রোজার কেনাকাটা ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
রোজার কেনাকাটা
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো রোজার কেনাকাটা। আসলে রোজার দিনে একটু অন্য রকম কেনাকাটা থাকে সবারই। তবে বর্তমান জিনিস পত্রের যে দাম বলার মতো নয়। সাধারণত মানুষ জন কোন রকম খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকে। আর দরিদ্র মানুষের জন্য বেঁচে থাকা ও কষ্ট কর। কোন রকম ডাল ভাত খাওয়ায় অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। গতকাল গিয়েছিলাম বাচ্চাদের টুকিটাকি কিছু কেনাকাটা করতে মার্কেটে । আপনার ভাই ও আমাদের সাথে গিয়েছিল বাজার করার জন্য। আমি অনেক আগে গিয়ে সব কেনাকাটা করেছি। যাইহোক বাচ্চাদের কেনাকাটা নিয়ে অন্য একদিন পোস্ট লিখবে।আমার কেনাকাটা শেষ করে আপনাদের ভাইয়ের সাথে রোজার জিনিস পত্র কেনার জন্য বাজারে ঢুকেছিলাম। তাহলে চলুন দেখে নিই আমি রোজার জন্য কিকি কিনেছি।
প্রথমে আমরা চলে গিয়েছিলাম ট্যাংক কেনার জন্য।আসলে আমার মেয়ে শরবতের জন্য আগে ট্যাংক কিনবে তারপর অন্যকিছু। তাই আমরা আগে দুটি ইস্পাহানি ট্যাংক এনেছি। সত্যি বলতে আমার ছোট মেয়ে ট্যাংক আমার চেটে খেয়ে ফেলে,তাই তার জন্য একটা এনেছি।সে আবার ট্যাংক খেতে অনেক পছন্দ করে।
তারপর চলে আসলাম ছোলা, বেসন, ডাল, আটা, চিনি ও মুড়ি অন্যান্য কিছু মসলা কেনার জন্য। কয়েক দোকান ঘুরে দেখলাম একই দাম। আপনার ভাই যদি ও দোকান ঘুরতে চাইনি তারপর আমি বলাতে একটু ঘুরলো। সে বললো তোমার জন্য আমাকে ঘুরতে হলো।আর আমি ভেবেছিলাম মনে হয় অন্য দোকানে একটু দাম কম পাওয়া যাবে। দাম নিয়ে আর কিছু বলার নেই। তারপর আমরা দুই কেজি ছোলা, দুই কেজি বেসন,চিনি দুই কেজি মুড়ি , দুই কেজি আটা ও দুই কেজি ডাল নিলাম। আসলে আপনারা ভাবতে পারেন এখন রোজার মাস আটা দিয়ে কি করবো।আমার বাচ্চারা তো ছোট তাই ওদের জন্য নিয়ে আসলাম মাঝে মাঝে রুটি কিংবা পরোটা বানিয়ে দিলে আর সাথে মাংস কিংবা সুজি রান্না করলে খাবে, তার জন্য আটা কিনা।তারপর আমরা কিছু জিরা ও অন্যান্য কোন কিছুই কিনলাম।আর বাচ্চাদের জন্য নসিলা চকলেট ও পাউরুটি কিনে আনলাম। আসলে রোজার মাস তাই বাচ্চাদের জন্য বাড়তি অনেক কিছুই আনতে হলো।
তারপর গেলাম ফল কেনার জন্য, আসলে দাম নিয়ে কিছু বলার নেই। তারপর কিছু ফল কিনলাম।ফলের মধ্যে কিনলাম আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা ও খেজুর এসব কিছু আমরা এক কেজি করে নিলাম।আসলে আমি তেমন ফল কিনিনা,আপনাদের ভাই সব সময় কেনে, এতো দাম বলার মতো নয়। তাই আপনাদের ভাই আমাকে বললো দেখ শুধু হিসাব নেও, এখন দেখ। আসলে বাজারে না গেলে বোঝা যায় না যে কেমন দাম। আমরা তো শুধু বলি, যে বাজার করে সেই বোঝে দামটা আরকি।
তারপর চলে আসলাম সবজির দোকানে। অনেক রোদ পড়েছে সবজির ওপরে। তাই সবজি গুলো একটু কেমন যেন লাগছিল। দুপুর সময় তো তাই সব দোকানে একই অবস্থা। যাইহোক তারপর আমি এক কেজি শসা, ও এক কেজি বেগুন আনলাম। আসলে বেগুনের দাম অনেক বেড়েগেছে। তারপর চপ তো খেতে হবে তারজন্য এই বেগুন গুলো কেনা। রোজার মধ্যে চপ না খেলে ভালো লাগে না।
অবশেষে চলে আসলাম তরমুজ ও বাঙ্গি কেনার জন্য। আমরা ঘুরতে ঘুরতে আর ভালো লাগছে না। তারপর একটা তরমুজ ও একটা বাঙ্গি নিয়ে চলে আসলাম। যাইহোক সব মিলে রোজার জন্য বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ।
আপনি যেহেতু ভাইয়াকে নিয়ে সবকিছুই কেনাকাটা করেছেন সেই হিসেবে বর্তমান সময়ে চলার জন্য কি রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটা আপনি অবশ্যই ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ে কোনরকমে বাঁচাটাও যেন মুশকিল হয়ে গিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে এখন যেকোনো কিছু না খেলেও যেন হয় না। ফল কিনতে গেলে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। প্রত্যেকটা ফলের দাম এত বেশি। যদিও আমি বাজারে গিয়ে বাজার করা হয় না। তবে বাসায় যখন নিয়ে আসে তখন দাম জিজ্ঞেস করলেই শুনি। যাই হোক সর্বোপরি প্রয়োজনের জিনিসপত্র কিনতে পেরেছেন একসাথে সেটা জেনে ভালো লাগলো।
