আমাদের বাড়িতে সরস্বতী পুজো //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।গতকাল আমি আপনাদের আমাদের বাড়ির পূজার ডেকোরেশন এর কিছু ছবি ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বাড়ির পূজোর মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেবো।
বসন্ত পঞ্চমী হিন্দুদের কাছে একটি পবিত্র উৎসব। শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজো করা হয়ে থাকে।প্রত্যেক ঘরে ঘরেই এই পুজো হয়ে থাকে। এই বিশেষ দিনে ছোটো থেকে বড় সকলেই মায়ের কাছে অঞ্জলি দেয়।যদিও তাদের মধ্যে পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশি।
পুজোর আগের দিন অত রাতে ঘর সাজিয়ে ঘুমানোর পর সকাল ৭টার মধ্যে উঠে গেলাম।সরস্বতী পুজো বলে কথা, এ তো আমাদেরই পুজো।ঘর পরিষ্কার করে,পূজোর ফল কেটে,ফুল দিয়ে সাজিয়ে তারপর বসলাম। আর পড়ার বইগুলো মায়ের কাছে রেখে দিলাম।এই একটা দিন যেদিন কোনো পড়াশোনা করার ব্যাপার থাকে না।যখন ছোটো ছিলাম তখন খুব মজা হতো এটা ভেবে যে এই দিনটা কোনো বই পড়তে নেই🤭। এখন হয়তো সেরকম মনে হয় না কিন্তু ভাবলে বেশ ভালই লাগে।
আমাদের বাড়িতে অনেক ছোটো ছোটো বাচ্চা অঞ্জলি দেয়।আমার ভাই-বোনের বন্ধু বান্ধবীরাও আসে তারা ও আমাদের সাথে অঞ্জলি দেয়।খুব মজা হয়,এইভাবে একসাথে সবাই মিলে অঞ্জলি দেওয়ার আনন্দই আলাদা।
এবার আসল কথা হলো ঠাকুরমশাই আসা নিয়ে।পুজো বলে কথা এই সময়ে ঠাকুরমশাই এর চাপ সবচেয়ে বেশি। আমাদের বাড়িতে পুজো করার কথা ছিল সকাল ৯টার সময় আর ঠাকুরমশাই এসেছে বেলা 12:30 টা। এবাড়ি থেকে বেরোলে আরেক বাড়ি থেকে ডাকে। কি আর করা যাবে। তাই একটু দেরী করেই অঞ্জলি দিলাম।যেহেতু আমার পুজো দিয়ে কলেজে যাওয়ার কথা ছিল।সেখানেও যেতে অনেক দেরি হয়ে গেল।১২:৩০মিনিটে যখন ঠাকুরমশাই এলো তখন ভালো করে অঞ্জলি দিলাম।
সবশেষে মজার একটা ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আমাদের যখন অঞ্জলি দেওয়া শেষ হয়ে যায় তখন দোয়াতের কলমগুলো আমাদের মাথায় তুলতে বলা হয়।আমাদের ছোটবেলায় বলা হতো এই কলম মাথায় যতক্ষণ থাকবে তত নাকি বিদ্যে থাকবে। এই বারই হল আসল মজা।মাথা নিচু করে আমাদের কলম তোলার সময় চার লাইনের মন্ত্র বলতে হয়।ঠিক তখনই যে যত জোরে পারে মাথাতে কলমটা চেপে রাখে। এবার যখন মাথাগুলো তুলতে বলা হয় তখনই দেখা হয় কার মাথায় কলম উঠেছে, কলম নামানোর পর দেখা যায় সবার কপালে পুরো দাগ হয়ে যায় কলমের।এই ব্যাপারটা খুব ভালো লাগে আমার।
যাইহোক পুজো খুব ভালোমতো শেষ হয়ে গেল। আমরা সবাই ফল প্রসাদ একসাথে খেয়ে নিলাম।
আমাদের বাড়িতে পুজোর দিন অনেক লোকের নেমন্তন্ন ছিল।তাই সকাল থেকেই রান্নার অনেক আয়োজন হচ্ছিল।কিন্তু দুপুর দেড় টার মধ্যে সব রেডি হয়ে যায়। আমিও তাই তাড়াতাড়ি খেয়ে বেরিয়ে গেলাম কলেজে।
এই সকল রান্না সেদিন হয়েছিল।
সরস্বতী পূজা সকালটা এত সুন্দর ভাবেই কেটে ছিল। এরপর আমি বেরিয়েছিলাম একটু কলেজে আর অন্যান্য ঠাকুর দেখার জন্য। তার ছবি আপনাদের সাথে পরে ভাগ করে নেবো ।
ধন্যবাদ
দিদি এর আগের পোস্টে বলেছি মায়ের আসন এর ব্যাকগ্রাউন্ড টা দুর্দান্ত হয়েছে। আজকে আবারও সেটাই বলছি, পেছনের ওই ব্যাকগ্রাউন্ড এবং মায়ের মুখখানা এত চমৎকার লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না। আর সবকিছু মিলিয়ে মিষ্টি একটা আয়োজন ছিল। তোমাকে দেখতেও খুব মিষ্টি লাগছিলো 🥰।
হিহিহিহি 🤭🤭। তোমার কথাগুলো শুনে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাহ আপনার বাড়িতে পুজোর বেশ সুন্দর পরিবেশনা। মূর্তিটা ও বেশ ঠিকঠাক আর ফুলগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে। পরিবারের সবাই এক ফটো ফ্রেমে বন্দী দেখে ভালই লাগছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে একটি মন্তব্যের জন্য।
পুজোর উৎসবকে ঘিরে খুবই সুন্দর করে কিছু মুহূর্ত আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন আপনি আপু। প্রতিটি ছবি এবং সেই সাথে প্রতিটি ডেকোরেশন খুবই ভালো লেগেছে আমার। নতুন এই উৎসব আপনাদের জীবনে নতুন কিছু মুহূর্ত বয়ে আনুক এই কামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য।