একুশে বইমেলায় হাফিজ উল্লাহ ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ||~~✍️
একুশে বইমেলায় হাফিজ উল্লাহ ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ||~~✍️
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি।আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলেই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।♥♥
বন্ধুরা,আজ আমি আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের অন্যতম এডমিন আমাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন এবং অতি প্রিয় রসিক মানুষ। হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সাথে একুশে বইমেলায় কাটানো কিছুক্ষণ সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি। বন্ধুরা গতকাল ছিল ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সকাল বেলা প্রেসক্লাবে আমার একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেই প্রোগ্রাম শেষ হতে হতে প্রায় তিনটা বেজে গিয়েছিল।
হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সাথে আগে থেকেই কথা ছিল যে একুশে বইমেলায় আমার সাথে দেখা করে আমার হাতে হাতে অবারিত নীল বইটি গ্রহণ করবেন। নীলফামারী সাহিত্য ও সাংস্কৃতির একাডেমির এটি তৃতীয় প্রকাশনা।প্রথম প্রকাশনাটি ছিল কাব্যকলি। কাব্যকলি এবং অবারিত নীল দুটোতেই আমাদের শ্রদ্ধেয় হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের লেখা কবিতা স্থান পেয়েছে। প্রকাশকের হাত থেকে লেখক কবি গ্রহণ করার মজার আলাদা একটি স্বাদ রয়েছে।যাইহোক গতকাল তিনটার পর ভাইয়া সিয়াম কে ফোন দিয়ে বলেছিলেন যে উনি মেলায় এসেছে।পরে আমি হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ৭৩৬ নম্বর স্টল হ্যাভেন চিল্ড্রেন এর সামনে দেখা করি। এবং সেখানেই হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের হাতে দুটি বই আমরা তুলে দেই আমি এবং শান্তিপদ দাদাসহ।একটি হচ্ছে সাথীর শত কবিতা এবং আরেকটি হচ্ছে অবারিত্ নীল। বইটি হাতে পাওয়ার পর হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের মনে অন্যরকম একটি উচ্ছ্বাস কাজ করছিল যেটা আমি উপলব্ধি করেছি।
স্টলের সামনেই আমরা বেশ কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে কথা বলার পর, কফি হাউজের দিকে রওনা দিলাম। কফি খেতে খেতে আড্ডা দেওয়ার জন্য। অবশেষে কিছুক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে আমরা কফি হাউজে এসে পৌছালাম।সেখানে এত বেশি ভিড়,যে আমরা বসার মত তেমন কোনো ছিট পাচ্ছিলাম না। যাইহোক এদিক সেদিক দেখে দেখে হাফিজুল্লাহ ভাই কয়েকটি টুল সামনে নিয়ে আসলো, এবং আমরা সবাই মিলে সেই টুলগুলোতে বসলাম।হাফিজুল্লাহ ভাই কফি অর্ডার করলেন।এবং নিজ হাতে সবাইকে পরিবেশন করলেন। ঠিক সেই সময়টা তো মনে হচ্ছিল আমরা অনেক আপন।অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিল আমার মনের ভেতর। আমার সাথে ছিলেন শান্তিপদ দাদা এবং শিপু।আর হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সাথে ছিলেন আরও দুটি ভাইয়া। সবাই মিলে কফি খেতে খেতে বই সংক্রান্ত অনেক আলোচনা হলো সেই সাথে আমার বাংলা ব্লক নিয়েও অনেক কথা হল। কথা বলতে বলতে একটা সময় কবিতার ভিতরে প্রবেশ করে গিয়েছিলাম।আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ কষ্টই হচ্ছিল।কিন্তু এটাও সত্য যে সময় এবং স্রোত কারো জন্যই অপেক্ষা করে না।দেখতে দেখতে প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। আর তাই এবার ওঠার পালা এবং আপাতত বিদায়ের পালা।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের প্রিয় বন্ধুরা আজ আপনাদেরকে একটি আগাম সুখবর দিতে চাই। অমর একুশে বইমেলা ২০২৫শে আমাদের সকলের প্রিয় এডমিন হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের কাব্যগ্রন্থ পাওয়া যাবে। তাই সবাই এখন থেকে প্রিপারেশন নিন ভাইয়ের বইটি সংগ্রহে রাখার জন্য। আরে হ্যাঁ, ওবারই তো নীল বইটিতে আমাদের সকলের অতি প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার @rme দাদার লেখা নাবিকের চিঠি কবিতাটি বইটিকে সমাদৃত করেছে। আপনারা চাইলে বইটি সকলেই সংগ্রহে রাখতে পারেন। বইটি পাওয়া যাচ্ছে ৭৩৬ নম্বরে স্টলে।এবং অনলাইনে পেতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন। 01912777705।
হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সাথে কাটানো কিছুক্ষণ দারুন কেটেছে।সুন্দর স্বপ্নময় কাব্যিক একটি বিকেল।কফি হাউজে বসে মজার মজার আলাপন মনের মনিকোঠায় স্মৃতি সম্ভারে যোগ হয়ে থাকল।প্রাণের বইমেলা ২০২৪শে। বন্ধুরা আপনারা সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। ইনশাল্লাহ আপনাদের সাথে কোন না কোন ভাবে কোথাও দেখা হবে কোন একদিন। এই প্রত্যাশায় আজকের মত টা টা,,,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
কমিউনিটি : **আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আমাদের শ্রদ্ধেয় হাফিজ দাদা এবং আপনাকে একসাথে দেখে বেশি ভালো লাগলো আপু। আপনারা হাফিজ দার হাতে বই তুলে দিলেন, সেটা দেখেও খুশি হলাম। তারপর আবার আমাদের হাফিজ দা নিজের হাতে সবাইকে কফি দিল, এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার কিন্তু। তবে আমাদের বড় দাদার লেখা "নাবিকের চিঠি" কবিতাটি পড়ার জন্য সত্যিই অনেক বেশি উৎসুক হলাম আপু।
দাদা সহ সবার কবিতা গুলো পড়ার জন্য বইটি আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে কষ্ট করে যদি বইটি সংগ্রহ করতেন তাহলে আর দাদার কবিতা পড়ার জন্য উৎসুক মনে হতো না।
আপু, এই বই কি কলকাতায়ও পাওয়া যাচ্ছে?
না
তাহলে তো আপু আমরা চাইলেও পড়তে পারব না। 😔
পারবেন
তাহলে কি করে পারবো আপু? উপায় টা যদি একটু বলে দিতেন ।
এমনি এমনি বলব না টাকা লাগবে-?
হা হা হ্,,,
হাফিজুল্লাহ ভাই আর আপনি বেশ আনন্দঘন মুহুর্ত কাটিয়েছেন একুশের বইমেলায়। সেই আনন্দ মুহুর্তের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার লিখিত বই হাফিজুল্লাহ ভাই, আপনার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন যেনে ভালো লাগলো। ২০২৫ এর বইমেলায় হাফজুল্লাহ ভাইয়ের বই আসবে,অনেক আনন্দের খবর। আপনাদের দুজনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
এখন থেকে প্রস্তুত হয়ে যান 2025 সালে ইনশাআল্লাহ হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের বই আসবে একুশে বইমেলায়। সংগ্রহে রাখবেন প্রত্যাশা রাখছি।
সত্যি বলতে আপু আজকের দিনের সেরা পোস্টটি পড়লাম আপনার। আপনার এ পোষ্টটি পড়ে আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে এবং আমিও অত্যন্ত উচ্ছাসিত। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো আমাদের রোমান্টিক হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের চেহারাটা দেখতে পেরে। একুশে বইমেলায় আমাদের রোমান্টিক হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সাথে আপনার সময়টুকু নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের সাথে কেটেছিল।
বেশ মজা পেলাম আমার জন্য হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের চেহারাটা দেখতে পেয়েছেন।তবে সত্যি সত্যি হাফিজুল্লাহ ভাই অনেক মাই ডিয়ার পারসন।
আরে বাহ! আমার বাংলা ব্লগ এর দুজন প্রিয় মানুষকে একই পোস্টে দেখতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। হাফিজুল্লাহ ভাই সরাসরি আপনার হাত থেকে অবারিত নীল বইটি সংগ্রহ করার উপলক্ষে একসাথে বেশ দারুণ সময় আপনারা সকলে মিলে উপভোগ করলেন। বিষয়টি দেখে বেশ ভালো লাগলো।
