সিলেট ভ্রমণ: সিলেটের বিখ্যাত সাত রঙের চা খাওয়ার অনুভূতি ( চতুর্দশ পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ০২ ই মার্চ ২০২৫ ইং
আসলে সিলেট জেলা মানেই চায়ের জেলা। আবার অনেকেই সিলেট বিভাগ কে চায়ের দেশ বলে থাকে। আসলে সিলেটে প্রায় সব ধরনের চা পাওয়া যায়।আর বাংলাদেশের মধ্যে সব থেকে বেশি চা চাষ করা হয় সিলেটে। সিলেট শুধু মাত্র চায়ের জন্য বিখ্যাত নয়। সিলেট জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে বিখ্যাত। বাংলাদেশের একেকটি জেলা একেকটি জিনিসের জন্য বিখ্যাত। ঠিক অনুরুপ ভাবে আমাদের সকলের প্রিয় সিলেট জেলা চা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। সিলেটের সৌন্দর্য বাকি সব জেলার মানুষ কে হার মানায়। আসলে যারা সিলেটের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত কোন দিন সিলেটে ঘুরতে যাননি তারা অবশ্যই সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আসলে সাত রঙের চা, এটি সিলেটে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার কাছে ছিল একটি নতুন নাম এবং নতুন অনুভূতি।আমি সিলেট যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কোন দিন সাত রঙের চা খাইনি এবং নাম ও শুনিনি। যাইহোক, যখন সিলেটের মধ্যে ঘুরতে গেলাম তখন সিলেটের অলিতে গলিতে বিভিন্ন ধরনের চায়ের দোকান দেখছিলাম, তার সাথে ছিল সিলেটের বিখ্যাত সাত রঙের চায়ের দোকান। আসলে আমরা যারা একসাথে সিলেট গিয়েছিলাম তারা কেউই সাত রঙের চা খাইনি আগে।তাই আমরা সকলেই ভাবলাম যে সিলেটের সাত রঙের চা টি টেস্ট করে দেখা যায়। এতে করে আমাদের নতুন একটি অভিজ্ঞতা হবে। যেহেতু আমরা দিনের বেলা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছিলাম, তাই দিনের বেলা আমাদের চা খাওয়ার সুযোগ হয়নি।
যাইহোক, আমরা দ্বিতীয় দিন ভাবলাম যে সিলেটের বিখ্যাত সাত রঙের চা টি টেস্ট করবো।আর আমরা দ্বিতীয় দিন একটু তাড়াতাড়ি ঘোরাঘুরি করে হোটেলে ফিরেছিলাম। এরপর হোটেলে এসে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম সিলেটের বিখ্যাত সাত রঙের চা খাওয়ার জন্য। আসলে, আমাদের হোটেল থেকে চা রঙের চায়ের দোকান ছিল কিছু টা দূরে। আমরা একটি লেগুনা ভাড়া করে গিয়েছিলাম সাত রঙের চা এর দোকানে। আসলে এই চা এর দোকান টি সিলেট শহরের পাশেই অবস্থিত।এটি সিলেটের তামাবিল নামক এলাকায় অবস্থিত। চায়ের দোকানের নাম ছিল রেড কন্ঠ রুপশি টি কেবিন। আমরা ক্যাফের মধ্যে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করে দেখতে পারলাম সেখানে বেশ কয়েকটি প্রজাতির চা পাওয়া যায়।
আমরা সেখানে প্রবেশ করে সাত রঙের চা অর্ডার দিয়ে দিলাম। তারা আমাদের থেকে পনের মিনিট সময় নিয়েছিল। আসলে এই সাত রঙের চা টি তৈরি করতে একটু সময় লেগে যায়।তাই আমরা সকলেই ক্যাফের কেবিনে বসে সাত রঙের চা এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের নিকট আমাদের অর্ডার কৃত চা টি চলে আসে।আমি সর্বপ্রথম অধিক আগ্রহের সাথে একটি চায়ের কাপ নিয়ে টেস করে দেখলাম।প্রথম ফ্লেভার টি খেতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে একজন লোক আমাদের কাছে এসে আমাদের কাছে থেকে রিভিউ নিয়েছেন। আমরা সুন্দর করে একটি ভিডিও রিভিউ দিয়েছিলাম।
