হঠাৎ মম খাওয়ার ইচ্ছা। 10% beneficiary to @shy-fox
ঢুকে দেখি সাক্রাইন উপলক্ষ্যে ঘুড়ি দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। আমার মেয়ে আবার বাহিরে গেলে খুব দুরন্ত হয়ে যায়। স্বপ্নের অনেক জিনিস তার নাগালের মধ্যে তাই সে কিছু একটা ধরে আবার নিচে রেখে দেয় আবার ধরে আবার রেখে দেয়।
তারপর একটা বুদ্ধি মাথায় এল যে তাকে যদি ট্রলির মধ্যে বসিয়ে রাখি তাহলে সে আর দুষ্টামি করবে না। আমার হাতে ছিল ছোট ঝুড়ি । পরে সেটা রেখে বড় একটি ট্রলি নিয়েছি এবং তাকে বসিয়ে দিয়েছি। প্রথম প্রথম বসে থাকতে চাচ্ছিল না কারণ সে কিছুই ধরতে পারছে না। আবার মাথায় আইডিয়া আসল। আমি যেটাই কিনি সেটা তাকে দেখিয়ে দিয়ে বলি মা এটা নাও। দেখলাম কাজ হয়েছে। তারপরও সে ধরতে চায় কিন্তু গাড়ির স্টিয়ারিং ত আমার কাছে তাই ধরতে করছে।
দোকানে বিল দেয়ার সময় মম দেখে আমার মন চেয়েছে মম খাব। এর মধ্যে বিল দিচ্ছি যখন তখন পিছন থেকে আমার মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনে তাকিয়ে দেখি সে একটি পান্ডা কস্টিউম পড়া লোককে দেখে ভয় পেয়েছে। আমি ওকে কোলে নিয়ে পান্ডার সাথে হাত মিলিয়ে দিয়েছি।
স্বপ্নে ৬ পিস মম এর দাম রাখে ১৫০ টাকা আর টেস্টি ট্রিট এ ৬ পিস মম ১০০ টাকা। এই রোডে কিছুদূর হাটলেই টেস্টি ট্রিট এর দোকান। বের হয়ে সোজা চলে গেলাম টেস্টি ট্রিট এর দোকানে। গিয়ে মম অর্ডার করলাম। সাথে একটা ডোনাট অর্ডার করেছি । মমর জন্য ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। কি আর করা ওয়েট করলাম। মম চলে এসেছে। আমরা এক প্লেট খেয়ে আবার আরেক প্লেট খেয়েছি।
এর মধ্যে মেয়ে এটা ধরে ওটা ধরে। তাকে এটা সেটা অনেক কিনে দিয়ে পরে আর বসার উপায় ছিল না।
খেয়ে দেয়ে পরে বাসায় চলে আসব বলে রিকশা নিয়েছি। আমার মেয়ে যেতেই চাচ্ছিল না।
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে ।
আপনার মেয়ে মনে হয় একটু বেশি ভয় পেয়েছিল পান্ডা কস্টিউম পড়া লোকটিকে দেখে। কিন্তু পরে যখন সেই ঠান্ডার কস্টিউম পড়া লোকটির সাথে তার হাত মিলালেন তখন মনে হয় বেশ ভালোই লেগেছিল তার কাছে।দোকানটি তে যাওয়ার পর মনে হয় আপনার মেয়ে অনেক বেশি দুষ্টামি করেছিল তাই তাকে ট্রলিতে বসিয়ে রেখেছেন। এমনিতে ছোট ছোট বাচ্চারা দোকানে যাওয়ার পর বিভিন্ন জিনিসে হাত দেয়। বেশ মজা করেই মনে হয় মোমো খেয়েছেন। আপনার মেয়ের কাছে মনে হয় জায়গাটি ভীষণ ভালো লেগেছিল তাই তো সে আসতে চায়নি।
আপনার মেয়ে মনে হয় বাহিরে গেলে একটু বেশি দুষ্টামি করে। এমনিতে ছোট ছোট বাচ্চারা যে কোন জায়গায় গেলে সেখান থেকে আর আসতে চায় না।মনে হয় তার জায়গাটি বেশি পছন্দ হয়েছিল তাই সে আসতে চায় নি। ভালোই কেনাকাটা করলেন। সেই সাথে দেখছি বেশ খাওয়া দাওয়াও হয়েছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।
ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এরকম দোকানগুলোতে গেলেন খুবই মুশকিল। তাছাড়া যদি কাচের জিনিস হয় তাহলে তো আরো রিস্ক থাকে। আমার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে এরকম দোকানগুলোতে গেলে ওকেও টলির মধ্যে বসিয়ে রেখে তারপর শপিং করতে হয়। তা না হলে আপনার মেয়ের মত সবকিছুই ধরতে চায়। ভালো করেছেন পান্ডার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিয়ে তা না হলে একটা ভয় কাজ করতো মেয়ের মধ্যে। মোমো দেখে তো আমারই খেতে ইচ্ছা করছে। আমার খুবই পছন্দের খাবার। যেহেতু এখানে দাম বেশি সেহেতু অন্য জায়গায় খেয়েই ভালো করেছেন। কি দরকার শুধু শুধু বেশি দাম দিয়ে খাবার। কেনাকাটার পাশাপাশি ভালই সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আজকে প্রথম আপনার মেয়েকে দেখলাম বেশ কিউট দেখতে। আর ও পান্ডা দেখে ভয় পেয়েছিল আসলে ছোট বাচ্চারা একটু টেডি দেখলে বেশি ভয় পায়। আমার ছেলেও টেডি খুব একটা পছন্দ করেনা। আপনার মম খাওয়ার মুহূর্তটা সুন্দর ছিল ভাইয়া। যদিও আমাদের এখানে মম পাওয়া যায় না তবে মাঝেমধ্যে বাসায় বানিয়ে খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্টগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে কারণ অনেক খাবার দাবারের ব্যাপার থাকে তো সেজন্য।কারণ খাবার গুলো বেশ লোভনীয় হয় আপনার শেয়ার করা খাবারের রিভিউর।ঠিক বলছেন ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে কোথাও গেলে খুব বিরক্ত করে কারণ এটা ধরে ওটা ধরে তাই।তবে হাঁটতে বের হয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন পরিবারকে নিয়ে।কিছু কেনাকাটা করছেন এবং সাথে মম ও খেয়েছেন।
আপনার মেয়েকে বোধ হয় আজকেই প্রথমবার দেখলাম, খুব মিষ্টি দেখতে হয়েছে তো। 😊
আসলে মোমো আমার সবথেকে পছন্দের খাবারের আইটেম। সপ্তাহে অন্তত যদি একদিন মোমো না খাই তাহলে রীতিমত আমার জ্বর চলে আসে এরকম অবস্থা। যদি বাইরে গিয়ে খেতে না পারি তাহলে ঘরে বানিয়ে খাই। তবে ওখানেও তো দেখছি মোমো বেশ সস্তায় পাওয়া যায়। আমাদের এখানে ভালো কোন রেস্টুরেন্টে মোমো খেতে গেলে বেশ টাকা নেয়। তবে ফুটপাতে দোকানগুলোতে মোটামুটি ৩০-৪০ টাকায় পাওয়া যায়।