জি আপু আমি বাজার তেমন করি না তবে মাঝে মধ্যে করা হয় আরকি।সত্যি জিনিস পত্রের অসম্ভব দাম, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মুসলমানদের অন্যতম একটি মাস হল রমজান মাস। এই মাসের জন্য ১১ টি মাস অপেক্ষা করতে হয় আমাদেরকে। রমজান মাস পৃথিবীর বুকে সকল মানুষের জন্য একটা রহমতের মাস। আপনি রমজান মাসের কেনাকাটা করার জন্য বাজারে এসেছেন। আপনি ছোলা, বেসন, ডাল, আটা, চিনি ও অন্যান্য মসলা জাতীয় জিনিস কেনার জন্য ঘুরেছেন এবং দাম কত সেটা জেনেছেন। আসলে রমজান মাস আসলে পন্য দ্রব্য দাম অনেক বেড়ে যায়। তবে খেজুর সারা মাস আমার খেতে খুব ভালো লাগে। সব মিলে খুব ভালোই কেনাকাটা করছেন আপু ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া ইফতারে খেজুর না থাকলে ভালো লাগে না, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু এই রমজান মাস কে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূলক দাম এত বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমিও কালকে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন জিনিস বাজার করেছি কিন্তু ছবি তুলতে মনে ছিল না। আপনি দেখছি একবারে অনেক কিছু কিনে নিয়ে এসেছেন।
রমজান উপলক্ষে সবাই কম বেশি কেনাকাটা করে। তবে বাসায় ছোট ছেলে মেয়ে আছে বলে পাউরুটি কিনেছেন এটা একটা বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। কারণ রমজান মাসে সব সময় তো আর রান্না করা সম্ভব হয় না তাই ছোটদের খাওয়া দাওয়ায় কোন সমস্যা হবে না।
জি ভাইয়া সব সময় রান্না ভালো লাগে না, সকালের নাস্তার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি তো দেখছি রোজার মাসের জন্য বেশ ভালোই বাজার করে নিয়ে এসেছেন। আসলে রোজার মাসে আমাদের দেশের জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই বেড়ে যায় জানিনা কেন। তবে কি আর করার এটাই মেনে নিতে হবে। আরে হ্যাঁ একটা কথা ঠিক বলেছেন বউরা সবসময় হাসবেন্ডের কাছ থেকে হিসাব নেই কিন্তু বাজারের পরিস্থিতি দেখেনা। তাই হয়তো আপনার হাজবেন্ড ওই কথাগুলো বলছিল। যাই হোক সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। তবে কিছু কিছু জায়গায় একটু বানানোর ভুল ছিল। আশা করি পরবর্তীতে একটু ভালোভাবে খেয়াল করবেন। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন বর্তমান সময়ে বাজারদর যেন আকাশচুম্বী সবকিছুর দাম এত এত বেড়ে গিয়েছে যে বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় শহরে দরিদ্র মানুষ গুলো অনেক বেশি কষ্টে রয়েছে তাদের কষ্টের কথা অনেক পেপার পত্রিকায় দেখছি যেটা দেখে খুবই খারাপ লাগছে। রমজানের কেনাকাটা করতে গিয়েছেন ভাইয়ার সঙ্গে দেখে ভালো লাগলো। কেনাকাটার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া শহর বা গ্রামে দরিদ্র মানুষের অনেক খারাপ অবস্থা। জি ভাইয়া আপনার ভাইয়ের সঙ্গে গিয়ে বেশ ভালোই বাজার করেছি।
ঠিকই বলেছেন যে বাজার করে সেই বোঝে দাম কত। আমার মোটামুটি নিয়মিত বাজার করতে হয়,রোজা উপলক্ষ্যে সবাই জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষদের খুবই কষ্ট হবে।আর ভাগ্নীর মত ছোট তে প্রায় সবাই ট্যাঙ চেটে খেতাম। ধন্যবাদ আপনার বাজার করার মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া আমার মেয়ে ট্যাংক সব সময় চেটে চেটে খায়, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রোজা আসলে আমরা সবাই ভিন্ন রকম বাজার করে থাকে। আপনি দেখছি আমাদের ভাইকে নিয়ে রোজার বাজার এবং বাচ্চাদের কিছু কেনাকাটা করে ফেলেছেন। আসলে এখন জিনিসপত্র যে দাম সাধারণ মানুষ খেতে অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তবে ঠিক বলেছেন রোজা আসার কারণে কাঁচা বাজার গুলোর দাম অনেক বেড়ে গেছে। অনেক সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।