রোড ডিভাইডারে সবজি চাষ। শেষ কিস্তি।
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলের শুভেচ্ছে সবাইকে।
আশাকরি ভালো আছেন সবাই ? আমিও ভালো আছি।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে রোড ডিভাইডারে সবজি চাষের ১ম কিস্তিতে আপনাদের ব্যাপক সাড়া পেয়ে আজ হাজির হলাম ২য় এবং শেষ কিস্তি নিয়ে,আশাকরি এবারও সবাই সাথে থাকবেন।
আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন আগারগাঁও বাংলাদেশের অন্যতন প্রশাসনিকএলাকা। সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস এই এলাকায় অবস্থিত। আমি যে নতুন রাস্তার কথা বলেছি সে রাস্তাতেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও শিক্ষা প্রতষ্ঠান আছে। গত ৮/১০ বছরে আগারগাঁও বদলে গেছে । এখনও চলছে অনেক সরকারি স্থাপনার নির্মাণ কাজ। দিন দিন আরো সৌন্দর্যময় হয়ে উঠছে আগারগাঁও । সেসব আর একদিন হবে । আজ সবজি চাষ নিয়েই থাকি ! কি বলেন?
নতুন রাস্তা তাই রোড় ডিভাইডারের ফাকা জায়গায় গত কিস্তিতে সবজি চাষ আপনারা দেখেছেন। রোড ডিভাইডারের পাশাপাশা এই রাস্তার পার্কিং লেনেও সবজি চাষ দেখে আমি বিস্মত হয়েছি।
গত কিস্তিতে বলেছিলাম আগারগাঁও এর বর্তমান রাস্তা গুলো অত্যাধুনিক। শুধু ফোর লেন না! আছে প্রশস্ত ফুটপাত ,সাইকেল লেন ও অফিস পাড়া বলে মাঝে মাঝে পার্কিং লেন। আর পার্কিং লেনের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সুদৃশ্য বিভিন্ন ডিজাইনের স্পেস। আর এই স্পেসে দেশ বিদেশের নানান ফুল ও বাহারি গাছ লাগানো হয়েছে। আর ফাকা জায়গায় মানুষ লাগিয়েছে সবজি।
শুধু সবজি না পেপে, কলা ও বড়ই গাছও আমাকে মুগ্ধ করেছে।
ঢাকা ইট -রড-পাথর আর কংক্রিটের শহর। সবুজের ছায়া-ছোয়া খুব কম। মানুষের সময় কাটানো বিনোদনের জায়গা খুব কম, বিশেষ করে খোলামেলা পরিবেশে । আগারগাঁও এখন দিন দিন ঢাকাবাসীর অবসরে সময় কাটানোর জায়গাও হয়ে উঠছে। সে কথা বিস্তারিত কোন একদিন হবে।
কৃষি প্রধান আমাদের দেশ। কৃষিই আমাদের বড় ভরসা। চলছে সারা পৃথিবীতে আর্থিক মন্দা। তা থেকে আমাদেরও নিস্তার নেই। বিভিন্ন নিত্যপন্যের দাম বাড়ায় তার প্রভাব ভালো ভাবেই টের পেতে শুরু করেছি আমরা। তাই আসুন রাস্তার রোড ডিভাইডারে সবজি চাষ করা ভাইদের স্যালুট জানাই। তারা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে,কোন জায়গায় আমরা খালি রাখবো না সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো। আপনার আমার বাড়ির চারপাশে ভরে উঠুক সবুজ শাক সবজি আর ফলমুলে।
সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মোবাইল ফটোগ্রাফিঃ স্যামসং এ ১০
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য এরকম ভাবে যদি গাছ লাগানো হয় তাহলে অনেক ভালো হবে। একদিকে রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রাখা হবে। আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। সত্যি আপু এই রাস্তাগুলো দেখে খুশি হলাম।
ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এক একটা শহর নিজেদের বিশেষত্বের জন্য আলাদা। এই কল্পনা যাদের মাথা থেকে এসেছে তাদের জানাই সাধুবাদ।একটা কনক্রিটের জায়গাতেও একটুখানি ভূমি পেলে তা কি করে কাজে লাগানো যায় এ তার এক উত্তম উদাহরণ। ভীষণ আকৃষ্ট হলাম।
সত্যিই দিদি কি সুন্দর চিন্তা। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি চারপাশের ইট পাথর আর কংক্রিটের মাঝখানে যে এরকম একটা ব্যবস্থা করেছে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে অন্তত সবুজের এই প্রাকৃতিক গাছগুলো দেখলেও ভালো লাগে। তাছাড়া আমি মনে করি সবজি লাগিয়ে সেখান থেকে সবজি খাওয়াটা সবথেকে বেশি উপকারী। কারণ এখন তো বাজারের প্রত্যেকটা জিনিস শুধুমাত্র ফরমালিনের জায়গা। এরকম একটা জায়গা যে এতগুলো গাছ লাগানো হয়েছে সত্যি আমি ভাবতে পারিনি।
কেবল ফর্মালিন দেওয়াই নয় দামও এখন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনার মন্ত্যবের জন্য।