সাফারি পার্ক ভিডিওগ্রাফি( পার্ট-৩ )!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি। পৃথিবী টা বড়ই অদ্ভুত লাগে এখন আর তার চেয়েও বড় অদ্ভুত লাগে পৃথিবীর এই মানুষ গুলোকে। আমরা যারা ছোটবেলা থেকে গ্রামে বড় হয়েছি কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে শহরে আছি বা গ্রামের বাইরে আছে তারা একটা বিষয় খুব ভালোভাবে জানব। সেটা হলো নিজের গ্রাম নিজের এলাকার প্রতি একটা গভীর টান। এই টান সবারই থাকে কমবেশি। ছোটবেলা থেকেই গাছপালা সবুজ প্রকৃতি নিরিবিলি পরিবেশ আমার ভালো লাগত। তবে এখন আমি যেখানে থাকে এটা তার সম্পূর্ণ পরিবেশ। এখানে ধুলাবালি ইট পাথর কংক্রিট। সারাদিন অসংখ্য মানুষের পদচারণা। আমরা হয়তো যা চাই সৃষ্টিকর্তা তার থেকে বিপরীত কিছু আমাদের জন্য ভেবে রাখে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যক উপন্যাস টা আপনারা কেউ পড়েছেন। আমি পড়েছি। আমার পড়া সেরা একটা উপন্যাস এটা। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি আরণ্যক যদি বাংলা বাদে অন্য কোন ভাষায় লেখা হতো তাহলে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র আরণ্যক এর জন্যই সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পেতেন। আরণ্যকে লেখক যে প্রকৃতির অসাধারণ বর্ণনা দিয়েছেন সেটা আমার মস্তিষ্কে একেবারে গেথে গিয়েছে। ২০২৩ সালে আমি গিয়েছিলাম সাফারি পার্কে। বাংলাদেশে সাফারি পার্ক মাএ একটা। এবং গাজীপুরের মতো জায়গাই এটা অবস্থিত। অনেক বড় একটা এলাকা নিয়ে এটা অবস্থিত। সাফারি পার্কের মধ্যে এমন কিছু জায়গা আছে সেখানে গেলে আপনার মনে হবে আপনি জনমানবশূণ্য গহীন অরণ্যে আছেন।
গাজীপুর সাফারি পার্কের মধ্যে বাসের মধ্যে বসেছিলাম। বাস জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। ঐসময় এমন একটা পরিবেশ চোখে পড়ে। যেখানে কোন জনমানব নেই। চারিদিকে শুধু গাছপালা। মাঝে মাঝে শুধু পাখিদের আওয়াজ। এছাড়া মানুষের কোন শব্দ নেই। এ যেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যকের সেই জঙ্গল। ঐসময় ভেতর থেকে এক অসাধারণ শান্তি অনূভব করছিলাম আমি। আমরা চিরকাল শান্তি চাই। কিন্তু শান্তি যে আছে প্রকৃতির কাছে এটা কী আমরা জানি। ঐসময় আমি এই ভিডিওগ্রাফি ধারণ করেছিলাম। এর আগেও আমি সাফারি পার্কের দুইটা ভিডিও আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি। এটা ছিল তৃতীয় ভিডিও।
সেদিন যখন ভিডিও টা দেখছিলাম মনের অজান্তেই সেই প্রকৃতি আমাকে আবার ডাকছিল। দেখেই মনে হচ্ছিল খারাপ হতো না যদি জীবনের একটা অংশ এইরকম নিরিবিলি অরণ্যে কাটিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু আমরা হয়তো নিজেদের প্রশান্তির চেয়ে সমৃদ্ধি কে বেশি গুরুত্ব দেয় এইজন্যই অনেক সময় মনে যা আসে সেটা করতে পারিনা। আশাকরি ভিডিও টা আপনাদের ভালো লাগবে।
------ | ------ |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO 1820 |
সময় | মে, ২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি আপনার এই কথাটার সাথে সম্পূর্ণ রূপে সহমত।বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যক উপন্যাস টি আমার মনে পড়ছে করোনা কালীন সময়ে বাসায় বসে বসে পড়েছিলাম আমি। প্রকৃতিকে নিয়ে চমৎকার একটি উপন্যাস ছিলো। ২০২৩ সালে সাফারি পার্ক থেকে ধারণ করা ভিডিওগ্রাফিটির মধ্যে গভীর অরণ্যের সুন্দর একটি দৃশ্য দেখতে পেলাম। ইট পাথর কংক্রিটের জায়গা থেকে বেরিয়ে মাঝে মাঝে এরকম জায়গায় ভ্রমণ করা দরকার। তবেই প্রকৃতিকে উপলব্ধি করা যাবে।
ভ্রমণ করতে আমিও অনেক পছন্দ করি। সুযোগ পেলে ছুটে যেতে মন চায় দেশে যে কোন দর্শনীয় স্থানের দিকে। তাই জীবনে যে কয়বার সুযোগ পেয়েছি চেষ্টা করেছি বেশ কিছু জায়গা ঘুরতে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাফারি পার্ক ভ্রমণ করেছেন এবং সেখান থেকে ভিডিও ধারণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাই। ভিডিওটা বেশ দারুন হয়েছে।
ঘুরতে আমিও ভীষন পছন্দ করি।আর তা যদি হয় সবুজ প্রকৃতি তবে তো কথাই নেই।আপনি খুব সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন।সত্যি নিজের গ্রাম নিজের ধুলামাখা পথ সবকিছু ই আমাদের আপন।ভিডিওগ্রাফিটি সুন্দর ছিল।অনেক ধন্যবাদ চমৎকার এই জায়গাটি ভিডিওর মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
যারা বাইরে থাকে তাদের নিজের গ্রামের প্রতি অনেক টান থাকে এবং মায়া লাগে। আপনি আজকে সাফারি পার্ক ভিডিওগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটি দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর পার্কের ভিডিও আমাদের মাঝে দেখানোর জন্য।
সবুজ প্রকৃতির মাঝে রাস্তাটি ভীষণ সুন্দর।এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে, সুন্দর ভিডিওগ্রাফি করেছেন।তাছাড়া সত্যিই নিজের জন্মভূমির প্রতি আলাদা একটা টান থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
সাফারি পার্ক ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমি ভ্রমণ পিপাসু একজন মানুষ। সময় পেলেই আমি ও এ ধরনের পার্ক গুলোতে ঘুরতে যাই। সাফারি পার্কটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং অনেক আকর্ষণীয়। আপনার ভিডিওটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার ইচ্ছা আছে আমাদের দেশ সহ আরো কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করবো ইনশাআল্লাহ্। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এতো সুন্দর একটি ভিডিও আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।