আসলে এই সাত রঙের চা এর প্রতিটি ফ্লেভার ছিল অন্যরকম। অন্যান্য সব ধরনের চায়ের মতোই ছিল এই চা টি। শুধু মাত্র কয়েকটি আলাদা আলাদা ফ্লেভার যুক্ত ছিল।আর এই ফ্লেভার গুলোর কারণে এই চায়ের জনপ্রিয়তা এতো বেশি। তবে, আমার কাছে গ্লাসের একদম প্রথমের ফ্লেভার টি একটু বেশি ভালো লেগেছিল। পরের ছয়টি ফ্লেভার খুব একটা বেশি ভালো লাগেনি আমার। চায়ের মূল্য ছিল সত্তর টাকা।দামে খুব একটা বেশি নয়। সাতটি ফ্লেভারের জন্য মূলত সত্তর টাকা মূল্য হতে পারে। যাইহোক, সব মিলিয়ে সেদিন আমরা এক নতুন চা খেতে পেরেছি। আবার এই চা থেকে আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://x.com/Riyadx2P/status/1896077189772362043?t=CSBB-hwWlyv4Ht0uIDDiyw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সিলেটে ভ্রমণ করতে গিয়ে সাত রঙের চা খেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আমরাও গত বছর সিলেটে ভ্রমন করে সাত রঙের চা খেয়েছিলাম। সাত রঙের চায়ের টেস্ট যেমনি লাগুক না কেন এটা একটা অভিজ্ঞতা। আমার কাছে যে খুব একটা ভালো লেগেছিল সেটা বলবো না তবে নতুন নতুন কিছু ফ্লেভার পেয়েছিলাম চায়ের ভিতর। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সিলেট দুইবার গেলাম, সাত রং এর চা খাওয়া হলো না। কিছু দিন পরে সিলেট যাওয়ার ইচ্ছে আছে। তখন সাত রং এর চা অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।
সিলেট আমার কখনো যাওয়া হয়নি তবে অনেকের কাছেই এই চায়ের কথা শুনেছিলাম। সাত টা ভিন্ন ফ্লেভারের এই চা দেখতে বেশ লোভনীয় ছিল। তবে আমি অনেকের কাছে শুনেছি এটা দেখতেই ভালো লাগে তবে খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। তবে আপনি খুব সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন। একটা ভিডিও তেও রিভিউ দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের চতুর্দশ পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনি সিলেটে গিয়ে সাত রঙের চা খেয়েছেন। আর প্রথম ফ্লেভারটা ছাড়া অন্যান্য ফ্লেভারগুলো আপনার কাছে তেমন ভালো লাগেনি। তবে আমি মনে করি সিলেট ভ্রমন করা একটি অন্যতম জায়গা। যেখানে গিয়ে সাত রংয়ের চাওয়া পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনি যে সাত রঙের চায়ের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে। তবে এখনো সাত রঙের চা টেস্ট করে দেখিনি। আপনার ব্লগ পড়ে সাত রঙের চায়ের অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে যে আপনি যে প্রথম ফ্লেভারটা খেয়েছেন, সেটা হইতে পারে কফির ফ্লেভার। তাই আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ব্লগটি পরে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সাত রঙের চা সত্যিই এক অনন্য অভিজ্ঞতা! সিলেট ভ্রমণের স্মৃতির পাতায় এটি যেন এক রঙিন অধ্যায় হয়ে থাকে। আমি নিজেও চেখে দেখেছিলাম, স্বাদের দিক থেকে মিশ্র অনুভূতি হলেও, ভিন্ন ভিন্ন স্তরের স্বাদ আবিষ্কার করার মজাই আলাদা! আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও শুনে ভালো লাগলো। এমন অসাধারণ পোস্ট আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।