গরিবের আর্তনাদ।
####গরিবের আর্তনাদ###
আসসালামু আলাইকুম আসসালাম। সবাই কেমন আছেন? আশা রাখি আল্লাহর মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন। আমাদের সবার জীবনে আনন্দ উল্লাস থাকে। সেটা যে কোন ধর্মের মানুষই হোক না কেন। মুসলমানদের জীবনে দুইটি ঈদ আনন্দ বয়ে আনে। এই ঈদে আমরা একজন আরেকজনের সাথে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এই ঈদ আমাদের সবার জীবনকে উৎফুল্ল করে দেয় এমন। এই ঈদে একজন শত্রুর সাথে আরেকজন শত্রু মিল হয় এবং সেই দিনে ঈদ মোবারক জানাই।একটি বছরে মূলত দুইটি ঈদ হয়। আমাদের জীবনে দুইটি আনন্দের ঈদ আসে। একটি রোজার ঈদ, আরেকটি কুরবানীর ঈদ। রোজার ঈদ টি আল্লাহর কৃপায় যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী করতে পারে।
কিন্তু কুরবানীর ঈদে সবার কুরবানী দেওয়ার সামর্থ্য থাকা হয় না। আজ আমি এই কুরবানী ঈদের একটি গল্প বলবো ফুলপুর এলাকায় এক গোরিব কাজের মহিলা ছিল। বাসায় বাসায় কাজ করে নিজের সংসার চালাত।১ বছর আগে সেই কাজের মেয়ে আছিয়ার স্বামী মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর সে এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাসায় বাসায় কাজ করে সংসার চালাত। মোটামুটি ভালই চলছিল তাদের তিন জনের সংসার। কিন্তু আছিয়া যে বাসায় কাজ করত সেই বাসার মালিক টান্সফার হয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। সেই বাসার মালিক তাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করত আর এজন্য সে সংসারটা ভালোভাবে চালাতে পারতো।যখন তারা চলে যায় তার আর কাজ কর্ম থাকে না অন্য বাসায় কাজ করার জন্য গেলে সবাই করোনার জন্য কাজের মানুষ নিবে না বলে। কিন্তু আছিয়ার মাথায় বাজ পড়ে গেল কিভাবে তার সংসার চলবে অনেকদিন না খাওয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আছি এক সময় এই ভুবন ত্যাগ করল।
এখন তার ছোট দুই বাচ্চা কিভাবে জীবন ধারণ করবে।আছিয়ার মেয়েটি ছিল একটু বড় সে এখান ওখান থেকে একটু চেয়ে চিনতে নিয়ে এসে তার ভাইকে খাওয়াতো। এর মাঝেই চলে আসে কুরবানীর ঈদ। ঈদে যার যার কুরবানী নিয়ে সে সে ব্যস্ত। কিন্তু সেই ছোট্ট ছেলেটি তার বোনের কাছে বায়না ধরেছে আমি গোসত দিয়ে ভাত খাব।অনেক চেষ্টা করেও বোনটি কোথাও পেলনা এক টুকরো গোসতো। ঈদের সারাদিন না খেতে পেয়ে সেই ছোট্ট ছেলেটির জ্বর এসে গেল আর জ্বরের তীব্রতায় শুধু বলতে লাগলো আমাকে গোশত দিলি না আমার আম্মায় থাকলে আমারে গোশত দিত।
এই বলে ছোট্ট ছেলেটিও প্রচন্ড জ্বরে পৃথিবী থেকে চলে গেল।
তখন আছিয়ার মেয়েটি চিৎকার করে বলতে লাগে গরিব হওয়া পাপ। গরিবের খবর কেউ নেয় না এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে।
আমি জানিনা এটা সত্য ঘটনা কিনা কাল্পনিক তবে শেষটা বেশ কষ্টের 😥! গরীব হওয়া পাপ না তবে কঠোর বাস্তবের সম্মুখীন হতে হয় বারাবর।
আপনার মনে হতে পারে এটা কাল্পনিক কিন্তু এটাই বাস্তব এটাই ঘটেছে। তাই লিখেছি।
অত্যন্তই দুঃখের।
সত্যি কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি😢 পোস্টটি পড়ে আমার চোখে পানি এসে গেছে।
এইটুকু আমার মনে বিষন্নতার ছোঁয়া লাগিয়ে দিয়েছে😭।
এই বাচ্চা দুটোর সাহায্যের জন্য আপনি @abb-charity তে আবেদন করতে পারেন।আশা করছি বাচ্চা দুটোর জন্য কিছু হলেও সাহায্য পাওয়া যাবে।
আপনার ফিলিংস এর কথা শুনে আমার অনেক ভালো লাগছে। অনেক কষ্ট আমাকে দিয়েছে এজন্য ভাই পোস্টটা লিখেছি জানিনা কতটুকু সবার সামনে উপস্থাপন করতে পেরেছি।
রিদয় বিদারক গল্প শেয়ার করেছেন আপু। আপনাকে স্বাগত। জাযাকাল্লাহ
ধন্যবাদ