শিব ধ্বংসের কিন্তু প্রকৃত অর্থে সেটা সম্পূর্ণটাই ভুল। তিনি তখনই ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়ে থাকে যখন এই পৃথিবীতে অন্যায়ের বা পাপের বোঝা সব থেকে বেশি হয়ে থাকে। তখনই তিনি ধ্বংসের পথ বেছে নেয় । তবে ন্যায়ের প্রতি সর্বদাই প্রতিষ্ঠিত এক কথায় আমাদের হিন্দু সনাতন মতে এই পৃথিবীর ত্রিদেবের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত। যেখানে ব্রহ্মা-বিষ্ণু- শিব কেউ সৃষ্টির প্রতীক ।কেউ পালনের প্রতীক আবার কেউ ধ্বংসের প্রতীক। অর্থাৎ সৃষ্টি করে আমাদের পালন করে আবার আমাদেরই পাপ খয়ের বা পাপের বিনাশ করাতে ধ্বংসের সৃষ্টি হয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে।
যাহোক সবমিলিয়ে সেদিন ব্রত পালন না করে ও বিকেল বেলা মন্দিরের দর্শন করতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান এবং কি অনেক সুন্দর বা ভালো লেগেছে । তবে মনে মনে প্রার্থনা কামনা করেছি যেন পরের বছর বেশ আনন্দের সহিত এই দিনটি ব্রত পালন করি মহা শিবরাত্রি দিনে যেন শিবের মাথায় দুধ ঢালতে পারে ।
মন্দির দর্শন করেই প্রণামী করে তারপর মেলার উদ্দেশ্যে ঘোরাঘুরি ৷ আর ঘোরাঘুরি পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে আবারো নতুন ব্লগে নিয়ে হাজির হবো ।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
গ্রাম বাংলার এই মহা শিবরাত্রি দিনে মেলার বিভিন্ন আলোকচিত্র বা দৃশ্যপটে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। সেই আশায় আপনাদের কে রেখেই আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1767180250172268629?t=NslhxI8a8Ui0x0itJxy4CA&s=19
শিবরাত্রি নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প পড়েছি। শিব রাত্রির গল্পটি অসাধারণ। আপনি যেহেতু ডাক্তারের কাছে গেলেন ব্রত থাকতে পারেননি। কিন্তু মন্দিরের খালি জায়গা পেয়ে বেশ ভালোই হলো আপনার জন্য। ভালোভাবে আপনি পূজা দিতে পারলেন। অনেক ভালো লেগেছে মহা শিবরাত্রির মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হুমমম দিদি ডাক্তার কাছে যাওয়ার জন্য উপস থেকে পুজো করতে পারি নি ৷ যা হোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দিয়েছেন ৷