বাংলাদেশ স্কাউটস মার্কেটে একদিন।।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আর সব সময় সবার জন্য সেই কামনাই করি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ স্কাউটস মার্কেটে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আশা করি যারা স্কুল কলেজে পড়েছেন, সবাই স্কাউটস সম্পর্কে অবগত আছেন। স্কাউটস বিষয়টা আমাদের বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই পরিচিত একটি বিষয়। আজকে সেই স্কাউট নিয়েই আমার আলোচনা। গত সপ্তাহে আমি তিন দিন ছুটি নিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেছিলাম। এ বিষয়ে আপনাদের সাথে একটি অনুভূতিমূলক ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। গত পোস্টে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম যে আমি যাত্রাবাড়ী থেকে কমলাপুর যাওয়ার পথে আরেকটি জায়গায় একটি বিশেষ কাজে গিয়েছিলাম। সেটা হলো এই স্কাউট ভবন বা স্কাউটস মার্কেট।
আমার এক ভাগ্নি আমাকে বলেছিল তাকে কিছু স্কাউসটের জিনিসপত্র কিনে দিতে। আমি যেন জিনিষ গুলো কিনে কুরিয়ারের মাধ্যমে সিলেট পাঠিয়ে দেয়। কারণ সে সিলেট থাকে, তাদের বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজারে। কি কি জিনিস কিনতে হবে সে আমাকে একটি টুকেন লিখে দিয়েছিল। আমি কখনো সেই স্কাউট মার্কেটে যায়নি। তবে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় কলেজ থেকে স্কাউটের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সেখানে স্কাউটের যাবতীয় জিনিসপত্র কলেজ থেকেই আমাদেরকে সরবরাহ করেছিল। যার ফলে আমাদের কোন কিছু কেনার প্রয়োজন হয়নি। যারা স্কাউট করেছেন, তারা বিষয়টি জানেন। সেখানে অনেক আনন্দ হয়। আমার ভাগ্নির খুব শখ তার নিজের কিছু জিনিসপত্র লাগবে। ভাগ্নি আমাকে যে যে জিনিসগুলো আনতে বলেছিল সেই টোকেন এর ফটোগ্রাফিটি আমি নিচে শেয়ার করলাম।
স্কাউট ভবন বা মার্কেটের লোকেশন আমি জানতাম না। আমরা সবাই জানি যে আমাদের সবসময়ের একজন সাহায্যকারী রয়েছে আর তিনি হলো গুগল মামা। আমি গুগল মামাকে জিজ্ঞেস করলাম স্কাউট মার্কেট কোথায়। সে আমাকে জানিয়ে দিল যে স্কাউট মার্কেট হলো ঢাকার কাকরাইলে। তবে আমি গিয়েছিলাম কমলাপুর দিয়ে নয়া পল্টনের পাশেই। সব থেকে সহজ ভাবে যদি বলি তাহলে সেটা হলো, নয়া পল্টনে বিএনপি'র কেন্দ্রিয় কার্যলয় থেকে তিন চার মিনিট হাঁটলেই হাতের বাম পাশেই স্কাউট মার্কেট অবস্থিত।
আমি যাত্রাবাড়ী থেকে যত সময়ে স্কাউট মার্কেটে পৌঁছে গেলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমি সেখানে গিয়ে জানতে পারি স্কাউট মার্কেট শুক্র ও শনিবার সহ সকল সরকারি বন্ধের দিন মার্কেট বন্ধ থাকে। তবে আমি গুগলে সার্চ করে দেখেছিলাম শুক্রবারে সে মার্কেট খোলা। সেখানে গিয়ে মার্কেট বন্ধ দেখে বুঝতে পারলাম আমার দেখায় ভুল ছিল। গুগল মামার ভুল নাকি আমার নিজের ভুল সেটা বুঝতে পারি নাই। তবে আমি মনে করি যেহেতু আমি মানুষ আমারই ভুল হয়েছে। যেহেতো মার্কেট বন্ধ আর কি করবো। ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ফেরত আসলাম।
উপরে যে বড় ভবনটির ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হল বাংলাদেশ স্কাউটের মূল ভবন আর এটিই হল হেড অফিস। এই ভবনটির পিছনেই অবস্থিত স্কাউট মার্কেট। আমি সেখানে গিয়ে দায়িত্ব রত সিকিউরিটি গার্ডের মাধ্যমে সব তথ্য জানতে পারলাম। আমি যে সেখানে গিয়েছি সিকিউরিটি গার্ড এর সাথে একটি সেলফি নিয়ে ভাগ্নির কাছে সেন্ড করলাম। ভাগ্নীকে খুবই দুঃখের সাথে জানালাম যে মার্কেট বন্ধ থাকায় আমি তার জন্য স্কাউটের জিনিসপত্র গুলো কিনতে পারছি না। তারপর সেও আমার সাথে দুঃখে দুঃখিত হয়ে বললো,ঠিক আছে, সে নিজেই রবিবারে সিলেট থেকে এসে জিনিসপত্রগুলো কিনে নিয়ে যাবে। তারপর গত রবিবারে তার কাকা বিদেশ থকে দেশে এসেছিল। তিনিকে বিমান বন্দরে রিসিপ করতে এসে তার যাবতীয় জিনিষ গুলো কিনে নিয়ে গেছে।
তারপর আমি ঘুরে ঘুরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। উপরে যে একজন ব্যাক্তির ছবি দেখতে পাচ্ছেন তিনি হলেন স্কাউটের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল। তিনি ১ আগস্ট, ১৯০৭ সালে স্কাউটস প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে অনেক প্রকারের বই রয়েছে। আপনারা যদি স্কাউট মার্কেটে যান তাহলে বন্ধের দিন গুলো দেখে যাবেন।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাজে লাগবে। আবার আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | বাংলাদেশ স্কাউটস মার্কেটে একদিন।। |
স্থান | কাকরাইল,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৮ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হায়রে কপাল গুগল মামা কে না জিজ্ঞেস করে তো ভাবিকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন। গেলেন তো ভাবির বাসার উপর দিয়েই। মাঝে মাঝে মুরব্বীদের কে দাম দিতে হয়। যাই হোক আপনার আজকের গল্পটি পড়ে মনে মনে হাসলাম কতক্ষণ। তবে স্কাউটের প্রতি আমারও ছেলেবেলা হতে দুর্বলতা ছিল। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে জিঙ্গেস না করে কি ভুলটা করলাম। পরের বার থেকে সব কিছু জিঙ্গেস করে করবো।
এই জায়গাটার নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। তবে আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জায়গাটা সম্পর্কে অনেক ধারণা পেলাম। আর আপনার উপস্থিতির বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। যাই হোক খুবই ভালো লাগলো বাংলাদেশ স্কাউট সেন্টারে বিস্তারিত তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।
জী ভাইয়া স্টুডেন্টদের কাছে জায়গাটা খুবই পরিচিত। ধন্যবাদ।