সত্যিই কাল বিকেলটা ছিল অন্যরকম ভালো লাগার একটি মুহূর্ত যা মনে থাকবে আজীবন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার লেখাটা পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আমার বাংলা ব্লগ সত্যি আমাদের একটি পরিবার। যার মাধ্যমে আমরা সবাই কতটা আপন হয়েছি ।যাদের সঙ্গে কোনদিন দেখা হয়নি তাদের সঙ্গে দেখা হয়েও কতটা ভালো লাগা কাজ করে। সত্যি ভীষণ আনন্দের ব্যাপার ।আপনার হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে আর ভাইয়া আপনার হাত থেকে বই গ্রহণ করেছেন ব্যাপারটা সত্যিই ভীষণ আনন্দদায়ক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের দারুন কিছু মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। ব্যাপারটা আমরাও জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
আসলে নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি অ্যাকডেমির আয়োজনে কাব্যকলি বইটি তো হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের লেখা ছিল তখনও নিজের হাতে হাফিজুল্লাহ ভাইয়াকে বই দিয়েছিলাম।বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে।তারমানে হাফিজ উল্লাহ ভাইয়ের সাথে আমার দুই দুইবার সাক্ষাৎ হলো।আর বই সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষাৎ হওয়া টা ছিল অনেক বেশি আনন্দের।
সত্যি হাফিজ উল্লাহ ভাই অনেক রসিক মানুষ। আপনাদের কাটানো মূহুর্ত দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু আমার বাংলা ব্লগের সকলে মনে হয় আমাদের অনেক আপন। সত্যি আপনাদের কফি খাওয়ার আড্ডা দেখে বেশ ভালই লাগলো।ধন্যবাদ আপু হাফিজ উল্লাহ ভাইয়ের সাথে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
একদম ঠিক বলেছেন হাফিজুল্লাহ ভাই আসলেই অনেক রসিক মানুষ।সেই সাথে এখনো অনেক বেশি উদ্যমি।মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
হাফিজুল্লাহ ভাইয়াকে অগ্রিম অভিনন্দন ❣️
আপু ভাইয়া আপনার হাতে বই পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে দাদার লেখা এবং ভাইয়া লেখা বই এ আছে জানতে পেরে ভীষণ খুশি হলাম। সবার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন আপু।
এটা একদম ঠিক বলেছেন। গতকাল হাফিজুল্লাহ ভাই বই পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। তবে বইগুলো আপনি নিজে ও সংগ্রহে রাখতে পারেন এতে করে আমরা সবাই অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হব।যখন আপনার মাধ্যমে বইটি রিভিউ পোস্ট দেখতে পাবো তখন অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করবে।অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা অবিরাম।
আমি তো বিরাট বড় একটি সুযোগ মিস করে ফেললাম। আমি ২৩ ফেব্রুয়ারিতে না গিয়ে যদি ২৪ ফেব্রুয়ারিতে যেতাম, তাহলে তো আপনাদের সাথে দেখা করতে পারতাম। যাইহোক আমাদের হাফিজ উল্লাহ ভাই নিঃসন্দেহে একজন মজার মানুষ। সেটা উনার পোস্ট পড়লেই বুঝা যায়। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। হাফিজ উল্লাহ ভাই চমৎকার কবিতা লিখেন। আশা করি পরবর্তী বছর বইমেলায় গিয়ে উনার কাব্যগ্রন্থ সংগ্রহ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক যে আপনি আগে থেকে একটু যোগাযোগ করলে হয়তো সেদিন দেখা হতে পারতো।।আমি বিশ্বাস করি নিশ্চয়ই আপনার সাথে আমাদের কোন না কোন একদিন দেখা হবে আবারো আমরা সবাই মিলে আড্ডা দেবো।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা সব সময়।
দুইজন প্রিয় মানুষকে একসাথে দেখে অনেক ভালো লাগলো। কাব্যকলি এবং অবারিত নীল বইয়ের নাম গুলো যেমন সুন্দর তেমনি নিশ্চয়ই কবিতা গুলো দারুন ছিল। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে।
এটা একদম ঠিক বলেছেন কাব্য কলি এবং অবারিত নীল নাম গুলো আসলেই চমৎকার।
আর এই বই দুটিতে যাদের লেখাগুলো স্থান পেয়েছে সব লেখা গুলোই জাস্ট অসাধারণ।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো আমার বাংলা ব্লগের এডমিন আর ভেরিফাই মেম্বার কে দেখে।আপনার দুইটি বই বের হয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু দুজনকে একসাথে দেখে আপনার মহামূল্যবান অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য।